লতা কস্তুরি/কল কস্তুরি/মুসকদানা/বন ঢেঁড়স
সাধারন নাম: Musk Mallow, Musk okra, Ambrette, ornamental okra, annual hibiscus, yorka okra, galu gasturi, bamia moschata, Muskdana, Ornamental okra
বৈজ্ঞানিক নাম: Abelmoschus moschatus
লতাকস্তুরী বর্ষজীবী লতা জাতীয় উদ্ভিদ। জঙ্গলের ধারে জন্মে। পশ্চিম ভারতের উপকূল, উত্তর নেপাল ও বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে এটি বেশি পাওয়া যায়। পাতা রোয়াযুক্ত,ডগা ও কিনারা কাকরা কাটা। পাতার দুই পিঠই রোমশ। ফলের রঙ হলুদ, মাঝে বেগুনী। ফল লম্বায় ছয় সেন্টিমিটার, ডগা সূচালো ও রোমযুক্ত। ফলের মধ্যে কালো রঙের বীজ হয়। মৃগনাভী কস্তুরীর যে সুগন্ধ, লতাকস্তুরীর সুগন্ধও তেমনই। যারা যৌন দুর্বলতায় আক্রান্ত, নিয়মিত লতাকস্তুরী ব্যবহারে তারা উপকার পাবেন। লতাকস্তূরীতে সাধারণত বর্ষকাল থেকে শীতকাল পর্যন্ত ফুল ও ফল পাওয়া যায়।
লতাকস্তুরীর ওষুধী গুন:
১. ক্লান্তিতে-অনেকসময় একনাগারে বেশি পরিশ্রম বা কাজ করলে শরীরে ক্লান্তি আসে। এই ক্লান্তি ভাব দূর করতে হলে কস্তুরি গাছের ১০-১৫টি বীজ জল দিয়ে বেটে চিনি মিশিয়ে শরবতের মতো ২-৩ দিন খেলে শরীরের ক্লান্তি ভাব দূর হয়।
২. পেট ফাঁপা- বদ হজমের কারণে কারো পেট ফেঁপে গেলে এর বীজ গুঁড়ো করে অল্প গরম পানিতে গুলে নিয়ে ২ চামচ পরিমাণ খেলে পেট ফাঁপা ভালো হয় এবং খাবারে রুচি হয়।
৩. লতাকস্তুরী বীজের গুড়া দেড় গ্রাম, এক গ্লাস ঠান্ডা পানির সাথে খেলে ধীরে ধীরে শুক্র বেড়ে যায়। তবে নিয়মিত একমাস ধরে খাওয়া উচিত।
৪. লতাকস্তুরী বীজ পাকস্থলীর রোগে, লিওকোর্ডোমা ও অন্যান্য চর্মরোগে, কুষ্ঠরোগে, বিছা ও সাপের কাড়ডে ফলপ্রদ।
৫. লতাকস্তরীর বীজের গুঁড়ো তিন গ্রাম এবং গাভীর কাঁচা দুধ তিন থেকে চার চামচ একসঙ্গে মিশিয়ে পাঁচড়ায় লাগালে পাঁচড়া ভাল হয়ে যায়। এছাড়া দাদের ওপর প্রলেপ দিলে উপকার পাওয়া যায়।
৬. লতাকস্তুরী বীজ পাকস্থলীর রোগে, লিওকোর্ডোমা ও অন্যান্য চর্মরোগে, কুষ্ঠরোগে, বিছা ও সাপের কাড়ডে ফলপ্রদ।
৭. বীজের গুড়া ক্ষতস্থানে প্রয়োগ করে সাপে কামড়ের চিকিৎসা করা হয়।
৮.চোখে ঝাপসা দেখা, জল ঝরা, চোখ ফুলে যাওয়া, টনটন করা এসব রোগের বেলায় কস্তুরি বীজ অধিক কাজ দেয়।
৯. বদ হজমের কারণে কারো পেট ফেঁপে গেলেও এর বীজ বিশেষ উপকারী। এজন্য বীজ গুঁড়ো করে অল্প গরম পানিতে গুলিয়ে নিয়ে ২ চামচ পরিমাণ খেলে পেট ফাঁপা ভালো হয় এবং খাবারে রুচি হয়।