পরিচিতিঃ
নামঃ জয়ন্তী গাছের বৈজ্ঞানিক নাম হলো Sesbania sesban. এটি Fabaceac গোত্রের ফুল। এর আয়ুর্বেদিক নাম নাদেয়ী।
গাছঃ গাছটি লম্বায় ১০- ২০ফুট উচ্চতার হয়ে থাকে। জয়ন্তী গাছের শাখা প্রশাখা খুব বেশি লম্বা হয় না। বাংলাদেশ, ভারতের সর্বএই এই গাছ দেখা যায়।
পাতাঃ এই গাছের পাতা দেখতে অনেকটা তেঁতুল গাছের পাতার মত। এর কাণ্ড বাদামি রঙের হয়। পাতা পক্ষল যৌগিক। প্রায় ২০ জোড়া পত্রক থাকে।
ফুলঃ সাধারণত হলুদ, গোলাপি ও বাদামী এই ৩ ধরনের ফুল গাছভেদে দেখা যায়। ফুল ২ - ৩ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যের হয়ে থাকে। ৪ টি পাপড়ির মধ্যে ২ টি উল্টানো বিস্তৃত ও ২ টি একত্রীভূত। পৌষমাসে ফুল ফোটে।
ফলঃ ফল চিকন লম্বাটে, কাঁচা অবস্থায় সবুজ। শুকিয়ে গেলে বাদামি বর্ণ। প্রতিটি ফলে ২০-২৫টি বীজ থাকে।
জয়ন্তী গাছের গুনাগুণ
১.নাকের পানি প্রায় সারা বছরই পড়ে,কাচা সর্দি কিছুতেই যায় না তাদের পক্ষে ভাল ঔষধ হলো এই জয়ন্তী পাতা ৫/৬ গ্রাম একটু সিদ্ধ করে,তেল দিয়ে শাকের মতো খেলেই উপকার পাবে ।
২.মেয়েদের যৌনি পথ ছোট করতে এ গাছের কচি পাতা বেটে যৌনিতে লেপলে যৌন পথ ছোট হয়।
৩.জয়ন্তী পাতার রস একটু গরম করে নিয়ে দুধের সাথে মিশিয়ে শিশুকে খাওয়ান। এবং কিছু রস তেলের সাথে মিশিয়ে শিশুর বুকে ও পিঠে আস্তে আস্তে মালিশ করুন দেখবেন শিশুর সর্দি কমে গেছে।
৪.জয়ন্তীর বীজ ভালো করে বেটে দংশন স্থানে লাগালে উপকার হয়।
৫.নাক বন্ধ, মাথা ভার হলে জয়ন্তী পাতার রস ২ চা চামচ একটু গরম করে সকাল বিকেল খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৬.প্রসাব বেশি আখের রসের মতো গন্ধ ও হাটার শক্তি কমে যাচ্ছে । এক্ষেত্রে জয়ন্তী পাতার রস ২ চা চামচ ২ বার খেলে উপকার হবে ।
৭.শূলের বেদনা হলে ভূষিসহ গমের আটার সাথে জয়ন্তী পাতা বেটে রুটি তৈরি করে সহ্যমত গরম গরম বেদনা স্থানে লাগালে উপকার হয়।
৮.জ্বর ২ দিন বা ৩ দিন,অনেক সময় ১৫ দিন অন্তরও হয় ।এক্ষেত্রে জয়ন্তী বৃক্ষের শিকড় মাথায় বাধলে ওটা থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যায় ।
৯.শ্বেতী রোগ হলে জয়ন্তী মূলের ছাল বেটে দুধের সাথে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
১০.বসন্ত রোগ হলে জয়ন্তীর বীজ বেঁটে ঘি মিশিয়ে বাসি পানি দিয়ে খেলে বসন্ত রোগ ভালো হয়।