হরতকি খেলে কী কী উপকার হয়-What are the benefits of taking chebulic myrobalan
chebulic myrobalan

হরিতকী ফলের উপকারিতা ও ব্যবহার-chebulic myrobalan Fruit Benefits and Uses

আয়ুর্বেদিক বিজ্ঞানে ত্রিফলা নামে পরিচিত তিনটি ফলের মধ্যে একটি হচ্ছে  হরতকি। এর নানাবিধ গুণ আছে। এটি স্বাদে তিক্ত বা তিতা একটি ফল। এতে ট্যানিন, অ্যামাইনো এসিড, ফ্রুকটোজ ও বিটা সাইটোস্টেবল সমৃদ্ধ উপাদান রয়েছে।

ইংরেজি নাম: black- or chebulic myrobalan

বৈজ্ঞানিক নাম: Terminalia chebula

বিবরণঃ

হরিতকি গাছের বৈজ্ঞানিক নাম হলো টারমেনালিয়া চেবুলা। এটি সাধারনত বীজ থেকে গজাতে ১০-১৬ দিন সময় লাগে। এবং এটি ফল হতে দুই এক বছর অপেক্ষা করতে হয়। আর হরিতকি গাছ বাংলাদেশে প্রায় সকল অঞ্চলে দেখা যায়।এটি মধ্যম থেকে বৃহৎ আকারের বৃক্ষ। গাছ ৯০ থেকে ১২০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এর ফল পাকলে গাছ থেকে ঝরে পরে। ফুল সাদা বা হলুদ হয় এবং স্পইকে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে। ফল ড্রপ, ঝুলন্ত, চার সে.মি লম্বা সবুজাভ হয়। কাঠের রং ঘন বেগুনি, খুব শক্ত, ভারী ও মাঝারি আকারের টেকসই।

হরতকীর ব্যবহার:

হরতকী দেহের অন্ত্র পরিষ্কার করে এবং একই সঙ্গে দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে। এটা রক্তচাপ ও অন্ত্রের খিঁচুনি কমায়। হৃৎপিণ্ড ও অন্ত্রের অনিয়ম দূর করে। এটা রেচক, কষাকারক, পিচ্ছিলকারক,পরজীবীনাশক, পরিবর্তনসাধক, অন্ত্রের খিঁচুনি রোধক এবং স্নায়বিক শক্তিবর্ধক। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য, স্নায়বিক দুর্বলতা, অবসাদ এবং অধিক ওজনের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। হরতকীতে অ্যানথ্রাকুইনোন থাকার কারণে রেচক বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে হরতকী। অ্যালার্জি দূর করতে হরতকী বিশেষ উপকারী। হরতকী ফুটিয়ে সেই পানি খেলে অ্যালার্জি কমে যায়। হরতকীর গুঁড়া নারিকেল তেলের সঙ্গে ফুটিয়ে মাথায় লাগালে চুল ভালো থাকবে। হরতকীর গুঁড়া পানিতে মিশিয়ে খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে। গলা ব্যথা বা মুখ ফুলে গেলে হরতকী পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি দিয়ে গার্গল করলে আরাম পাবেন। দাঁতে ব্যথা হলে হরতকী গুঁড়া লাগান, ব্যথা দূর হবে। রাতে শোয়ার আগে অল্প বিট নুনের সঙ্গে ২ গ্রাম লবঙ্গ বা দারুচিনির সঙ্গে হরতকীর গুঁড়া মিশিয়ে খান পেট পরিষ্কার হবে।

হরিতকী ফলের উপকারিতা ও ব্যবহার 

উপরিক্ত আগেই বলা হয়েছে এই গাছের অনেক গুনাগুন রয়েছে আবারো বলা হলোঃ এই গাছের প্রত্যেকটা অংশ যেমন গাছের ফল,বীজ,পাতা, সব কিছুই মানুষের উপকার হয় ঔষধি হিসাবে। এই হরিতকি মানুষের বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে এই গাছ বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এই হরিতকী ভেজানো জল সব রোগের মহৌষধ হিসাবে কাজ করে এমন কি ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস জনিত রোগের ক্ষেত্রে বিশেষ কার্যকারিতা পালন করে থাকে। কেউ যদি হরীতকী ভেজানো পানি/জল নিয়মিত ব্যবহার করলে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। হরতকির পুষ্টিগুন অনেক বেশি তাই আমাদের আরো জানা প্রয়োজন কোন কোন রোগের হাত থেকে দেহকে রক্ষা করতে পারে ও কার্যকারিতা পাওয়া যায়।

কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ:

এই রোগ খুবই মারাত্মক ও বেদনা দায়ক। এই রোগ হলে শরীর শুকিয়ে যায় রোগির খাওয়ার রুচি থাকে না। এই রোগ যদি কেউ সহজে না সারাতে পারে তাহে তার পর্বতীতে আরো বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিবে। এই রোগ কে দ্রুত্ব সারাতে হতে। এই রোগ নিরাময়ের সহজ পদ্ধতি হলো হরিতকির ভেজানোর পানি পান করেন নিয়মিত দেখবেন কয়েক দিনের মধ্যে ভালো উপকার পাবনে।

এলার্জি রোগ:

এই রোগ প্রায় লোকের হয়ে থাকে এলার্জি জনিত খাবারের কারনে। এই এলার্জি একটি বিরক্তিকর রোগ। এলার্জি বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে একধরনের এলার্জি হলো শরীর ফুলে যায় এবং চুল কায়। এই হরিতকি ভেজানো পানি খেলে সব ধরনের এলার্জি ভালো হয়ে যায়।

হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে:

যাদের হজম ক্ষমতার সমস্যা হয়। যখন আপনার খাবারের মধ্যে থাকা পুষ্টিগুণ ভাল ভাবে শরীরে মেশে না। এমন কি ভাল করে পাকস্থলী খাবার পরিপাক করতে না পারলে হজমে সমস্যা হয়। এই হজমের সমস্যা সমাধানের জন্য পাকস্থলীর যাবতীয় কাজ ঠিক ভাবে হওয়া দরকার। এই হরিতকী ঠিক এই কাজটিই করে। কেউ যদি দুপুরে আর রাতে খাবারের পর হরিতকী গুঁড়ো যদি অল্প উষ্ণ গরম জলে মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে খুব ভাল উপকার পাবেন। তবে এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যাও কমবে।

রূপ সম্পর্কীয় সমস্যার সমাধানে:

প্রত্যেক মানুষের শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি আমাদের ত্বক বা চুলের সমস্যায় যে হরিতকী ভাল কাজ করে তার আভাষ আগেই দিয়েছিলাম। তবে এবার কিছু দিক ধরে ধরে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব কীভাবে হরিতকী আপনাকে চুল হোক বা ত্বক, বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে।

হার্ট ভালো রাখতে হরিতকী:

হরিতকী অন্যতম কাজ এই হার্টের ওপর। তবে হার্টের বেশ কিছু সমস্যা, উদাহরণস্বরুপ, হার্টবিট কম হওয়া, বুক ধড়ফড় করা, হাল্কা চিনিচিনে ব্যথা, তবে এইসবই হরিতকীর গুণে কমে আসতে পারে। এই হরিতকী হার্টের মাসল মজবুত করে, রক্ত সঞ্চালন আর পাম্পিং ক্ষমতা বাড়ায়। এর সঙ্গে কোলেস্টেরল হওয়ার মাত্রাও অনেক কমিয়ে আনে। তাই হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ব্লক বা রক্ত জমাট বাধার মতো সমস্যা হওয়ার প্রাথমিক প্রবণতা অনেক কমে আসে। কিন্তু চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ তবে অবশ্যই করতে হবে বেশি সমস্যায় হলে।

আর্থ্রারাইটিস নিরাময়ে:

বর্তমান শুধু বয়স্ক মানুষ নন, আজকাল অনেক কম বয়সের মানুষেরও হাঁটুর ব্যথা, গাঁটের ব্যথা এই সব হয়। তবে এই ক্ষেত্রে ওষুধ খাওয়ার পাশে হরিতকী যদি আপনি ব্যবহার করেন তাহলে তা হবে সোনায় সোহাগা। এই হরিতকীর মধ্যে ক্যালসিয়াম আছে প্রচুর পরিমাণে। কিন্তু ক্যালসিয়াম হাড় শক্ত করতে, টিস্যু মজবুত করতে সাহায্য করে। সুতরাং বোন টিস্যু, হাড় মজবুত হলেই ব্যথা, জয়েন্ট পেইন কম হবে। তবে হরিতকীর তেল, যে কোনও ভাল আয়ুর্বেদিক দোকানে বা অনলাইনে পাওয়া যায়, তা কিনে মালিশ করতে পারেন। তা না হলে বাড়িতেই তেল বানিয়ে নিন। হরিতকী ১০টা ফল নিয়ে আগে রোদে এক সপ্তাহ শুকিয়ে নিন। এরপর এই হরিতকী গুঁড়ো করে নিন। তারপর সর্ষের তেলের মধ্যে এই হরিতকী গুঁড়ো আর রসুন নিয়ে নেড়ে সেই তেল ঠাণ্ডা করে মালিশ করতে পারেন।

অ্যালজাইমার সমস্যা সমাধানে:

অ্যালজাইমা হলো স্নায়ু বা নার্ভের সমস্যা। তবে অনেক সময়ে আমরা ভুলে যেতে থাকি অনেক কিছু। কিন্তু বয়স বাড়লে এটা আরও বেশি হয়। একে বুদ্ধিভ্রংশের সমস্যা বলা হয়। এটি স্নায়ু দুর্বল হলে অনেক সময়ে খিঁচ রোগ হয়, নানা রকম বিকৃতি দেখা যায়। কিন্তু এর সবের সমাধান আয়ুর্বেদিক মতে হরিতকী। আয়ুর্বেদিক মতে হরিতকী খেলে আমাদের স্মৃতিশক্তি বাড়ে। তখন আমরা অনেক বেশি মন দিয়ে শান্ত হয়ে কাজ করতে পারি। কেউ যদি হরিতকী চূর্ণ রোজ দুই বেলা হাফ চামচ করে খেলে সে উপকার অবশ্যই পাবে।

ডায়াবেটিস নিরাময়ে:

এখনকার দিনে ডায়াবেটিস প্রায় মহামারীর পর্যায়ে চলে গেছে। ডায়াবেটিস প্রত্যেক ঘরে ঘরে আজ এই সমস্যা। ডায়াবেটিসকে আয়ুর্বেদ বলছে হরিতকী রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ার সমস্যাতেও উপকারে আসে। তবে এর মধ্যে থাকা হাইপোগ্লাইকেমিক উপাদান শর্করার মাত্রা রক্তে ঠিক রাখে। এই হরিতকী ফল গ্লুকোজের অতিরিক্ত উৎপাদন হতে দেয় না, একটা ভারসাম্য বজায় রাখে। এর ফলে আমরা ডায়াবেটিসের সমস্যায় কম ভুগি।

সেক্সুয়াল হেলথ বৃদ্ধি করে:

প্রাচীন যুগ থেকে আজকের প্রজন্ম, সেক্সুয়াল হেলথের দিকে কিন্তু নজর আলাদা ভাবে দিয়েছি সকলেই। তবে নারী ও পুরুষ, উভয়ের ক্ষেত্রেই হরিতকী সেক্সুয়াল হেলথ মজবুত করতে পারে। এটি স্ট্রেস কমিয়ে সেক্স হরমোন, মানে টেস্টোস্টেরন বা প্রজেস্টেরন হরমোনের নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে, নিয়মিত নিঃসরণ বজায় রাখে। এর ফলে ‘সেক্স আর্জ’ বা চাহিদা তৈরি হতে থাকে।এই হরিতকী পুরুষের মধ্যে শক্তি, ক্ষমতা আর নারি-পুরুষ উভয়ের মধ্যেই উৎপাদন শক্তি অনেক বাড়ায়।

চুলের যত্নে হরিতকি:

বর্তমান সময়ে ছেলে এবং মেয়ে উভয়ে চুল নিয়ে অনেক টেনশন করে থাকে। যার এই চুল নিয়ে অনেক টেনশনে আছেন। তাদের জন্য সুখবর কেননা এই প্রাকৃতিক গাছ চুলের জন্য অনেক উপকার করে থাকে। কেউ যদি হরিতকির গুড়ার সাথে নাঈকেল এর তেল মিশিয়ে মাথায় ব্যবহার করলে তার চুল পড়া বন্ধ হবে।

চুলের যত্ন করার সহজ উপকরণঃ ১ চামচ আমলা পাউডার, ২ চামচ হরিতকী পাউডার, হাফ চামচ বহেরা পাউডার আর হেনা পাউডার।

চুলের যত্ন করার সহজ পদ্ধতিঃ আপনি যেটা করবেন একটি পাত্রে সব উপকরণ নিয়ে পানি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। তারপর সপ্তাহে এক দিন চুলে এই মিশ্রণ ব্যবহার করে ১ ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর ভাল করে ধুয়ে কন্ডিশনার ব্যবহার করে নিন। তারপর শ্যাম্পু আলাদা করতে হবে না। বরংচ চুল ফুরফুরে হবে এবং চুলের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।

ত্বকের যত্নে হরিতকির ব্যবহার:

আমরা সবাই ত্বক ভালো রাখতে চাই তবে কয় জনে পারি। আপনি যদি ত্বক ভালো রাখতে চান তাহলে হরিতকির গুড়া পানিতে ভিজিয়ে রেখে নিয়মিত খেলে ত্বক ধীরে ধীরে উজ্জল হবে।

শিশুদের সর্দি নিরাময়ে:

ছোট শিশুদের সর্দি হলে হরিতকির গাছের গুড়ার সাথে মধু মিশিয়ে খেলে সর্দি দ্রুত্ব সর্দি ভালো হয়।

চোখের রোগ:

হরিতকি ফলের একটি গুণ হলো চখের নানা ধরনের কাজ করে থাকে। তবে আপনি চাইলে হরিতকির ভেজা পানি দিয়ে মুখ ধুলে চোখের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

ব্রণ কমাতে হরিতকি:

যাদের ত্বক তেলতেলে তাঁদের ব্রণ খুবই হয়ে থাকে। কিন্তু ব্রণ কমে গেলেও ব্রণের দাগ সহজে যেতে চায় না। তবে হরিতকীর সাহায্যে এই ব্রণের দাগ দূর করা সহজে সম্ভব।

ব্রণের দাগ দূর করার সহজ উপকরণঃ ১ চামচ চন্দন বাটা, ১ চামচ কাঁচা হলুদ বাটা, ২ চামচ হরিতকী গুঁড়ো।

ব্রণের দাগ দূর করার করার সহজ পদ্ধতিঃ সব উপকরণ ভাল করে মিশিয়ে নিন। ব্রণ যে যে জায়গায় হয়েছে সেই সেই জায়গার ওপর দিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট মতো। তারপর সাধারণ তাপমাত্রার জল দিয়ে ধুয়ে নিন। এটি এক দিন ছাড়া ছাড়া করুন খুব ব্রণর সমস্যা হলে। কম ব্রণ থাকলে বা ব্রণর দাগ কম থাকলে সপ্তাহে তিন দিন করলেই হবে। এক মাসের মধ্যে অনবদ্য ফল আপনার চোখের সামনেই থাকবে। হরিতকী আর হলুদ, এই দুইয়ের অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টি ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ যাতে কম হয় তা দেখবে। চন্দন অতিরিক্ত তেলতেলে ভাবও কমাবে।

দাঁতের জন্য:

হরিতকীর মধ্যে ক্যালসিয়াম আছে আগেই বলেছিলাম। কিন্তু আমাদের দাঁত তো ক্যালসিয়াম দিয়েই তৈরি। সুতরাং হরিতকী ব্যবহার করলে দাঁতের বেশ কিছু সমস্যা অনায়াসেই দূর হয়ে যায়। যদি আপনার দাঁতে গর্ত হলে বা ক্যাভিটি হলে কি করবেন সেই আলোচনায় আসি।

যদি দাঁতে গর্ত হয় ডাক্তার তো অবশ্যই দেখাতে হবে। তবে কিন্তু ব্যথা যে হয় সেটা প্রাথমিক ভাবে হরিতকী ব্যবহার করে কমিয়ে আনা সম্ভব। এর জন্য হরিতকী দিয়ে একটা পেস্ট বানাতে হবে। পথমে হরিতকী রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে তার মধ্যে অল্প পনি মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করুন। যদি ব্যথা হয় বা চিনচিন করে ওই গর্তের জায়গায় এই পেস্ট অল্প দিয়ে রেখে দিন। দেখবেন ধীরে ধীরে দেখবেন ব্যথা কমে আসছে।

দাঁত পরিষ্কার রাখতে:

অনেকের দাঁতে হলদে হলদে ছোপ ছোপ পড়ে যাওয়া। তবে অনেক কিছু করেও এর থেকে সহজে মুক্তি মেলে না। আপনি হরিতকী একবার ব্যবহার করে দেখুন। যদি হরিতকী গুঁড়ো দিয়ে শুধু দাঁত মাজতে পারেন। এটা করলে সবচেয়ে ভাল হয়। তা না হলে আপনি যে মাজন ব্যবহার করেন তার সঙ্গে হরিতকী গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। আপনি রোজ যে পেস্ট দিয়ে দাঁত মাজেন। সেই মাজন দুই থেকে তিন সপ্তাহ ব্যবহার করে দেখবেন দুই থেকে তিন সপ্তা মধ্যে দাঁত অনেকটা সাদা হয়ে আসবে।

মূখে ছিদ্র হ্রাস করে:

যাদের মুখে বড় বড় ছিদ্র দেখা যায়। মনে হয় খুব জোরে জোরে স্ক্রাব করার জন্য বা কিছু জিনিস মুখে মাখার জন্য এতো বড় ছিদ্র হয়ে গেছে। কিন্তু এর থেকে হরিতকী উপকার করবে। ছিদ্র বা মুখের ছিদ্র কমিয়ে আনবে এই পেস্ট।

মূখে ছিদ্র হ্রাস করার সহজ উপকরণঃ হাফ চামচ বেসন, হাফ চামচ মুলতানি মাটি, ১ চামচ হরিতকী পাউডার, ১ চামচ গোলাপ জল।

মূখে ছিদ্র হ্রাস করার সহজ পদ্ধতিঃ হরিতকীর সব উপকরণ ভাল করে মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন।পানি দেবেন না, শুধু গোলাপ জল দিয়ে গুলবেন। তারপর এই পেস্ট মুখে মেখে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দু দিন ব্যবহার করুন আর একমাস টানা ব্যবহার করুন। অনেক উপকার পাবেন আপনি।

ডার্ক সার্কেল নিরাময়ে:

অনেকেই চিন্তা বেশি করে বা নিয়ম করে না ঘুমিয়ে এই অবস্থা। এর চোখের কোলে কালি আমাদের সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়। তবে এর জন্যও হরিতকীর বিশেষ প্রয়োগ আছে।

সহজ উপকরণঃ হাফ চামচ অ্যালোভেরা জেল, ১ চামচ হরিতকী গুঁড়ো, ২ ফোঁটা আমন্ড অয়েল।

সহজ পদ্ধতিঃ হরিতকীর সব উপকরণ মিশিয়ে মোটামুটি ঘন একটা পেস্ট বানান। এরপর চোখের নিচের অংশে লাগিয়ে সার্কুলার মোশনে ম্যাস্যাজ করুন হালকা করে। এর ১৫ মিনিট রেখে দিন শুকিয়ে যাওয়ার জন্য। এর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। আপনি সপ্তাহে তিন দিন করুন খুব ভাল ফল পাবেন।

ঔষধি উদ্ভিদের তালিকা - List of medicinal plants
ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
হরতকি ফলের গুনাগুণ-Properties of Myrobalan Fruit
কিভাবে চুলের যত্ন নিবেন
মেয়েদের জন্য সেরা ১০টি বডি স্প্রে