
তেলাকুচা গাছের গুনাগুন
তেলাকুচা:তেলাকুচা একপ্রকারের ভেষজ উদ্ভিদ।স্থানীয়ভাবে একে কুচিলা’, তেলা, তেলাকচু, তেলাহচি, তেলাচোরা কেলাকচু, তেলাকুচা বিম্বী ইত্যাদি নামে ডাকা হয়।এটি গাঢ় সবুজ রঙের নরম পাতা ও কাণ্ডবিশিষ্ট একটি লতাজাতীয় বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ।পঞ্চভূজ আকারের পাতা গজায়, পাতা ও লতার রং সবুজ।এটি সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। গাছটির ভেষজ ব্যবহারের জন্য এর পাতা, লতা, মূল ও ফল ব্যবহৃত হয়।
তেলাকুচার ঔষধি গুণাগুণ:
অরুচি দূর করে তেলাকুচা:
তেলাকুচার পাতা একটু সিদ্ধ করে পানিটা ফেলে দিন। এবার এটি ঘি দিয়ে শাকের মত রান্না করে নিন। খেতে বসে প্রথমেই এই শাক খেলে খাওয়াতে রুচি আসবে।এভাবে কয়েকদিন খেলে অরুচি দূর হবে।
জন্ডিস রোগে তেলাকুচা:
জন্ডিস হলে তেলাকুচা গাছের উপর সাহায্যে নিরাময় করুন। জন্ডিস সারাতে তেলাকুচার মূল ছেঁচে রস তৈরি করে নিন। এবার প্রতিদিন সকালে আধাকাপ পরিমাণ এই রস পান করুন। এতে উপকার পাবেন।
শ্বাসকষ্ট দূর করতে:
শ্বাসকষ্ট থেকে রক্ষা পেতে তেলাকুচার মূল ও পাতার রস হালকা গরম করে নিন। এবার ৩ থেকে ৪ চা চামচ পরিমাণ তিন থেকে সাত দিন প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে খান। শ্বাসকষ্টের সমস্যা মিটে যাবে।
আমাশয়ের মহা ঔষধ তেলাকুচা:
তেলাকুচার মূল ও পাতার রস ৩ থেকে ৪ চা চামচ প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে খান। ৩ থেকে ৭ দিন নিয়ম করে এই রস পানেই উপসম মিলবে।
কাশি উপশমে তেলাকুচা:
কাশির উপশমেও তেলাকুচা খুব উপকারী। যদি শ্লেস্মাকাশি হয় তবে শ্লেস্মা তরল করতে এটি বেশ কাজ করে। কাশির উপশমে ৩ থেকে ৪ চা চামচ তেলাকুচার মূল ও পাতার রস হালকা গরম করে নিন। এবার এর সঙ্গে আধা চা চামচ মধু মিশিয়ে ৩ থেকে ৭ দিন প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে খান।
জ্বর নিরাময়ে তেলাকুচা:
শ্লেষ্মাজ্বর থেকে রক্ষা পেতে ৩ থেকে ৪ চা চামচ তেলাকুচার মূলও পাতার রস হালকা গরম করে নিন। এবার এটি ২ থেকে ৩ দিন সকাল ও বিকেলে খান। এক্ষেত্রে তেলাকচুর পাতা পাটায় বেটে রস করে নিতে হবে।
ফোঁড়া ও ব্রণ মুক্ত করে:
ফোঁড়া ও ব্রণ সারাতে তেলাকুচা পাতা জাদুর মতো কাজ করে। তেলাকুচা পাতার রস বা পাতা ছেঁচে ফোঁড়া ও ব্রণে প্রতিদিন সকাল ও বিকেলে ব্যবহার করুন। এতে দ্রুত মুক্তি মিলবে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে:
যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের অবশ্যই এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব জরুরি। এক্ষেত্রে তেলাকুচা গাছা খুবই কার্যকরী। তেলাকুচার কান্ডসহ পাতা ছেঁচে রস তৈরি করে নিন। প্রতিদিন সকাল ও বিকেলে এই রস আধাকাপ পরিমাণ পান করুন। এছাড়াও তেলাকুচার পাতা রান্না করে খেলে ডায়াবেটিস রোগে উপকার হয়।
পা ফোলা দূর করে:
তেলাকুচার মূল ও পাতা ছেঁচে এর রস ৩-৪ চা চামচ প্রতিদিন সকালে ও বিকালে খেতে হবে। এতে পা ফোলা রোগ থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব।
স্তনে দুধ স্বল্পতা:
১টি তেলাকুচা ফলের রস হালকা গরম করে মধু মিশিয়ে নিন। এবার এই রস পরিমাণ মতো সকাল ও বিকেল ১ সপ্তাহ খান। এতে স্তনে দুধের স্বল্পতা দূর হয়ে যাবে।
তেলকুচা পাতার উপকারিতা,তেলাকুচা পাতার ছবি,তেলাকুচা পাতার উপকারিতা কি,তেলাকুচা ফল,তেলাকুচা পাতার রেসিপি,তেলাকচুর ফল,তেলাকুচা পাতার বৈজ্ঞানিক নাম,তেলাকুচা চাষ