ফাউন্ডেশন ব্যবহারের নিয়ম - Rules for using foundation
ত্বকের রং একই রেখে লুক পরিবর্তনে ফাউন্ডেশন সবচেয়ে কার্যকর মেকআপ সামগ্রী। যদিও কয়েক বছর আগে খুব ভারী একধরনের ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা হতো। আর এখন ফাউন্ডেশনের ধরনে এসেছে বেশ পরিবর্তন। যার মধ্যে রয়েছে ময়েশ্চারাইজার ফাউন্ডেশন, লিকুইড ফাউন্ডেশন, দুই কভারেজ ফাউন্ডেশন, ম্যাট ফিনিশ ফাউন্ডেশন ও ক্রিম ফাউন্ডেশন। ত্বকের ধরন ও প্রয়োজন বুঝে নির্দিষ্ট ঘরানার ফাউন্ডেশনই ব্যবহার করতে হবে। তবে সবচেয়ে জরুরি ফাউন্ডেশন ব্যবহারের সঠিক নিয়ম জানা। সেটি নিশ্চিত করেই সেরা ফল পাওয়া যাবে।
ফাউন্ডেশন কি?
ফাউন্ডেশন হলো এমন একটি প্রোডাক্ট যা ত্বকের উপরিভাগে ব্যবহার করা হয় যা ত্বকের টেক্সচার কে মসৃণ করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করতে ব্যবহার করা হয়। এটি সম্পূর্ণই ত্বকের উপরিভাগের প্রোডাক্ট। এটি ক্রিমি ধরনের। ত্বকের প্রকারভেদ অনুযায়ী কখনো এটি তরল জাতীয় বা কখনো ম্যাট জাতীয় হয়ে থাকে।
আমরা যখন ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে নেই তখন আমরা কখনো কখনো নানা সমস্যায় ভুগি।বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যারা নতুন মেকআপ করছেন তারা নানা সমস্যার শিকার হয়ে থাকে। কখনো স্কিন টাইপ অনুযায়ী পারফেক্ট শ্যাড খুঁজে পাচ্ছিনা, কখনো ফাউন্ডেশন এপ্লাই এর এক থেকে দুই ঘন্টা পর তা অক্সিডাইস করছে এরকম নানা বিষয়ে আমাদের প্রবলেম হয়ে থাকে। আসলে সঠিক ভাবে ফাউন্ডেশন ব্যবহার করার কিছু নিয়ম আছে যা মেনে না চললেই ফাউন্ডেশন নিয়ে আমরা নানা বিড়ম্বনার মধ্যে পড়ি।
ফাউন্ডেশন ব্যবহারের নিয়ম
শুরুতেই আপনার ত্বক ভালো ভাবে ফেইসওয়াস দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। মুখমণ্ডল ড্রাই হওয়ার পর তাতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। যদি সম্ভব হয় মেকাপ ব্যবহার করার ১০ মিনিট আগে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে নিবেন। এতে আপনার ফেইস অনেকটা সেট হয়ে যাবে মেকাপ এর জন্য।
এরপর আপনার ত্বকের সাথে মেচিং একটি প্রাইমার ব্যবহার করুন। প্রাইমার অবশ্যই আপনার স্কিন এর প্রয়োজন বুঝে কিনবেন। প্রাইমার ব্যবহার করার পর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন যতক্ষণ না পর্যন্ত তা ভালো ভাবে আপনার ত্বকের সাথে মিশে না যাচ্ছে। তারপর চাইলে আপনি কনসিলার ব্যবহার করতে পারেন।
মনে রাখবেন কনসিলার ত্বকে এপ্লাই করে সাথে সাথে ব্লেন্ড না করে কিছুক্ষণ পর ব্লেন্ড করলে তা অনেকটা স্মুথ হয়ে বসে আইলিড ও অন্যান্য এরিয়া গুলো তে। এরপর ফাউন্ডেশন এর এক থেকে দুই ড্রপ কোনো কৌটা বা হাতের উল্টো দিকে নিয়ে ডট আকারে প্রথমে গালে তারপর সম্পূর্ণ ফেইসে লাগিয়ে নিন।
তারপর একটি ভেজা বিউটি ব্লেন্ডার দিয়ে আস্তে আস্তে ব্লেন্ড করবেন। কখনোই টেনে টেনে ব্লেন্ড করার ট্রাই করবেন না। চেপে চেপে ব্লেন্ড করবেন। এতে ফাউন্ডেশন সুন্দর ব্লেন্ড হয়ে যাবে। এরকম ভাবে সম্পূর্ণ ফেইস ব্লেন্ড করার পর প্রয়োজন হলে আরো ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন।
ফাউন্ডেশন নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার না করলে তা ভালো ভাবে ব্লেন্ড হয় না এবং অনেকটাই ভেসে থাকে ত্বকে। তাই পারফেক্ট শ্যাড, প্রাইমার ব্যবহার এবং নিয়ম গুলো মেনে ফাউন্ডেশন ব্যবহারেই একটি স্মুথ ক্যানভাস নিশ্চিত করা যায়।
কিভাবে ফাউন্ডেশন শেড সিলেক্ট করবেন?
ফাউন্ডেশন নিতে হলে আপনাকে কয়েকটা বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন কোন শেড টা আপনার জন্য উপযোগী।
★ত্বকের ধরণ : ফাউন্ডেশন নিতে হলেই যে জিনিস সর্ব প্রথম খেয়াল রাখতে হবে সেটা হলো আপনার ত্বকের ধরণ।
ত্বকের ধরন অনুযায়ী ৩ ক্যাটগরীতে ফাউন্ডেশন কে ভাগ করা যায়।
১) শুষ্ক ত্বক : ত্বকের আদ্রতার অভাবে ত্বক শুষ্ক হতে শুরু করে। আর শুষ্ক ত্বকের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো হোয়াইটড- হেডস। যদি লক্ষ করেন আপনার স্কিনে হোয়াইট-হেডসের সমস্যা দেখা দিচ্ছে এবং আপনার মুখের পুরো অংশ যদি dull থাকে তাহলে বুঝে নিতে হবে আপনার ত্বক শুষ্ক।
সেক্ষেত্রে আপনাকে oil based অথবা Matte foundation for dry skin ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে হবে এতে আপনার স্কিন ময়েশ্চারাইজ থাকবে সাথে ফাউন্ডেশন ছোপ ছোপ হয়ে থাকবে না।
২) তৈলাক্ত ত্বক: আপনার স্কিন তৈলাক্ত নাকি বুঝা খুবই সহজ। যদি আপনার পুরো মুখ গ্রন্থি থেকে অতিরিক্ত তেল নিঃসরিত হয় তাহলে ত্বক তৈলাক্ত হয়। আর এটা বুঝার সহজ উপায় হলো যদি আপনার মুখ সব সময় তৈলাক্ত ভাব থাকে এন্ড
একনি-ব্রণের সমস্যা থাকে তাহলে।
এক্ষেত্রে আপনাকে Oil free Matte ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে হবে।
৩) মিশ্র বা কম্বিনেশন ত্বক: আপনার স্কিনকম্বিনেশন কি না বুঝতে আপনার টি-জোনের দিকে খেয়াল করতে হবে।যদি টি-জোন তৈলাক্ত এবং মুখের বাকি অংশ শুষ্ক থাকে,তাহলে আপনার কম্বিনেশন স্কিন। আবার যদি টি-জোন শুষ্ক এবং মুখের বাকী অংশ তৈলাক্ত হয় তাহলে সেটিও কিন্তু কম্বিনেশন স্কিন।
এক্ষেত্রে আপনি কম্বিনেশন স্কিনের ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে হবে। তবে সেটা Oil free / oil base ব্যবহার করবে আপনার ত্বকের উপর। যদি আপনার ব্রণ, ঘাম বেশী হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে oil free ফাউন্ডেশন ব্যবহার করবেন৷ নাহলে oil based ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে পারেন।
তবে কম্বিনেশন স্কিনের জন্য সবচেয়ে ভাল হয় পাউডার ফাউন্ডেশন৷ এক্ষেত্রে আপনি আপনার শুষ্ক অংশে কম প্রোডাক্ট আর তৈলাক্ত অংশে পরিমান মতো ব্যবহার করলেই মেকাপ বেস ফ্ল-লেস হয়।
★ ফাউন্ডেশনের উপকরণ দেখে নিন: ফাউন্ডেশন কেনার আগে অবশ্যই ফাউন্ডেশনের উপকরণ দেখে নিতে হবে।
আপনার ত্বকে যদি ব্রণ থাকে তাহলে Acne fighting foundation , Salicylic acid যুক্ত ফাউন্ডেশন বাছাই করে নিন। আপনার ত্বক যদি শুষ্ক হয় তাহলে সিরামযুক্ত ফাউন্ডেশন বেছে নিতে পারেন, এটি আপনার ত্বক কে ময়েশ্চারাইজ করবে।আপনি যদি মেকাপের সময় Sunscreen লোশন ব্যবহার করতে পছন্দ না করেন অথবা ব্যবহার করতে না চান তাহলে Spf 15 যুক্ত ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন, এতে মেকাপের সময় আর Skincafe Sunscreen লোশন ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না।
★ ফাউন্ডেশনের কভারেজ : আপনি কি ধরনের মেকাপ করতে চান এটার উপর নির্ভর করে আপনি কেমন কভারেজের ফাউন্ডেশন নিবেন।
যদি আপনি হালকা বেস পছন্দ করেন তাহলে হালকা কভারেজের ফাউন্ডেশন নিন।আর যদি ভারী বেস পছন্দ করেন তাহলে ফুল কভারেজের ফাউন্ডেশন নিবেন।
আর এয়ারব্রাশের সাহায্য মেকাপ করলে আপনাকে অবশ্যই মিডিয়াম কভারেজের ফাউন্ডেশন নিতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনি ২টা লেয়ার দিয়ে নিতে পারেন প্রয়োজন মত।
★ আন্ডারটোন: ফাউন্ডেশন সিলেকশনে এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনাকে অবশ্যই সেই ফাউন্ডেশন টাই নিতে হবে যেটা আপনার স্কিন আন্ডারটোনের সাথে মিলবে। আমরা যখন ফাউন্ডেশন ব্যবহার করি তখন প্রায়ই দেখা যায়, ফাউন্ডেশনটি লাগানোর পরই দেখতে কেমন গ্রে কালার লাগছে । আবার অনেক সময় অতিরিক্ত ইয়েলো / অরেঞ্জ কালারের মতো লাগে । এর কারণ হচ্ছে ভুল আন্ডারটোনের ফাউন্ডেশন । আপনার স্কিন ওয়ার্ম আন্ডারটোন হলে কুল টোনের ফাউন্ডেশন ব্যবহারে আপনাকে গ্রে দেখতে লাগবে । তাই সঠিক ফাউন্ডেশন নির্বাচনে আন্ডারটোন জানা খুবই জরুরী ।
আন্ডারটোনের উপর ভিত্তি করে ফাউন্ডেশনকে ৩টা ভাগে ভাগ করা যায়।
১) ওয়ার্ম আন্ডারটোন : আপনার হাতের কব্জির উল্টোদিকে খেয়াল করুন । সেই দিকটাতে সবারই শিরা/ধমনী খুব ভালোভাবে বোঝা যায় ।আপনার শিরার রঙ এর দিকে খেয়াল করুন। আপনার শিরার রঙ যদি সবুজ হয়, তাহলে আপনার আন্ডারটোন ওয়ার্ম।
ফাউন্ডেশন কেনার সময় ফাউন্ডেশনের কালারে খেয়াল করে দেখুন, তাতে যদি যদি হালকা ইয়েলো/ গোল্ডেন/ অরেঞ্জ আভা দেখতে পান, তবে সেটিই ওয়ার্ম টোনের ফাউন্ডেশন, যা আপনার জন্যে সঠিক।
২) কুল আন্ডারটোন : আপনার শিরার রঙ যদি হয় নীল/বেগুনী, তাহলে আপনার আন্ডারটোন কুল।
আপনি যদি কুল আন্ডারটোনের হন, তবে ফাউন্ডেশনের কালার খেয়াল করুন । যদি তাতে হালকা পিংক/ রেড আভা দেখতে পান। তবে সেটি কুল টোনের ফাউন্ডেশন । যা আপনার জন্যে সঠিক।
৩) নিউট্রাল আন্ডারটোন : আর যদি আপনার শিরার রঙে সবুজ/নীল/বেগুনী কালারগুলোর একটিও বোঝা না যায়, তবে আপনার আন্ডারটোন নিউট্রাল ।
আপনি নিউট্রাল আন্ডারটোনের হোন, ফাউন্ডেশনের টোন আপনার জন্যে কিছুই ম্যাটার করবে না। আপনি যেটা ইচ্ছা সেটাই ব্যবহার করতে পারেন । সবই আপনাকে মোটামুটি স্যুট করবে । তবে, অনেক ব্রান্ডেরই নিউট্রাল আন্ডারটোনের ফাউন্ডেশন আছে।সেগুলোও কিনতে পারেন।
★ফাউন্ডেশন শেড: সবর্শেষ যেটা লক্ষ্য রাখতে হবে সেটা হলো আপনার শেড।
শেড হলো আপনার স্কিনের আসল রঙ, আর আন্ডারটোন হলো আপনার আসল রঙের নিচে লুকিয়ে থাকা হালকা শ্যাডো/আভা । অনেকেই ফাউন্ডেশন কেনার সময় এই দুটো বিষয়ে কনফিউজড হয়ে যান। পারফেক্ট মেকাপ লুকের জন্য আপনার আন্ডারটোন বুঝা যতটুকু গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক ততটুকুই গুরুত্বপূর্ণ নিজের স্কিন শেড বুঝতে পারা।
তাই নিজের শেড অনুযায়ী ফাউন্ডেশন নিতে টেষ্টার থেকে আপনার আন্ডারটোনের ফাউন্ডেশন অল্প নিয়ে মুখে একপাশে টেষ্ট করে নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনি বুঝতে পারবেন কোন শেডটি আপনার ত্বকের রং এর সাথে মিলেছে৷
★টিপস
ফাউন্ডেশন শেড কারেকশন : অনেক সময় আমরা বুঝতে না পেরে ভুল শেডের কিংবা ভুল আন্ডারটোনের ফাউন্ডেশন নিয়ে ফেলি৷ সেক্ষেত্রে আপনার ফাউন্ডেশনের টোন এবং শেড ঠিক করতে ফাউন্ডেশন মিক্সার কিংবা কন্সিলার ব্যবহার করে নিতে পারেন।
১) ওয়ার্ম আন্ডারটোন: যদি আপনার আন্ডারটোন ইয়েলো হয় এবং আপনার নেওয়া ফাউন্ডেশন কুল আন্ডারটোনের কিংবা আপনার শেডের চেয়ে ডার্ক, সেক্ষেত্রে আপনি ইয়েলো ফিক্সার দিয়ে আন্ডারটোন এবং শেড ঠিক করে নিতে পারেন। কিংবা ইয়েলো আন্ডার টোনের কন্সিলার মিক্সড করতে পারেন যেটা আপনার স্কিনে শেডের হবে কিংবা ১/২ শেড লাইট হবে।
২)কুল আন্ডারটোন: যদি আপনার আন্ডারটোন কুল হয় কিন্তু আপনার ফাউন্ডেশন টোন ইয়েলো হয় এবং ডার্ক হয়, সেক্ষেত্রে আপনি হোয়াইট ফিক্সার / ব্লু ফিক্সার ব্যবহার করতে পারেন।
কিংবা কুল আন্ডার টোনের কন্সিলার ব্যবহার করতে পারেন যেটা আপনার শেডের চেয়ে ১/২ শেড লাইট হবে।
★★কিভাবে ব্যবহার করবেন
ফাউন্ডেশন কেনার পর আরেকটি সমস্যা আমাদের চিন্তার কারণ হয় সেটা হলো কিভাবে ব্যবহার করলে আপনার মেকাপটা সুন্দর হবে!
মেকাপ কতটা সুন্দর ভাবে সেট থাকবে সেটার ৬০% ই নির্ভর করে আপনার ফাউন্ডেশন Blending এর উপর। আপনি যতই যাচাই বাছাই করে ফাউন্ডেশন কিনেন না কেন যদি আপনি সঠিকভাবে Blending না করেন তাহলে কখনও মেকাপ সুন্দর আর ফ্ল-লেস হবে না।
১) স্পঞ্জ: Blending এর জন্য সবচেয়ে সুবিধা হয় স্পঞ্জ ব্যবহার করা। শুকনো Sponge/Beauty Blender ভালোভাবে পানিতে ভিজিয়ে অতিরিক্ত পানি চেপে বের করে ফেলুন।
এরপর মুখে পরিমান মতো ফাউন্ডেশন দিয়ে হালকা হাতে ড্যাব ড্যাব করে ভালোভাবে Blend করুন।
২) ফাউন্ডেশন ব্রাশ : ফাউন্ডেশন ব্রাশ ব্যবহার করেও ফাউন্ডেশন ব্ল্যান্ড করতে পারেন। কিন্তু অনেকের ধারণা মতে, ব্রাশ দিয়ে ফাউন্ডেশন ব্ল্যান্ড ভালোভাবে হয় না। যদি আপনিও এটি মনে করেন তাহলে আপনার ধারণা ভুল।
ব্রাশ দিয়ে ফাউন্ডেশন Blend করতে আপনাকে কয়েকটি টেকনিক খেয়াল রাখতে হবে৷
ব্রাশ দিয়ে ফাউন্ডেশন Blend করার সময় Blending টা করতে হবে উপর থেকে নিচের দিকে অল্প অল্প অংশ নিয়ে। এতে করে আপনার ফাউন্ডেশন খুব সুন্দর করে ব্ল্যান্ড হয় মুখের পুরো অংশে।
★★টিপস
১) ফাউন্ডেশন ব্যবহারের সময় অবশ্যই অল্প অল্প প্রোডাক্টস নিয়ে ব্ল্যান্ড করতে হবে পুরো মুখে। অতিরিক্ত প্রোডাক্টস নিলে মেকাপ Cakey হয়ে যায় যেটি দেখতে ভালো লাগে না।
২) ফাউন্ডেশন কেনার সময় খেয়াল রাখবেন ফাউন্ডেশন নিজের স্কিন শেডের নেওয়ার। কিংবা শেড থেকে ১শেড লাইট নেওয়া। যদি এরচেয়ে বেশী লাইট নেন সেক্ষেত্রে মেকাপ Cakey হয়ে যায়।
৩) ফাউন্ডেশন ব্যবহার করার আগে অবশ্যই আপনার স্কিন উপযোগী প্রাইমার ব্যবহার করে নিতে হবে এতে আপনার ফাউন্ডেশন ব্ল্যান্ডি ভালো হবে এবং দীর্ঘসময় সেট থাকবে।
৪) আপনার ত্বক যদি শুষ্ক কিংবা অতিরিক্ত শুষ্ক হয় তাহলে সিরাম কিংবা ফেস অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনার ত্বক খুব তাড়াতাড়ি শুষে নিয়ে স্কিন কে ফাউন্ডেশন ফ্রেন্ডলি করে তোলে।
অয়েলের ক্ষেত্রে Skin cafe Argan oil উপকারী।
৫) আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত কিংবা অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয় তাহলে কম্পেক্ট পাউডার কিংবা বেকিং পাউডার দিয়ে ভালোভাবে ফাউন্ডেশন সেট করে নিন। এতে ফাউন্ডেশন সরে যাওয়ার সমস্যায় পড়তে হবে না।