অপরাজিতা গাছের গুনাগুন

উদ্ভিদের নাম : 

স্থানীয় নাম : অপরাজিতা

বৈজ্ঞানিক নাম: Clitoria ternatia Linn 

গাছ: অপরাজিতা গাছের মূল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই গাছের মূল আমাদের জীবনের নানা প্রকার সমস্যার সমাধান করতে পারে। এই গাছ খুব সহজেই পাওয়া যাবে।এ লতা ২০ ফুট পর্য্ন্ত লম্বা হয়। 

ফুল: ফুলের ভেতর অন্যতম একটি ফুল হচ্ছে অপরাজিতা। এই ফুল দেখতে খুবই সুন্দরআমাদের দেশে নীল, সাদা, কদাচিৎ বেগুনি রঙের অপরাজিতা ফুল দেখা যায়।

অপরাজিতা গাছের গুনাগুন

১.হিস্টিরিয়ায় আক্রমনের সময় এর মূল গাছ ও পাতা থেঁতে ছেঁকে ১ চা চামচ রস কোনো রকমে খাইয়ে দিলে সেরে যায়।

২.বয়:সন্ধি কালীন উন্মাদ রোগ হলে এর মূলের ছাল ৩ থেকে ৬ গ্রাম পরিমান নিয়ে শিল বেটে দিনে ২ বার আতপচাল ধোয়া পানি দিয়ে খেতে হয়।

৩.এতে আছে অ্যান্থোসায়ানিন, যা আমাদের দেহে ফ্রি রেডিক্যাল তৈরিতে বাধা দেয়। যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।

৪.গলগন্ড রোগ হলে এর মূল ৫/৬ গ্রাম আন্দাজ ঘি দিয়ে শিলে পিষে অল্প মধু মিশিয়ে খেলে ভাল হয়ে যায়।

৫.এটি রক্তের ট্রাইগ্লিসারাইডস, কোলেস্টেরল ও এলডিএলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

৬.ঠান্ডাজনিত কারণে গলার স্বর ভেঙ্গে গেলে অপরাজিত গাছের লতানো পাতা ১০ গ্রাম পরিমাণে নিয়ে ৪/৫ কাপ পানিতে সিদ্ধ করতে হবে । সিদ্ধ পানি এক কাপ থাকা অবস্থায় নামিয়ে ছেকে ৪/৫ দিন ৩/৪ বার ১৫ মিনিট গারগোল করলে স্বর ভালো হয়ে যায়।

৭.পুরাণো ফুলা রোগে নীল অপরাজিতা পাতা মূল সহ বেটে অল্প গরম করে লাগালে ফুলা সেরে যায়।

৮. পলিফেনল ও ফ্লাভোনোয়েড যৌগ লিভার এনজাইমের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে লিভারের সুরক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা পালন করে থাকে।

৯.শিশু অথবা বয়ষ্ক যারা ঘন ঘন প্রস্রাব করে এই ক্ষেত্রে সাদা বা নীল অপরাজিতা গাছের মূল সহ রস করে এক চা চামচ প্রত্যহ ২ বার একটু দুধ মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

১০.এক টুকরা মূল ও গাছ থেঁতলে তার রস হাতের তালুতে নিয়ে নাক দিয়ে টেনে দিনে দু’তিন বার নস্যি নিলে মাথা ব্যাথা সেরে যায়। এছাড়াও অপরাজিতা ফুলের রয়েছে নানা উপকারিতা।

১১.শুষ্ক কাশি হলে অপরাজিতা মূলের রস ১ চা চামচ আধা কাপ অল্প গরম পানিতে মিশিয়ে নিতে হবে। সেই পানি ১০/১৫ মিনিট মুখেপুরে রেখে গারগেল করতে হবে। গারগেল করার সময় মাথা উঁচু করে রাখতে হবে যেন গলার তালুতে লাগে। 

১২.এটি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। অর্থাৎ এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

১৩এতে উপস্থিত স্যাপোনিন ও ফ্লাভোনোয়িড যৌগ অ্যাজমা প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

১৪.এটি স্মৃতিশক্তিবর্ধক হিসেবে অ্যালঝেইমার রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।

জেনে নিন শসা খাওয়ার উপকারিতা
বিয়ের মেকআপ করার পদ্ধতি - How to do wedding makeup
কাঁটা মান্দার গাছ
কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা
হারিয়ে যাচ্ছে বেতফল-cane fruit benefits
জেনে নিন অ্যালোভেরার উপকারিতা
শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার সহজ উপায় - An easy way to keep the body healthy
মেহেদি পাতার ঔষধি গুনাগুণ
সিজোফ্রেনিয়ার রোগের লক্ষণ ও করণীয়
সব থেকে ভালো মেকআপ কোনটি-What is the best makeup?