পেঁপে সারাদেশে এবং প্রায় সারা বছর পাওয়া যায়।পেঁপে যা মানুষ কাচা তথা সবুজ অবস্থায় সব্জি হিসেবে এবং পাকা অবস্থায় ফল হিসাবে খেয়ে থাকে। এর অনেক ভেষজ গুণগুণ রয়েছে। কাঁচা পেঁপেতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন। পেঁপে অনেক রোগ সারাতে কার্যকর, এটা শত শত বছর ধরেই স্বীকৃত। হজমের জন্য এই ফল খুবই উপকারি।
পেঁপের উপকারিতা
হজমশক্তি বাড়াতেঃ হজমশক্তি কমে গেলে অম্বল হয়ে যায়, মুখে চোকা ঢেকুর ওঠে, পেট ব্যথা শুরু হয়। কখনো চিনচিনে ব্যথা, কখনো ভয়ঙ্কর ব্যথা হয়। কখনো কোষ্ঠ পরিষ্কার হয় না আর কখনো পেট খারাপ হয়। শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে, শরীরে অবসাদ দেখা দেয়। পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে এনজাইম আছে যা খাবার হজমে সহায়তা করে থাকে। এছাড়াও প্রচুর পানি ও দ্রবণীয় ফাইবার আছে। যার ফলে হজমের সমস্যায় যে সকল মানুষ ভুগে থাকেন তাঁরা নিয়মিত পাকা বা কাঁচা পেঁপে খেতে পারেন। এক্ষেত্রে পেঁপে খুব উপকারি।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃপেঁপে খেলে এতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটাও প্রমাণিত হয়েছে যে, পেঁপে গাছের মূল ও ফুল কিডনি রোগ ও জন্ডিস সারায়।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধেঃপেঁপে ডায়াবেটিস হওয়া প্রতিরোধ করে।
নারীদের রজঃস্রাব সমস্যায়ঃ যেসব নারীর অনিয়মিত রজঃস্রাব হয়, তাদের জন্য পেঁপের জুস উপকারি। এক্ষেত্রে কাঁচা বা পাকা পেঁপে খেলেও উপকার পাওয়া যায়।
ক্যান্সার প্রতিরোধকঃ পেঁপের বিটা কেরোটিন উপাদান কোলন ক্যান্সার, প্রোসটেট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
ব্রণ সারায় পেঁপেঃবয়োঃসন্ধিকালে বা মুখমণ্ডলে ময়লা জমার কারণে ব্রণ হয়, তা দূর করতে নিয়মিত পেঁপে খেলে আপনার ত্বক পরিষ্কার হবে। এছাড়া পেঁপের ভেতরের অংশসহ মাস্ক হিসেবে এটি মুখে ব্যবহার করলে ব্রণ দূর হয়।
উচ্চরক্তচাপ কমাতেঃরক্তচাপ বাড়লে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। হঠাৎ পড়ে গেলে শরীরের কোন অংশ অকেজো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, শরীরে অসাড়তা দেখা যায়। উচ্চরক্তচাপ আক্রান্তরা কাঁচা বা পাঁকা পেঁপে ব্যবহার করতে পারেন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ পেঁপেতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি ও ই। এই ভিটামিন গুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে। এছাড়া পেঁপেতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ যা চোখের জন্য উপকারী।
ফাইলেরিয়া রোগ হলেঃ ফাইলেরিয়া মশাবাহিত রোগ। ফাইলেরিয়ার বিভিন্ন উপসর্গ নিরাময়ে পেঁপে গাছকে ব্যবহার করা যায়। কয়েকটি পেঁপে পাতা সংগ্রহ করে সেগুলোকে গরম পানিতে ভালো করে ফুটিয়ে নিতে হবে। এবার পাতাগুলোকে গরম অবস্থায় সেঁকে নিয়ে নিয়মিত কয়েক দিন সেঁক দিলে ফাইলেরিয়ার উপসর্গ অনেকটা কমে যাবে।