
কোন দুধ বেশি উপকারী, ঠান্ডা নাকি গরম? - Which milk is more beneficial, cold or hot?
পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ প্রথম সারির খাবারের নামের তালিকায় রয়েছে দুধের নাম। খাদ্যের প্রায় ৬টি উপাদানই এই খাবারে বিদ্যমান থাকায় শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক থেকে বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত সবারই প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ পান করা উচিত। শরীরে পুষ্টির জোগান দিতে দুধের কোনো বিকল্প নেই। তবে ঠান্ডা ও গরম দুধ খাওয়া নিয়ে রয়েছে বেশ বিতর্ক। অনেকে মনে করেন, গরম দুধ খেলে উপকার বেশি। আসলে কি তাই? অনেকেই আবার ঠান্ডা দুধ খেতে বেশি ভালোবাসেন। দুধে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, প্রোটিন, জিঙ্ক, ভিটামিন ডি-প্রচুর পরিমাণে রয়েছে, যা নানা সমস্যার হাত থেকে আমাদের শরীরকে রক্ষা করে। কিন্তু আপনি জানেন কি, কোন দুধ শরীরের জন্য বেশি উপকারী, ঠান্ডা নাকি গরম?
এ ব্যাপারে ডায়েট এক্সপার্টরা বলেন, দুধ ঠান্ডা হোক বা গরম দুটোই উপকারী। দুই ধরনের দুধ একেক ধরনের উপকার নিয়ে আসে। আসলে আপনি দুধ গরম খাবেন না ঠান্ডা, তা পুরোপুরি নির্ভর করে ঋতুর ওপর।
গরম দুধ কখন বেশি উপকারী?
১. অনেকেই অনিদ্রার সমস্যায় ভোগেন। এ ক্ষেত্রে গরম দুধ খেলেই সমস্যা কমবে। দুধে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড ঘুম আনতে সাহায্য করে।
২. ঋতু পরিবর্তনের সময়ে অনেকেই সর্দি-কাশি কবলে পড়েন। গরম দুধে মধু মিশিয়ে খেলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়। যাদের একটুতেই ঠান্ডা লেগে যাওয়ার সমস্যা আছে, তাদের জন্যও গরম দুধ ভাল। দুধে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল গুণ থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
৩. পিরিয়ডের সময় অনেকেরই পেটে অসহ্য যন্ত্রণা হয়। এই সময়ে খাদ্যতালিকায় অবশ্যই গরম দুধ রাখুন। দুধে থাকা পটাশিয়াম ব্যথা উপশম সাহায্য করে।
ঠান্ডা দুধ কখন বেশি উপকারী?
১. বদহজমের সমস্যা কিংবা পেটে আলসারের সমস্যা থাকলে গরম দুধ না খাওয়াই ভাল। এ ক্ষেত্রে ঠান্ডা দুধ খেলে সমস্যা কমতে পারে। ঠান্ডা দুধে এক চামচ ইসবগুল মিশিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যে দূর হয়, হজমও ভাল হয়।
২. ঠান্ডা দুধ ওজন ঝরাতে সাহায্য করে। ঠান্ডা দুধ খেলে বিপাক হার বেড়ে যায়, ফলে বেশি মাত্রায় ক্যালোরির খরচ হয়। তাই যারা ওজন ঝরানোর পরিল্পনা করছেন, তারা ঠান্ডা দুধ খেলে বেশি উপকার পাবেন। হালকা ক্ষিদে পেলে ভাজাপোড়ার পরিবর্তে এক গ্লাস দুধ পারেন। পেট অনেক ক্ষণ ভর্তি থাকবে।
৩. ঠান্ডা দুধে প্রচুর পরিমাণে ইলেকট্রোলাইট থাকে। ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও ঠান্ডা দুধ দারুণ উপকারী।