পাইলস বা অর্শ রোগের কারণ ও প্রতিকার
পাইলস বা অর্শ

পাইলস বা অর্শ রোগের কারণ ও প্রতিকার

পায়ুপথের বিভিন্ন রোগের মধ্যে পাইলস বা অর্শ ব্যাপকভাবে দেখা যাওয়া একটি রোগ। যা বেশিরভাগ মানুষেরই হয়। যার ভালো চিকিৎসাও আছে। সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে রোগী পুরোপুরি সুস্থও হতে পারে।

অর্শ রোগ কি? হেমোরয়েডস বা পাইলস কী?

মলাশয়ের নিচের অংশ বা মলদ্বারের শিরাগুলো ফুলে যাওয়াকেই পাইলস বা হেমোরয়েডস বলে। হেমোরয়েডস দু’ধরনের হয়, আভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক।

আভ্যন্তরীণ হেমোরয়েডস পায়ুপথ বা মলদ্বারের অভ্যন্তরে হয়ে থাকে। বাহ্যিক হেমোরয়েডস পায়ুপথের বাইরের দিকে হয়। এই দু’ধরনের হেমোরয়েডসের মধ্যে সবচেয়ে কমন হচ্ছে বাহ্যিক হেমোরয়েডস। পাইলস বা হেমোরয়েডসকে অর্শরোগও বলা হয়। হেমোরয়েডস শব্দটি মার্কিন ভাষা।

অর্শ বা পাইলস কারণসমূহ

১. দীর্ঘমেয়াদী কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া

২. শাকসব্জী ও অন্যান্য আঁশযুক্ত খাবার এবং পানি কম খাওয়া

৩. শরীরের অতিরিক্ত ওজন

৪. গর্ভাবস্থা

৫. লিভার সিরোসিস

৬. মল ত্যাগে বেশী চাপ দেয়া

৭. অতিরিক্ত মাত্রায় লেকজেটিভ (মল নরমকারক ওষুধ)ব্যবহার করা বা এনেমা (শক্ত মল বের করার জন্য বিশেষ তরল মিশ্রণ ব্যবহার করা) গ্রহণ করা

৮. টয়লেটে বেশী সময় ব্যয় করা

৯. বৃদ্ধ বয়স

১০. পরিবারে কারও পাইলস থাকা

১১. ভার উত্তোলন, দীর্ঘ সময় বসে থাকা ইত্যাদি।

অর্শ বা পাইলস রোগে করণীয়

১. কোষ্ঠকাঠিন্য যেন না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকা এবং নিয়মিত মলত্যাগ করা।

২. পর্যাপ্ত পরিমাণে শাকসবজী ও অন্যান্য আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া এবং প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা।

৩. সহনীয় মাত্রার অধিক পরিশ্রম না করা।

৪. প্রতিদিন ৬-৮ ঘন্টা ঘুমানো।

৫. শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা।

৬. টয়লেটে অধিক সময় ব্যয় না করা।

৭. সহজে হজম হয় এমন খাবার গ্রহণ করা।

৮. ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া লেকজেটিভ বেশি গ্রহণ না করা।

৯. মল ত্যাগে বেশি চাপ না দেয়া।

১০. দীর্ঘমেয়াদী ডায়রিয়া থাকলে তার চিকিৎসা নেয়া।

অর্শ বা পাইলস রোগে গ্রহণীয় কিছু খাবার

শাকসবজি, ফলমূল, সব ধরণের ডাল, সালাদ, দধি, পনির, গাজর, মিষ্টি কুমড়া, লেবু ও এ জাতীয় টক ফল, পাকা পেপে, বেল, আপেল, কমলা, খেজুর, ডিম, মাছ, মুরগীর মাংস, ভূসিযুক্ত (ঢেঁকি ছাঁটা) চাল ও আটা ইত্যাদি।

অর্শ বা পাইলস রোগে বর্জনীয় কিছু খাবার

খোসাহীন শস্য, গরু, খাসি ও অন্যান্য চর্বিযুক্ত খাবার, মসৃণ চাল, কলে ছাঁটা আটা, ময়দা, চা, কফি, চীজ, মাখন, চকোলেট, আইসক্রীম, কোমল পানীয়, সব ধরণের ভাজা খাবার যেমন- পরোটা, লুচি, চিপস ইত্যাদি।

জেনে নিন শসা খাওয়ার উপকারিতা
রামবুটান এর উপকারিতা ও গুণাগুণ
জলপাইয়ের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
ডেউয়া ফলের স্বাস্থ্য উপকারিতা
চিরতা গাছের গুনাগুন
ঢেঁড়সের পুষ্টিগুণ
লেটুস পাতার উপকারিতা
রোজায় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধানে যা করবেন - What to do to solve gastric problems during ramadan
শোবার ঘর অভ্যন্তর নকশা
কনসিলার ব্যবহারের নিয়ম - Rules for using concealer