
কুকশিমা একটি গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। সাধারণ দৃষ্টিতে আমাদের কাছে আগাছা মনে হলেও গাছটি বেশ উপকারী এবং ঔষধি গুণসম্পন্ন।
কুকশিমা গাছের উপকারিতা:
(১)কাশি, পেটের শূল বেদনা, পেটফাঁপা, আমাশয় ও শোথ রোগে পাতা ও গাছের টাটকা রস অথবা চূর্ণ ২০/২৫ গ্রেন দু-এক চামচ মধুসহ সেব্য।
(২)কুকশিমা গাছ মূলসহ থেঁতো করে এই রস গরম করে সকাল বিকাল দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে রক্ত পিত্তে উপকার পাওয়া যায়।
(৩)কুকশিমা গাছ উপড়ে এনে ভালো ভাবে ধুয়ে বেটে সারা শরীরে মেখে একঘন্টা পর গোসল করে নিলে চুলকানি ভালো হয়।
(৪)অর্শ রোগের ক্ষেত্রে মূলসহ ১৭/১৮ গ্রাম সতেজ গাছ তিন/চারটি গোলমরিচের সঙ্গে বেটে এক গ্লাস কাঁচা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত পান করলে সেরে যাবে।
(৫)ফাইলেরিয়ায় গাছের মূলসহ ১০/১২ গ্রাম সতেজ গাছ চার/পাঁচটি গোলমরিচ ও এলাচ চার/পাঁচটি একসঙ্গে পানি দিয়ে শিলপাটায় পিষে এর পানীয় অংশ ছেঁকে কুসুম গরম পানিতে সকালে খালি পেটে একবার করে ২১ দিন খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
(৬)শ্বেতীরোগ বা চর্মরোগে বীজদানার মিহিগুঁড়ার লেই সরিষার তেলের সঙ্গে মিশিয়ে প্রতিদিন বাহ্যিকভাবে ব্যবহার করতে হয়। আবার বিকল্প হিসেবে বীজদানার চূর্ণ ১ থেকে ২ গ্রাম পরিমাণ মধুর সঙ্গে সেবন করলেও ভালো কাজ হবে।
(৭)চোখ ওঠায় গাছের পাতা ছেঁচে রস করে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে দুই চোখে দুই ফোঁটা করে সকাল-বিকাল তিন থেকে পাঁচ দিন দিলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
(৮)কুকশিমা গাছ মূলসহ থেঁতো করে এই রস গরম করে সকাল বিকাল দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে রক্ত পিত্তে উপকার পাওয়া যায়।
(৯)কুকশিমা গাছের কাঁচা অবস্থায় রস করে খেলে আমাশয় দ্রুত ভালো হয়।
এ গাছের ফুল, বীজ, পাতা, শিকড়সহ পুরো গাছই জ্বর, ফাইলেরিয়া, ক্রিমি সমস্যা, হজম সমস্যা, কাশি ও চর্মরোগের মহৌষধ। ৩ থেকে ৬০ সেন্টিমিটার উঁচু হতে পারে। কাণ্ড নরম ও অল্প শাখাবিশিষ্ট। পাতা বর্শাফলাকৃতির, নিচ থেকে ওপরের দিকে ক্রমে ছোট এবং উভয় পিঠ রোমশ। ফুলের রঙ গোলাপি বা বেগুনি। বীজত্বক দুই-তিন কৌণিক, ফল রোমশ। ফুল ও ফল প্রায় বর্ষব্যপ্ত।
আপনার মতামত লিখুন