
ইঁদুর প্রাণীটি ছোট হলেও ক্ষতির ব্যাপকতা অনেক। এরা যে কোনো খাদ্য খেয়ে বাঁচতে পারে।যে কোনো পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারে। অল্প বয়সে বাচ্চা দিতে পারে। ১৭০০টি ইঁদুরজাতীয় প্রজাতির মধ্যে বাংলাদেশে ২২টির অধিক ক্ষতিকারক ইঁদুরজাতীয় প্রজাতি শনাক্ত করা হয়েছে।ইঁদুর ৬০টির বেশি রোগের জীবাণু বহন ও বিস্তার করে। এর মধ্যে রয়েছে প্লেগ, অ্যাইরোসিস, চর্মরোগ, কৃমি রোগ, হান্টা ভাইরাস, ইঁদুরে কামড়ানো জ্বর, টাইফয়েড, জন্ডিস, ক্ষেত্রবিশেষে জলাতঙ্ক।
ইঁদুরে কামড়ালে যা করবেন
(১)এখন প্রশ্ন হচ্ছে, র্যাবিস ভ্যাকসিন নেবেন কি নেবেন না। আমেরিকানভিত্তিক গবেষণায় বলা হয়েছে, ইঁদুর সাধারণত জলাতঙ্ক ছড়ায় না। তবে ইঁদুর যদি গৃহের না হয়ে বন্য হয় এবং জলাতঙ্কের জীবাণু বহন করে, তবে অবশ্যই র্যাবিস ভ্যাকসিন নিতে হবে।
(২)কামড়ের জায়গাটি অ্যান্টিসেপটিক বা পারঅক্সাইড দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করুন।
(৩)প্রথমে রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে হবে।
(৪)একটি টিটি টিকা নিতে হবে।
(৫)আক্রান্ত জায়গাটি পরিষ্কার গরম পানি ও সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
(৬)রক্তক্ষরণ বন্ধ করার জন্য পরিষ্কার কাপড়, গজ ব্যান্ডেজ দিয়ে কয়েক মিনিট চেপে ধরুন।
(৭)সেকেন্ডারি ইনফেকশন থেকে বাঁচতে অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে।
(৮)পরিষ্কারের সময় ভালো করে খেয়াল করুন, যাতে কোনো ফরেনবডি না থাকে। ফরেনবডি থাকলে পরে জটিলতা হতে পারে।
চিকার কামড়ে কি করতে হয়