জিরার পানির উপকারিতা ও গুনাগুণ
মেদ কমাতে জিরা খাওয়ার নিয়ম | জিরার পুষ্টি উপাদান

জিরার পানির উপকারিতা ও গুনাগুণ

মশলা হিসেবে জিরা সুপরিচিত। রান্নার স্বাদ ও ঘ্রাণ বাড়াতে জিরা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। জিরার রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। সুগন্ধি এই মশলাটি আমাদের নানা অসুখ-বিসুখ থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে। স্বাদে ও পুষ্টিতে ভরপুর এটি  গ্রীষ্মকালীন একটি জনপ্রিয় পানীয় এবং এটা আমাদের দেশেও বেশ পরিচিত। এর রয়েছে বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা। জিরা পানির স্বাস্থ্য উপকারিতা জিরা পানি পানের ফলে এটি দেহকে ঠাণ্ডা করতে এবং দেহে উৎপন্ন অতিরিক্ত তাপমাত্রা কমিয়ে দেহ সতেজ করে। এটি খুব স্বাস্থ্য সম্মত ভাবে পেটের দূষিত পদার্থ কমাতে সহায়তা করে।

১.ওজন কমাতে জিরাপানি- এর একটি উপকারিতা হচ্ছে ওজন কমাতে সাহায্য করে। দিনে দু’বার এই জিরাপানি খেলে এটি পেটের ক্ষুধা কমিয়ে দেয় যার ফলে খাওয়ার ইচ্ছেটা কমে যায়।

২.পানিশূন্যতা দূরীকরণে জিরাপানি- এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতার মাঝে একটি হচ্ছে গরম কালে এটি দেহকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। এটিতে স্বাস্থ্যসম্মত মশলা জিরা থাকার কারনে এটি প্রাকৃতিক ভাবে দেহের তাপমাত্রা কমায়।

৩.কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে- জিরাপানি পানের আর একটি স্বাস্থ্য উপকারিতা হচ্ছে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি। তাই যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে তারা দিনে দুইবার এই পানীয়টি পান করতে পারেন।

৪.রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে- জিরা আয়রনের চমৎকার একটি উৎস। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কাজ পরিচালনা করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।এতে আয়রনের পাশাপাশি বেশ ভালো পরিমান ভিটামিন এ ও সি থাকে যা থেকে অ্যান্টি অক্সিডেণ্টের সুবিধা পাওয়া যায়।

৫.শরীরের দূষণ দূরীকরণে- জিরাপানি যকৃতের ও পাকস্থলীর জন্য খুবই উপকারী। জিরার মাঝে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট দেহের এবং ভেতরের অঙ্গের বিষাক্ততা দূর করে।

৬.রক্তশূন্যতার চিকিৎসায়- জিরাতে থাকা আয়রন রক্তস্রোতে অক্সিজেন বহনকারী হিমোগ্লোবিনের পরিমান বৃদ্ধি করে। এছাড়া জিরা পানি আয়রনের অভাবজনিত রক্তশূন্যতার জন্য বেশ উপকারী।

৭.বমি বমিভাব দূর করতে- জিরাপানি বমি বমি ভাব দূর করতে সাহায্য করে তাই গর্ভবতী নারীরা এটি পান করতে পারেন ‘মর্নিং সিকনেস’ থেকে মুক্তি পেতে

৮.অ্যাসিডিটি কমাতে- এটা অ্যাসিডিটির সমস্যার জন্য ভালো। যেকোনো ভারী খাবার খাওয়ার পর ধীরে ধীরে জিরাপানি খেয়ে নিলে অ্যাসিডিটির আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

৯.গ্যাসের সমস্যা দূরীকরণে- পেটের গ্যাস কমাতে জিরাপানি সাহায্য করে।যদি গ্যাসের কারনে পেট ফুলে থাকে তাহলে ধীরে ধীরে জিরাপানি খেতে পারেন যতক্ষন না পেটের গ্যাস দূর হয়।

১০.ভালো ঘুমের জন্য- যাদের মাঝে ইন্সমোনিয়া বা ঘুমের সমস্যা আছে তাদের জন্য জিরাপানি খুব উপকারী। নিয়মিত খেলে ভালো ঘুম হয়।

১১.স্মৃতিশক্তি উন্নত করে- জিরা মস্তিস্কের শক্তিকে উন্নত করে।তাই অল্প বয়স থেকেই যদি জিরাপানি খাওয়া যায় তাহলে তা উল্লেখযোগ্য ভাবে স্মৃতিশক্তি ও বুদ্ধিমত্তাকে তীক্ষ্ণ করে।

১২.গর্ভবতী ও স্তন্যদাত্রী মায়েদের বাড়তি পুষ্টির জন্য- জিরাতে থাকা আয়রন গর্ভবতী ও স্তন্যদাত্রী মায়েদের জন্য খুবই ভালো। এটা গর্ভস্থ ভ্রুণের, বাচ্চার এবং মায়ের আয়রনের চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে।

১৩.জিরা দেহের অস্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরলের (চর্বি) পরিমাণ ঝরিয়ে ওজন কমাতে সহায়তা করে থাকে

১৪.তলপেটের ব্যাথা কমাতে- মাসের বিশেষ দিনগুলোতে তলপেটে ব্যাথা অনুভব করেন অনেক নারীই, তাদের এই ব্যাথা কমাতে অল্প অল্প করে সারাদিন জিরাপানি খেতে পারেন।

১৫.ত্বকের জন্য জিরা পানির স্বাস্থ্য উপকারিতা- যখন দেহ আভ্যন্তরীণভাবে স্বাস্থ্যবান থাকে তা ত্বকের মাঝে প্রতিফলিত হয়।এই জিরা পানি দেহকে আভ্যন্তরীণ ভাবে শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যবান করে তাই করে এর ফলে ত্বক এর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পরে।

১৬.ত্বকের পুষ্টি যোগাতে- আগেই বলা হয়েছে জিরাপানি হজমক্রিয়াকে বাড়িয়ে দেয় বলে এটা ত্বককে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান শুষে নিয়ে স্বাস্থ্যবান ও পুষ্ট থাকতে সাহায্য করে।

১৭.অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সরবরাহ করে- নিয়মিত জিরা পানি পানে দেহ পর্যাপ্ত পরিমানে ভিটামিন এ,সি ও ই পায় যেগুলো এন্টিঅক্সিডেন্ট ও এন্টিএজিং গুনাগুনের জন্য পরিচিত।এটা পান করার ফলে ত্বক পরিপূর্ণ হয় এবং অকাল বুড়ীয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে।

১৮.ব্রণের চিকিৎসায়- জিরা পানি ব্রণের জন্য প্রাকৃতিক ঔষধের কাজ করে।

১৯.ত্বকের আরামের জন্য- জিরাপানি ত্বকের জ্বালাপোড়া ভাব দূর করতে সাহায্য করে। 

২০.জিরাতে রয়েছে এমন তেল, যা আমাদের খাবারের পরিপাকতন্ত্র ঠিক রেখে হজমে সহায়তা করে।


বাচ্চাদের ঘামাচি দূর করার উপায়
আকন্দ পাতার গুনাগুন
থানকুনি পাতার উপকারিতা
ধূমপান কেন এবং কীভাবে ছাড়বেন? - Why and how to quit smoking?
মাটির বিস্কুট ‘ছিকর’
শীতে দাড়ির যত্নে যা করবেন - What to do in winter beard care
ফাউন্ডেশনের নাম ও দাম - Foundation name and price
চুইঝালের উপকারিতা
সর্পগন্ধা গাছের উপকারিতা
কিভাবে স্মার্ট হওয়া যায়