মারহাটিটিগা গাছ ও ফুলের গুনাগুন

মারহাটিটিগা গাছ ও ফুলের গুনাগুন

গাছের পরিচয়ঃ

নামঃ এই গাছটিকে দন্তকুল বলে এর বাংলা নাম নাকফুল দন্তকুল আয়ুর্বেদিক নাম মারহাটিটিগা, বানগান্ডা,দন্তকুল,নাকফুল ।

এর  বৈজ্ঞানিক নাম spilanthes iabadicenis

গাছঃ মারহাটিটিগা বা বানগন্ডা অত্যন্ত উপকারী একটি ঔষধি ঘাস ফুলের গাছ মারহাটিটিগা বর্ষজীবি গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ এর শাখা লতানো এর শাখা থেকে প্রশাখা বের হয় লম্বায় ৫০ সেন্টিমিটার থেকে ৬০ সেন্টিমিটার সবুজ আভা রসে ভাড়ি শাখা প্রশাখা এতটাই ভারী যে সেগুলো নিচের দিকে হেলানো থাকে

পাতাঃ মারহাটিটিগা পাতা ছোট গারো সবুজ রঙের এবং খাসকাটা  লম্বায় চার সেন্টিমিটার থেকে পাচ সেন্টিমিটার পাতা  চিকন পাতার কোল থেকে প্রশাখা বের হয় এই প্রশাখার প্রান্তে প্রান্তে হলুদ রঙ্গের নাক ফুলের মত ফুল ফোটে।

ফুলঃ  ফুল সোনালী রঙের হয়। দেখতে অনেকটা নাকফুলের মত ।এদের ফুল খাবারে ফ্লেভার এনহেন্সার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। মারহাটিটিগার ফুলের নির্যাস হার্বাল এক্সট্রাক্টস হিসেবে মুখমণ্ডলের ত্বকের রুক্ষতা দূর করে সজীবতা আনয়ন সহ বলিরেখা দূরীকরণে কাজ করে। 

জন্মস্থানঃ বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের প্রায় অধিকাংশ জেলার মাঠ ঘাট এবং ক্ষেতের আলে এ গাছটি নিজে থেকেই জন্মায় ।

মারহাটিটিগা গাছ ও ফুলের গুনাগুনঃ

১.মারহাটিটিগা গাছের পাতার রস গরম করে কুলকুলি করলে দাঁতের ব্যাথায় উপকার পাওয়া যায় । মারহাটিটিগা গাছের ফুল ছিঁড়ে দাঁতের ব্যথার স্থানে লাগালে ব্যথা দ্রুত সেরে যাবে।

২.গনোরিয়া রোগ হলে প্রস্রাবের জায়গায়  জ্বালা-যন্ত্রণা করে সে সময় মারহাটিটিগা পাতার রস করে তিন থেকে চার চা চামচ পরিমাণ তিন সপ্তাহ খেলে এই জ্বালা কমে যায় ।

৩.মৌমাছি ভোমড়া বিচ্ছু ইত্যাদি পোকার কামড়ের আক্রান্ত স্থানে মারহাটিটিগা পাতার রস লাগালে ব্যথা জালা যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাবে

৪.আমাশয় রোগের মারহাটিটিগা গাছের পাতা অনেক উপকারী অনেক দিনের পুরনো আমাশা হলে আর তাড়ানো যায় না তারপর আবার অনেকের শক্ত মলের সাথে সাদা সাদা আম বের হয় এক্ষেত্রে মারহাটিটিগা গাছের পাতা মিলিয়ে দশ গ্রাম সিদ্ধ করে ছেকে নিতে হবে আর যাদের আম যুক্ত দাস্ত হয় তারা শুধু পাঁচ থেকে ছয় গ্রাম সিদ্ধ করে পানিটা ছেঁকে খেতে হবে তাহলে আমাশয় থেকে মুক্তি পাবেন ।

৫.গলায় ব্যথা করলে সামান্য গরম জলে মারহাটিটিগা পাতা সিদ্ধ করে সেই জল দিয়ে গড় গড় করলে বা পান করলে গলা ব্যথা ভালো হয়।

৬.কাশি হলে মারহাটিটিগা গাছের পাতার রস খেলে কাশি দ্রুত কমে যাবে ।

৭. পেট ফেঁপে গেলে পেট ফুলে যায় হালকা বায়ু প্রসাব আটকে যায় এক্ষেত্রে এক থেকে দু চামচ মারহাটিটিগা পাতার রস অল্প পরিমাণ চিনির সাথে মিশিয়ে গরম করে অল্প পানির সাথে মিশিয়ে রোগীকে পান করাতে হবে তাহলে এই ধরনের সমস্যা দূর হবে।

৮. মারহাটিটিগা শুধু ঔষধ হিসেবে নয় খাদ্য, মসলা ও প্রসাধনী হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। পাতা কাঁচা অবস্থায় সালাদ তৈরিতে ব্যবহার করা হয় এছাড়াও স্যুপ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। 

৯.অনেক সময় কোন কারণ ছাড়াই শরীর জালা পোড়া করে অস্থি লাগে এ ক্ষেত্রে দু চামচ মারহাটিটিগা পাতার রস আধা কাপ হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে সকাল বিকাল দুই বার পান করলে এ ধরনের সমস্যা দুর হয়।

১০. মারহাটিটিগার ফুলের নির্যাস হার্বাল এক্সট্রাক্টস হিসেবে মুখমন্ডলের ত্বকের রুক্ষতা দূর করে সজীবতা আনয়ন সহ বলিরেখা দুরীকরনে কাজ করে।

১১. ফুলের নির্যাস সামান্য তুলাতে নিয়ে নেইল পলিশ রিমুভারের মত হাত ও পায়ের নখে প্রতিদিন একবার করে হালকা ভাবে ঘসে লাগালে নখের উজ্জলতা বৃদ্ধি পায়।

রোজায় মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার কারন ও প্রতিকার - Causes and remedies for bad breath during fasting
লাল চা-এর উপকারিতা
মানবদেহে চর্বি জমার কারণ ও প্রতিকার - Causes and remedies of fat accumulation in the human body
ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
জলাতঙ্কের লক্ষণ ও প্রতিকার
কিডনির কাজ ও কিডনি রোগের কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার - Symptoms and treatment of kidney disease
চুল লম্বা করার সহজ উপায় - Easy way to grow hair
আশশেওড়া গাছের উপকারিতা
মেয়েদের জন্য সেরা ১০টি বডি স্প্রে
কুকশিমা গাছ