আলকুশী বীজের ১৫টি উপকারিতা
Velvet bean

পরিচিতি

গাছঃ এই গাছটি সাধারণত লোকালয়ের বাইরে, ঝোপে ঝাড়ে প্রায় এক‌ই জায়গায় বছরের পর বছর জন্মায় ।গুল্ম জাতীয় গাছ আলকুশি। শিম পরিবারের উদ্ভিদ এটি।

ফলঃ এর ফল অনেকটা শিমের মতো দেখতে। ফলে বীজ থাকে ৪ থেকে ৬টি। ১০০টি শুকনো বীজের ওজন ৫৫-৮৫ গ্রাম। এর বীজগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র লোম দ্বারা আবৃত থাকে যা সহজেই পৃথক হয়ে যায়।

নামঃ বিভিন্ন নামে পরিচিতি। যেমন-  আত্মগুপ্তা, স্বয়ংগুপ্তা, মহর্ষভী, কুণ্ডলী, দুঃস্পর্শা, রোমালু, শীম্বী ইত্যাদি ।

বৈজ্ঞানিক নাম: Mucuna pruriens

ইংরেজিতে এর নাম Velvet bean, Cowitch, Cowhage, Kapikachu, Nescafe, Sea bean।

এটি ফ্যাবাসি পরিবারের একটি উদ্ভিদ। বোটানিক্যাল নামের পুরিয়েন্স শব্দটি এসেছে ল্যাটিন ভাষা থেকে, যার অর্থ চুলকানির অনুভূতি।

পাতাঃ এর পাতা ৬–১০ ইঞ্চি লম্বা, পূষ্পদন্ড নিচের দিকে মুখ করে ঝুলে থাকে। ফলের খোসা ও পাতায় আছে- সেরাটোনিন, যার কারণে চুলকানির উদ্রেক হয়।

ফুলঃ সিমফুলের মত লালচে বেগুনী ফুল সেপ্টেম্বর–অক্টোবরে ফোটে। শুঁটি ২.৫ – ৪ ইঞ্চি লম্বা, ঈষৎ বাঁকা, বানরের গায়ের রঙ সদৃশ লালচে-খয়েরী ভেলভেটের মত সূক্ষ রোঁয়ায় আবৃত। 

আলকুশী বীজের উপকারিতা

মধ্য আমেরিকায় আলকুশির বীচি আগুনে ভেজে চূর্ণ করা হয় কফির বিকল্প হিসেবে। এ কারণে ব্রাজিলসহ অন্যান্য দেশে এর প্রচলিত নাম হচ্ছে নেস ক্যাফে। গুয়েতেমালায় কেচি সম্প্রদায়ের মানুষ এখনও খাদ্যশস্য হিসেবে এটি আবাদ করে, সবজি হিসেবে রান্না হয়।

১.আলকুশি গাছের শেকড়ের রস খেলে সর্দি কাশি সমস্যা দূর হয়ে যায়। এটি মূত্রযন্ত্রের রোগ নিরাময়েও বেশ উপকারী।

২.হস্তমৈথুনের কূঅভ্যাস বা অন্য কোন কারনে ঘন ঘন অসাড়ে বীর্যস্খলন, লিঙ্গশৈথিল্য, ধাতুদৌর্বল্য ও ক্ষীনবল হয়ে পড়লে ৫–৬ টি বীজ সামান্য থেঁতো করে ১০০মিঃলিঃ দুধে অল্প চিনি বা মিছরি সহ ফুটিয়ে শোবার আগে সেদ্ধ বীজ ও দুধ উভয়‌ই ১০- ১২ দিন টানা খেলে দারুন সুফল পাওয়া যায়।

৩.কোন পোকা মাকড়ের কামড়ে বা বিছের দংশনে আলকুশীর বীজের গুড়া লাগালে অনেক যন্ত্রণা কমে যায়।

৪.এর বীজ চিনি ও দুধসহ সেদ্ধ করে খেলে বাতের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এটি শারীরিক দুর্বলতা দূর করে। এতে শুক্র বৃদ্ধি গাঢ় হয় ও স্নায়বিক দুর্বলতা দূর হয়।

৫.এর শিকড়ের রস এক চামচ করে একমাস খেলে আমাশয় রোগ সারে।

৬. গোদ রোগে মূলের রস ১ চামচ পরিমান সকালে খালিপেটে নিয়মিত খেলে এবং সামান্য জলসহ বাটা মূলটি স্ফীত স্থানে লাগালে রোগের উপশম হয়।

৭.যারা ফোঁড়া সমস্যায় কষ্ট পান তারা আলকুশি ব্যবহার করতে পারেন । আলকুশির পাতার রস ফোঁড়ায় দিলে অচিরেই সেটি ফেটে যায়।

৮. এর কাণ্ডের রস চোখের রোগের ক্ষেত্রেও ফলপ্রসূ।

৯.এর পাতা শাকের মত রেধে খেলে রক্তপিত্ত থেকে আরোগ্য হবে।

১০.শিকড়ের রস জীবজন্তুর গায়ের ঘায়ে লাগালে ক্ষত দ্রুত সরে যায়।

১১.বুকে জমে থাকা কফ সারাতে এর মূল বেশ কার্যকরি।

১২.আলকূশী বীজ ও অশ্বগন্ধা মূল দুটিই সমপরিমানে, ৩০০ মিলিগ্ৰাম মাত্রায়, ১ চামচ মধু সহ অথবা দুটিকে একত্রে জলে সেদ্ধ করে জলটা মধুসহ খেলে প্রাপ্ত বয়সেও যাদের যৌবনপ্রাপ্তি হয় না তারা নিশ্চিত ফল পাবেন ।

১৩.হঠাৎ হাত পা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ঝিন ঝিন করা, কাঁপতে থাকা ও অসাড় হয়ে য‌ওয়া এবং শেষে একেবারে জড়ভরত হয়ে যাওয়া – এক্ষেত্রে ৬–৮ টি বীজ থেঁতো করে ছাগল দুধে ফুটিয়ে অল্প মধু সহ খাওয়ানো হয় সকাল-সন্ধ‍্যা দিনে দুবার। মাসখানেক খাওয়ালেই অনেক উন্নতি হয়।

১৪.আলকুশীর বীজ ঋতুস্রাবকারী এবং বেশ বলকারক।

১৫.আলকুশি বীজ গুড়া মধুসহ খেলে কলেরা বা অনুরূপ মারাত্নক পেট খারাপ জনিত রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সমস্যার সমাধান মেলে নিয়মিত আলকুশি বীজ গুঁড়া খেলে।

বিটরুট এর উপকারিতা
জলপাইয়ের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
ভাঁট গাছের উপকারিতা
সোনাপাতার ঔষধি গুণ
আশশেওড়া গাছের উপকারিতা
শোবার ঘর অভ্যন্তর নকশা
মেদ ও ওজন কমানোর উপায়
নখকুনি ভালো করার উপায়
চোখ ওঠা রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
কেউ মিথ্যা বললে বুঝবেন যেভাবে - How to understand if someone lies