কাঁঠালের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
ছবি: ইন্টারনেট
যে সব প্রশ্নের উত্তর পাবেনঃ কাঁঠালের বিচির পুষ্টিগুণ, কাঁঠালের বিচির উপকারিতা,কাঁঠাল পাতার উপকারিতা,কাঁঠালের বীজের উপকারিতা,কাঁচা কাঁঠালের উপকারিতা,কাঁঠালের বিচির উপকারিতা,কাঁঠালের উপকারিতা ও অপকারিতা,কাঁঠাল পাতার গুনাগুনকাঁঠালের অপকারিতা

কাঁঠাল এক প্রকারের হলদে রঙের সুমিষ্ট গ্রীষম্কালীন ফল। এটি বাংলাদেশের জাতীয় ফল হিসবে সরকারীভাবে নির্ধারিত। বাংলাদেশের সর্বত্র কাঁঠাল গাছ পরিদৃষ্ট হয়। কাঁঠাল গাছের কাঠ আসবাবপত্র তৈরীর জন্য অত্যন্ত সমাদৃত।

কাঁঠালের পুষ্টিগুন:

প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁঠালের পুষ্টি উপযোগিতা নিম্নরূপ: খাদ্যআঁশ  ২ গ্রাম, আমিষ  ১ গ্রাম, শর্করা ২৪ গ্রাম; চর্বি ০.৩ মিলিগ্রাম; ক্যালসিয়াম ৩৪ মিলিগ্রাম; ম্যাগনেশিয়াম ৩৭ মিলিগ্রাম; পটাশিয়াম ৩০৩ মিলিগ্রাম; ম্যাঙ্গানিজ  ০.১৯৭ মিলিগ্রাম; লৌহ ০.৬ মিলিগ্রাম; ভিটামিন এ ২৯৭ আই.ইউ; ভিটামিন সি ৬.৭ মিলিগ্রাম; থায়ামিন (ভিটামিন বি১) ০.০৩ মিলিগ্রাম; রিবোফ্লেবিন (ভিটা বি২)  ০.১১ মিলিগ্রাম; নায়াসিন (ভিটা বি৩) ০.৪ মিলিগ্রাম; ভিটামিন বি৬ ০.১০৮ মিলিগ্রাম ।

কাঁঠালের উপকারীতাঃ

কাঁঠাল পুষ্টি সমৃদ্ধ। কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে আমিষ, শর্করা ও ভিটামিন থাকায় তা মানব দেহের জন্য বিশেষ উপকারী।

(১)কাঁঠালে বিদ্যমান ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়ামের মত হাড়ের গঠন ও হাড় শক্তিশালী করণে ভূমিকা পালন করে।

(২) কাঁঠালে বিদ্যমান ক্যালসিয়াম কেবল হাড়ের জন্য উপকারী নয় রক্ত সংকোচন প্রক্রিয়া সমাধানেও ভূমিকা রাখে।

(৩)কাঁঠালে চর্বির পরিমাণ নিতান্ত কম। এই ফল খাওয়ার কারণে ওজন বৃদ্ধির আশংকা কম।

(৪)কাঁঠাল পটাশিয়ামের উৎকৃষ্ট উৎস। ১০০ গ্রাম কাঁঠালে পটাশিয়ামের পরিমাণ ৩০৩ মিলিগ্রাম। যারা পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এ জন্যে কাঁঠালে উচ্চরক্তচাপের উপশম হয়।

(৫)কাঁঠালে প্রচুর ভিটামিন এ আছেযা রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে।

(৬)চর্মরোগের সমস্যা সমাধানেও কাঁঠালের শেকড় কার্যকরী। জ্বর এবং ডায়রিয়া নিরাময় করে কাঁঠালের শেকড়।

(৭)কাঁঠালে আছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের দেহকে ক্ষতিকর ফ্রির্যাডিকেলস থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও আমাদেরকে সর্দি-কাশি রোগের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

(৮)টেনশন এবং নার্ভাসনেস কমাতে কাঁঠাল বেশ কার্যকরী।


(৯)বদহজম রোধ করে কাঁঠাল।

(১০)কাঁঠালে রয়েছে খনিজ উপাদান আয়রন যা দেহের রক্তাল্পতা দূর করে।

(১১)কাঁঠাল গাছের শেকড় হাঁপানী উপশম করে। শেকড় সেদ্ধ করলে যে উৎকৃষ্ট পুষ্টি উপাদান নিষ্কাশিত হয় তা হাঁপানীর প্রকোম নিয়ন্ত্রণে সক্ষম।

(১২)কাঁঠালে আছে বিপুল পরিমাণে খনিজ উপাদান ম্যাঙ্গানিজ যা রক্তে শর্করা বা চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

(১৩)কাঁঠালের অন্যতম উপযোগিতা হল ভিটামিন সি। প্রাকৃতিকভাবে মানবদেহে ভিটামিন “সি” তৈরি হয় না। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দাঁতের মাড়িকে শক্তিশালী করে ভিটামিন “সি”।

(১৪)কাঁঠালে আছে ভিটামিন বি৬ যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

(১৫)মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুকে কাঁঠালের রস খাওয়ালে শিশুর ক্ষুধা নিবারণ হয়। অন্যদিকে তার প্রয়োজনীয় ভিটামিনের অভাব পূরণ হয়।

(১৬)চিকিৎৎসা শাস্ত্র মতে প্রতিদিন ২০০ গ্রাম তাজা পাকা কাঁঠাল খেলে গর্ভবতী মহিলা ও তার গর্ভধারণকৃত শিশুর সব ধরনের পুষ্টির অভাব দূর হয়।

(১৭)কাঁঠাল আঁশালো বিধায় কোষ্ঠকাঠিণ্য দূর করে।

(১৮)কাঁঠালে বিদ্যমান ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস- আলসার, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ এবং বার্ধক্য প্রতিরোধে সক্ষম।

(১৯)কাঁঠালে বিদ্যমান ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়ামের মত হাড়ের গঠন ও হাড় শক্তিশালী করণে ভূমিকা পালন করে।

(২০)গর্ভবতী মহিলারা কাঁঠাল খেলে তার স্বাস্থ্য স্বাভাবিক থাকে এবং গর্ভস্থসন্তানের বৃদ্ধি স্বাভাবিক হয়।

বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায় - Ways to reduce electricity bills
গালিগালাজ স্বাস্থ্যের জন্য ভালো
সোনাপাতার ঔষধি গুণ
কলমি শাকের পুষ্টিগুণ
গ্রিন টি এর উপকারিতা
কাঁটা মান্দার গাছ
ঢেকি শাকের উপকারিতা
মাথার উকুন দূর করার ১০টি ঘরোয়া উপায়
স্ত্রীকে খুশি করার সহজ ১০ টি উপায় - 10 easy ways to make your wife happy
পার্টি মেকআপ করার নিয়ম - Party makeup rules