ভুইকুমড়া গাছ
ভুইকুমড়া গাছ লতানো গাছ। আশ্রয় পেলে খুব সহজেই চারপাশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। বনবাদাড়, ঝোপজঙ্গল কিংবা পরিত্যক্ত স্থান পছন্দ। ভুঁউকুমড়া এর ইংরেজি নাম Ipomoea mauritiana। এই উদ্ধিদটি লতার মতো করে বড় কোন গাছের সাথে জড়িয়ে থাকে। মাটির নিচে আলুর মতো কুমড়া আকারের কন্দ তৈরি হওয়াতে এবং কুমড়ার মত দেখতে হওয়াতে এটার নাম দেওয়া হয়েছে ভুঁইকুমড়া।
পাতা সবুজ, মিষ্টি আলুর পাতার মতো, কিনারা গভীরভাবে খাঁজ কাটা, লতি ৫ থেকে ৭ ভাগে বিভক্ত। প্রায় ৬ ইঞ্চি লম্বা বোঁটায় ২ থেকে ৩ ইঞ্চি চওড়া গাঢ়-বেগুনি রঙের ফুলগুলো ফোটে। প্রধান প্রস্টম্ফুটনকাল বর্ষা-শরৎ হলেও শীতকাল ব্যতীত প্রায় সারা বছরই কমবেশি ফোটে। কন্দ বেশ বড়, সাদা ও সুমিষ্ট।
ভুইকুমড়া গাছের উপকারিতা
গ্রামীণ চিকিৎসা কাজে ভুঁইকুমড়ার ব্যবহার দেখা যায় অতি প্রাচীনকাল থেকে। ভুঁই কুমড়া একটি ঔষধি উদ্ভিদ হিসেবে গ্রামাঞ্চলে ব্যাপক জনপ্রিয়
মাটির নিচের যে কুমড়া হয় এর শাস রোদে শুকিয়ে গুড়া তৈরি করতে হয়। যেসব মায়েদের বুকের দুধ কম হয় তারা এই শুকনা গুড়া পানিতে ভিজিয়ে নিয়মিত খেলে দুধের চাহিদা পূরণ হয়।
ভুইকুমড়ার শুকনা গুড়া খেলে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ।মাটি থেকে তুলে ভালো করে পরিস্কার পানিতে ধুয়ে পিষে চাল-ধোয়া পানিতে এক থেকে দেড় ঘণ্টা ভিজিয়ে চিনি বা মিছরির সঙ্গে মিশিয়ে দৈনিক ৩ থেকে ৪ বার খেলে
নারীদের ঋতু বন্ধে এ গাছ ব্যবহার করে থাকে।