কারিন জ্বীন সম্পর্কে হাদিস - Hadith about Qarin Jinn

কারিন জ্বীন সম্পর্কে হাদিস

ক্বারিন হল মানব প্রজাতির সঙ্গে সহাবস্থানকারী জ্বিন যা প্রতিটি মানুষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক অবস্থান করে| এর কাজ হল মানুষকে খারাপ কাজে প্রভাবিত ও উদ্বুদ্ধ করা।

কারিন (قرين ) আরবি শব্দ। কারিন দ্বারা সঙ্গী, সাথী ও সহচর বুঝায়। উল্লেখিত কারিন জিন/শয়তান মানুষকে পথভ্রষ্ট করে, অন্যায়-অশ্লীল কাজের দিকে প্ররোচিত করে। কুকর্ম ছাড়া ভালোকাজে উৎসাহ দেয় না। এই জিনকে কারিন জিন বা সহচর শতয়ান বলা হয়।

হাদিসের একটি বর্ণনা থেকে তা সুস্পষ্ট-

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে এমন কোনো ব্যক্তি (অবশিষ্ট) নেই; যার সঙ্গে তার সহচর (কারিন) জিন (শয়তান সহচর) নিযুক্ত করে দেওয়া হয়নি।

সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাসা করলেন- ‘হে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনার সঙ্গেও কি?

তিনি বললেন- আমার সঙ্গেও। তবে আল্লাহ তাআলা তার ব্যাপারে আমাকে সাহায্য করেছেন। ফলে সে ইসলাম গ্রহণ করেছে ( বা আমার অনুগত হয়ে গেছে)। ফলে সে আমাকে শুধু ভাল কাজেরই পরামর্শ দেয়।  ( সহীহ মুসলিম খন্ড ৪ পৃ. ১৫৪০ হাদিস নং ৭১৩৪)

অন্য এক হাদিসে সুফিয়ানের বর্ণনায় এসেছে-

وقد وكِّل به قرينُه من الجنِّ وقرينُه من الملائكة

‘তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যার সঙ্গে তার সহচর জিন (শয়তান) এবং সহচর ফেরেশতা নিযুক্ত করে দেওয়া হয়নি।’ (হাদীস : সহীহ মুসলিম শরীফ ) 

মানুষকে কুমন্ত্রণা দেওয়া কিংবা প্ররোচনা প্রদানকারী জিন শয়তান মানুষের সঙ্গে থাকার বিষয়টি কুরআনুল কারিমেও সুস্পষ্ট। কেয়ামতের দিন মানুষের সঙ্গী এ শয়তান বাক-বিতণ্ডায় লিপ্ত হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন-

قَالَ قَرِیۡنُهٗ رَبَّنَا مَاۤ اَطۡغَیۡتُهٗ وَ لٰکِنۡ کَانَ فِیۡ ضَلٰلٍۭ بَعِیۡدٍ –  قَالَ لَا تَخۡتَصِمُوۡا لَدَیَّ وَ قَدۡ قَدَّمۡتُ اِلَیۡکُمۡ بِالۡوَعِیۡدِ

`তার সহচর (শয়তান) বলবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমি তাকে অবাধ্য হতে প্ররোচিত করিনি। বস্তুতঃ সে নিজেই ছিল ঘোর বিভ্রান্ত। আল্লাহ বলবেন, তোমরা আমার কাছে বাক-বিতণ্ডা করো না। অবশ্যই আমি আগেই তোমাদের সতর্ক করেছিলাম।’ (সুরা কাফ : আয়াত ২৭-২৮)

আয়াতের বিশ্লেষণে হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন- এটাই হলো নিয়োগকৃত শয়তান।

হাদিসে এসেছে-

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যখন নামাজ পড়ে, তখন সে যেন তার সামনে দিয়ে কাউকে যেতে না দেয়। যদি সে অস্বীকার করে (বাধা মানতে না চায়) তবে সে যেন তার সাথে লড়াই করে। কেননা তার সাথে তার সঙ্গী শয়তান রয়েছে।’ (মুসলিম শরীফ )

ফরজ গোসলের সঠিক পদ্ধতি - Correct method of Farj Ghusl
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন আইরিশ গায়িকা
পরকালের চিন্তা কেন করবেন?-Why worry about the afterlife?
তাবলীগ জামাতের ইতিহাস
জুমার দিনের মর্যাদাপূর্ণ আমল - The dignified act of Friday
ছেলে শিশুদের ইসলামী নাম
জুমআ নামাজ পড়তে না পারলে কী করণীয়? - What to do if you can not read Friday prayers?
জিনের আছর থেকে বাঁচার আমল
আল্লাহ কেন শয়তান সৃষ্টি করলেন? - Why did God create Satan?
গাদীর খুম কি এবং এ সম্পর্কীত হাদীস - What is Ghadir Khumm and hadiths related to it