সর্পগন্ধা একটি চিরহরিৎ গুন্ম জাতীয় উদ্ভিদ।আমাদের দেশের সব জায়গায় এটি দেখা যায় না।বন জঙ্গলে অযত্নে অবহেলায় গাছটি বেড়ে ওঠে।সর্প গনাধাকে চন্দ্রা, নাকুলি, সুগন্ধা, রক্তপত্রিকা, ঈশ্বরী, অহিভুক, সর্পদনী নামেও ডাকা হয়।সর্পগন্ধা বাংলাদেশে, ভারত, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, নেপাল, ভূটান, থাইল্যন্ড, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় দেখা যায়।
সর্পগন্ধার ঔষধি গুণ:
(১) সর্পগন্ধা পাতার নির্যাস চোখের ছানি কাটাতে সাহায্য করে।
(২)বিভিন্ন প্রকার চর্মরোগ নিরাময়েও এর শিকড়ের রস কার্যকর।
(৩)বার্ধক্যজনিত রোগও এর পাতার নির্যাস দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে।
(৪)চোখের ছানি অপসারণের ক্ষেত্রে সর্পগন্ধার পাতার নির্যাস সেবন কার্যকরী।
(৫)শিকড় ও পাতার রসে আছে অ্যালকালয়েডস, যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
(৬)হাইপারটেনশন, ইনসমোনিয়া, জ্বর, বাতজ্বর এবং ব্যথাবেদনায় সর্পগন্ধার মূলচূর্ণ ফলপ্রদ।
(৭)দুধের সাথে শিকড় চূর্ণ মিশিয়ে দিনে তিনবার সেবন করলে হিস্টিরিয়া রোগীও সুস্থ হয়ে যাবে।
(৮)মূলের রস মস্তিস্কজনিত রোগে উপকারী। সর্পগন্ধা আদিকাল থেকে উন্মত্ততার মহৌষধ হিসেবে সমাদৃত।
(৯)মূলের নির্যাস প্রসব ত্বরান্বিত করে ও তলপেটের ব্যথ্য, ডায়রিয়া, আমাশয় এবং জ্বরের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়।
(১০)এর মূল অনিদ্রা, রক্তচাপ, উত্তেজনা ও পাগলামি ছাড়াও দুশ্চিন্ত ও মূর্ছা রোগসহ বিভিন্ন স্নায়বিক রোগের চিকিৎসায় কার্যকর।
(১১)কোন বিষাক্ত পদার্থ কিংবা যে কোন ধরনের বিষক্রিয়া থেকে রক্ষায় সর্পগন্ধা গাছের এ্যালকালয়েডসসমূহ এন্টিডোট হিসেবে কাজ করে।
(১২)সর্পগন্ধার শিকড় রক্তচাপ কমায়, স্নায়ুতন্ত্র শিথিল করে ও উত্তেজনা কমাতে সাহায্য করে। যদিও নাম সর্পগন্ধা কিন্ত পাশ্চাত্য চিকিৎসকগণ এটি এখন ব্যবহার করছেন উচ্চ চাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য। ব্লাড প্রেসারের সিস্টোলিক প্রেসার কমাতে সাহায্য করে এটি।
(১৩)জ্বর, ঠাণ্ডা-কাশি প্রতিষেধক হিসেবে সর্পগন্ধা ব্যবহার করা হয়।দৈহিক দূবর্লতা ও মানসিক অবসাদ জনিত রোগেও এর মূলের চুর্ণ ব্যবহৃত হয়।এছাড়াও হাইপারটেনশন, ইনসমোনিয়া, বাতজ্বর এবং ব্যথা-বেদনায় সর্পগন্ধার মূলচূর্ণ অনেক কার্যকরী।
(১৪)বিভিন্ন সরীসৃপ বা পোকামাকড় কামড়ালে ক্ষত ও জ্বালা পোড়া থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রতিষেধক হিসেবে সর্পগন্ধা ব্যবহার করা হয়।কথিত আছে যে, বেজি সাপের সাথে যুদ্ধ করার আগে সর্পগন্ধা গাছের মূল ও পাতা চিবিয়ে খেয়ে থাকে, যাতে বিষক্রিয়া থেকে রক্ষা পায়।
(১৫)বিভিন্ন প্রকার চর্মরোগ নিরাময়েও এর ঔষধ কার্যকর। বার্ধক্যজনিত রোগও এটি দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে।যাদের ঘুমের সমস্যা রয়েছে তারা রাতে ঘুমানোর আগে ০.২৫ গ্রাম সর্পগন্ধার শিকড়ের গুঁড়া খেতে পারেন।আর যারা ঘুমের ক্ষেত্রে খুব সংবেদনশীল তারা সকালে ও রাতে দুবার খেতে পারেন।
(১৬)শর্পগন্ধার শিকড় ও পাতার রসে আছে অ্যালকালয়েডস, যা আমাদের রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও মানসিক বিকারগ্রস্ততা, হিস্টেরিয়া রোগ উপশমে সর্পগন্ধার ব্যবহার হয়।দুধের সাথে এর শিকড় চূর্ণ মিশিয়ে দিনে তিনবার সেবন করলে হিস্টিরিয়া রোগী সুস্থ হয়ে যাবে ।