গাছের নাম পেপারোমিয়া । এটা কিন্তু ফেলনা বস্তু নয়।এর ইংরেজি নাম:pepper elder বা shining bush plant বা man to man । একটি ঔষধি গাছ এটি। বাত, গেঁটেবাত, ত্বক রোগ, পেটের ব্যথা ও কিডনি সমস্যার চিকিৎসা ব্যবহৃত হয়। এর পাতা ও কান্ড বেটে মলম হিসাবে ত্বকে প্রদাহ হলে প্রয়োগ করা হয় বাংলাদেশের সর্বত্র স্হানে জন্মালেও এগুলো একেক অঞ্চলে একেক নামে পরিচিত। সাধারণত নরম বেলে দোঁআশ মাটিই বেশি উপযোগি। লবণে খুব কমই জন্মে। রাস্তার পাশে, পুকুর পাড়, বিল, ধানক্ষেতের আইল ও সবজি ক্ষেতের নরম মাটিতে গাছটি বেশি জন্মাতে দেখা যায়। পতিত জায়গায়ও জন্মে। গাছটি দেখতে ঝাকালো, ঘন পাতা। এর পাতা সবুজ তবে আকারে ছোট। গাছটি লম্বায় ৩১-৪০ সেমি।। সাধারণত ১৫-৪৫ সেন্টিমিটার লম্বা হয়। পাতা গুলো উজ্জ্বল সবুজ রঙের হয়। এটার রয়েছে চকচকে রসপূর্ণ কাণ্ড, হৃদয় আকৃতির মাংসল পাতা। গাছের পাতা থেকে উদ্ভূত লম্বাটে আকারে ক্রমবর্ধমান ফুল রয়েছে। ফল খুব ছোট, আয়তাকার, শৈলশিরাময়। প্রথম সবুজ পরে কালো বৃত্তাকার হয়।
পেপারোমিয়া গাছের উপকারিতা:
(১)আফ্রিকায় খিঁচুনি এবং টিউমারের জন্য ব্যবহৃত হয়।
(২)বাংলাদেশে মানসিক উত্তেজনা রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
(৩)পাতার রস মূত্রনালির সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য ব্যবহার করা হয়.
(৪)কাণ্ড এবং পাতার তাজা রস চোখের প্রদাহ সারার কাজে ব্যবহার করা হয়।
(৫)বলিভিয়ায় জ্বরের জন্য ব্যবহৃত হয় শিকড়ের ক্বাথ; ক্ষত জন্য বায়বীয় অংশ।
(৬)ব্রাজিলে ফোঁড়া বা পাচড়া এবং নেত্রবর্ত্মকলার প্রদাহ উপশমের জন্য ব্যবহৃত হয়।
(৭)প্রদাহ নাশক, ত্বক স্নিগ্ধকারী ও বেদনানাশক, সংক্রামক বিরোধী, স্কিন ক্যানসার নিরাময়ক।
(৮)প্রদাহ নাশক, ত্বক স্নিগ্ধকারী ও বেদনানাশক, সংক্রামক বিরোধী, স্কিন ক্যানসার নিরাময়ক।
(৯)মাথাব্যথা, বাতের ব্যথা ও পুরুষত্বহীনতা রোধে ব্যবহৃত এ গাছের কাচা সালাদ অত্যন্ত কার্যকর।
(১০)ইনফিউশন এবং পাতার ক্বাথ এবং গেঁটেবাত এবং সাধারণ বাতের জন্য ব্যবহার করা হয় ডালপালা।
(১১)ইনফিউশন এবং পাতার ক্বাথ এবং গেঁটেবাত এবং সাধারণ বাতের জন্য ব্যবহার করা হয় ডালপালা।
(১২)ফিলিপাইনের ভেষজ উদ্ভিদ পেপেরোমিয়া গুল্ম বাত এবং গেঁটেবাত চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য গবেষণা চলছে।
(১৩)মুখের বাইরের রূপ সমস্যার জন্য পেপেরোমিয়া গুল্মের রস দিয়ে মুখ নিয়মিত ধুলে করলে উপকার পাওয়া যায়।
(১৪)জ্যামাইকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলে সর্দি, ঠাণ্ডা জন্য এবং কিডনি সমস্যার জন্য একটি মূত্রবর্ধক হিসাবে ব্যবহৃত।
(১৫)হালকা গরম পানিতে সম্পূর্ণ পেপেরোমিয়া গুল্ম ডুবিয়ে রেখে এর পানি নরম কাপড়ে নিয়ে ব্রণ যুক্ত মুখে সেক দিলে ব্রণ সমস্যা দূর হয়।
(১৬)এটি কাশি, জ্বর, সর্দি জ্বর, মাথা ব্যথা, স্বরভঙ্গ, ডায়রিয়ার বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হয়। কিডনি সমস্যা এবং প্রস্টেট সমস্যা ও উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও ব্যবহার করা হয়।
(১৭)বাতব্যথা কমানোর জন্য পত্রাদি এবং তাজা উদ্ভিদের কাণ্ড সালাদ হিসেবে খাওয়া যেতে পারে অথবা ২ গ্লাস ফুটন্ত পানির মধ্যে ২০সে:মি: পেপেরোমিয়া গুল্ম মিশিয়ে; এবং তা ১/২ কাপ সকালে ও সন্ধ্যায় নিয়ে যাওয়া হয়।
দীপ্ত লুচি পাতা