তাল আমাদের দেশে একটি সর্বজন পরিচিত ফল।তাল গাছের পাতা ,কাঠ,ফল সবকিছুই আমাদের কাজে লাগে।তাল কচি পাকা উভয় অবস্থাতেই খাওয়া যায়।তাল গাছের শিকড় মাটির বেশি গভীরে পৌঁছে না তবে শতাধিক গুচ্ছ মূল চারদিকে সমানভাবে ছড়িয়ে মাটিকে শক্ত করে ধরে রাখে।প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা থেকে গাছকে রক্ষা ও ভূমির ক্ষয় রোধ করে।গাছের আগায় ৩৫-৫০টা শক্ত পাতা থাকে।তালগাছ সাধারনত ৬০-৮০ ফুট পর্যন্ত উচু হয়।
তালের বৈজ্ঞানিক নাম: Borassus flabellifer
প্রথমে আমরা জেনে নেই তাল এর শাঁসের পুষ্টিগুন:১০০ গ্রামের একটি তালের শাঁসের ৯২ দশমিক ৩ শতাংশই থাকে জলীয় অংশ, ক্যালরি থাকে ২৯, শর্করা ৬ দশমিক ৫ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৪৩ মিলিগ্রাম, খনিজ শূন্য দশমিক ৫ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ৪ মিলিগ্রাম।
তালশাঁসের উপকারিতা:
(১)তালশাঁস ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
(২)তালশাঁস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
(৩)তালের শাঁস মানুষের হাড় শক্ত করে।
(৪)তারুন্য ধরে রাখতে তালের শাঁস বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
(৫)তালের শাঁস শরীরকে শীতল রাখে।
(৬)তালের শাঁস শরীরের পানির শূন্যতা পূরন করে।