কৃত্রিম যে কোন জুসের তুলনায় আখের জুস অতি চমৎকার পুষ্টিগুনে ভরপুর বাংলাদের যত্রতত্র আখ জন্মে থাকে, দামে তুলনামুলক সস্তা এই পাননীয়টির বহুল ব্যবহার এদেশের অগনিত অপুষ্টির শিকার মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষায় কার্যকরী ভুমিকা রাখতে পারে।স্ট্রেস, ক্লান্তি ও পরিবেশ দূষণের হাত থেকে বাঁচতে প্রতিদিন আখের রস খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া গর্ভবতী নারী, যাদের ডায়াবেটিস আছে তারাও খেতে পারেন।
আখের রসের উপকারিতাঃ
(১)ক্যান্সার প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখে আখের রস।
(২)আখের রস খেলে বিপাকীয় গতি বাড়িয়ে দেয়। বাড়ে কর্মশক্তি।
(৩)ঠান্ডা কিংবা জ্বরের পর আখের রস ঠান্ডালাগা প্রতিরোধ করে,দুর্বলতা দুর করে।
(৪)আখের রস পাকস্থলি, কিডনী, হার্ট, চোখে এবং মনকে সতেজ এবং প্রফুল্লো রাখে।
(৫)আখের রসে উচ্চমাত্রার K2 থাকে বিধায় এটি কোষ্ঠ কাঠিন্য দুর করে শরীরকে সতেজ রাখে।
(৬)আখের রসের ফ্রুটটোজ এবং গ্লুকোজ, সুক্রাজের চেয়ে খুবধীর গতিতে রক্তের চিনির মাত্রা বাড়ায়।
(৭)কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে আখের রস। মলের ওজন বাড়ায় আঁশ। যা পক্ষান্তরে তার অপসারণকে সহজ করে।
(৮)আখের রসে উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান ইউরিনারি ট্রাক্ট ইনফেকশন সারাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
(৯)স্বাস্থ্যজ্জ্বল ত্বকের জন্য আখের রস খুবই উপকারী ত্বকের রুক্ষতা দুর করে, আর্দ্রতা রজায় রেখে ত্বককে লাবন্যময় করে তোলে।
(১০)আখের রসে উপস্থিত আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড স্কিন সেলের উৎপাদন বাড়ায়ে ব্রণের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
(১১)আখের রসে উপস্থিত ল্যাক্সেটিভ প্রপাটিজ বাওয়েল মুভমেন্টের উন্নতি ঘটায়। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা কমতে সময়ই লাগে না।
(১২)আখের রস খারাপ মাত্রার কোলেষ্টেরল কমায়, ইহা শরীরকে পরিস্কার করে, উন্নত করে মেটাবলিজম এবং জীবানুমুক্ত করতে সাহায্য করে।
(১৩)জন্ডিস রোগ আখের রস অত্যান্ত উপকারী, জন্ডিসে যখন শরীরের গ্লুকোজের মাত্রা কমে যায় তখন ৩-৪ গ্লাস আখের রস দ্রুত আরোগ্য দেয়।
(১৪)আখের রসে থাকা ফলিক অ্যাসিড মায়ের শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে প্রেগন্যান্সি সংক্রান্ত একাধিক সমস্যা দূরে থাকতে বাধ্য হয়।
(১৫)আখের রসে থাকা কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, আয়রন, পটাশিয়াম এবং অন্য়ান্য় উপকারি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর এনার্জির ঘাটতি দূর করে।
(১৬)আখের রসে উপস্থিত ফলিক অ্যাসিড মেয়েদের শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে প্রেগন্যান্সি সংক্রান্ত একাধিক সমস্যা দূরে থাকতে বাধ্য হয়।
(১৭)নিয়মিত আখের রস খাওয়া শুরু করলে শরীরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের ক্ষমতা এতটা বেড়ে যায় যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।
(১৮)নিয়মিত আখের রস খেলে দেহের ভিতরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফ্লেবোনয়েডের পরিমাণ বাড়তে শুরু করে। এই দুটি উপাদান ত্বক এবং শরীরের ভিতরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়।
রিলেটেড টপিকঃডায়াবেটিসে আখের রস,গর্ভাবস্থায় আখের রস,আখের রসের উপকারিতাগুলো জেনে নিন,আখের রসের অপকারিতা,গর্ভাবস্থায় আখের রস খাওয়া যাবে কি?,আখের রস খাওয়ার নিয়ম,খালি পেটে আখের রস খেলে কি হয়,আখের রসের উপকারিতা ও অপকারিতা,ডায়াবেটিসে আখের রস,আখের রসে কি থাকে।