শশার পুষ্টিগুণ
শসা

শশা একটি মুখরোচক সবজি । কচি শশার সালাদ খুবই সুস্বাদু এবং জনপ্রিয় । খাট জাতের শশাকে খিরা বলা হয় । ঝাল-লবন দিয়ে খিরা খেতে সকলেই পছন্দ করে । প্রায় সারা বছরই শশা পাওয়া যায় । এটি সহজেই হজম হয় এবং কোষ্টকাঠিন্য দূর করে । এছাড়াও প্রাণীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সবগুলি পুষ্টি উপাদানই বিদ্যামান । নিম্নে এর পুষ্টিউপাদান দেখানো হল:আহার উপযোগী প্রতি ১০০ গ্রামে রয়েছে

পুষ্টিগুনপরিমান
আমিষ১. ৯ গ্রাম
শর্করা৩.৫ গ্রাম
চর্বি০.১ গ্রাম
খনিজ লবন০.৪ গ্রাম
ভিটামিন বি-১০.১৬ মি. গ্রা.
ভিটামিন বি ২০.০২ মি.গ্রা.
ভিটামিন সি৫ মি. গ্রা.
ক্যালসিয়াম১৪ মি. গ্রা.
লৌহ১.৫ মি. গ্রা.
ক্যারোটিনঅল্প
খাদ্যশক্তি২২ কি.ক্যালিরী

শশাতে আমিষের আধিক্য রয়েছে । আমিষ প্রাণীর স্বাভাবিক দৈহিক ও বুদ্ধি বৃওিক বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । এর অভাবে অপুষ্টি দেখা দেয় । শর্করা দেহের বৃদ্ধিসাধন এবং তাপ ও শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে । চর্বি, শর্করার মতই দেহে তাপ  ও শক্তি উৎপাদন করে । এটি ত্বকের নীচে জমা থেকে ত্বকের মসৃণতা বৃদ্ধি করে সৌন্দর্য বাড়ায় এবং দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে । স্বাভাবিক দৈহিক কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণে খনিজ লবনের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । কিছু কিছু খনিজ লবন বিভিন্ন অঙ্গ- প্রত্যঙ্গ গঠনেও সাহায্য করে । ভিটামিন বি-১ স্বাভাবিক দৈহিক বৃদ্ধি এবং স্নায়ুতন্ত্রকে সবল ও স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে । এর অভাবে বেরি বেরি রোগ হয় । ভিটামিন বি-২ সুষ্ঠু পরিপাক ক্রিয়া এবং দৃষ্টিশক্তির স্বাভাবিকতা বজায় রাখে । এর অভাবে স্বাভাবিক দৈহিক বৃদ্ধি সাধন ব্যাহত হয় এবং স্বাভাবিকতা বজায় রাখে । এর অভাবে স্বাভাবিক দৈহিক বৃদ্ধি সাধন ব্যাহত হয় এবং স্নায়ুবিক দুর্বলতা ও হজমে সমস্যা দেখা দেয় । ভিটামিন সি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়  এবং সর্দি-কাশি নিরাময়ে সাহায়্য করে । এটি দাঁত, মাড়ি ও পেশী মজবুত করে, দেহের ক্ষত নিরাময়ে সহায়তা করে এবং রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে । এর অভাবে স্কার্বি নামক রোগ হয় । দেহের হাড় ও দাঁতের গঠনে ক্যালসিয়াম খুবেই গুরুত্বপূর্ণ । রক্ত জমাট বাঁধতে এবং ঋ্দপিন্ডের স্বাভাবিক ক্রিয়া অব্যাহত রাখতে এটি প্রয়োজন । এর অভাবে রিকেট বা হাড় বাঁকা হয়ে যাওয়া রোগ  হয় ।লৌহ রক্তের লাল রক্ত কণিকা নহিমোগ্লোবিন তৈরি করে । এটি দেহের মাংসপেশী, গ্রন্হি ও স্নায়ুকোষ গঠনে সাহায্য করে । এর অভাবে রক্তশূন্যতা দেখা দেয় । উদ্ভিদ দেহে এক প্রকার লাল ও হলুদ বর্ণের রঞ্জক পদার্থ থাকে, যাকে ক্যারোটিন প্রাণীদেহে রুপান্তরিত হয়ে ভিটামিন- এ তে পরিনত হয় । এ ভিটামিন দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক রাখতে এবং রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে । দেহত্বক, হাড় ও দাঁতের গঠন এবং সুস্হতার জন্য এটি প্রয়োজন । এর অভাবে রাতকানা রোগ হয় । খাদ্যশক্তি দেহে শক্তির যোগান দেয়, যা দেহকে কর্মক্ষম রাখতে সাহায্য করে । 

টাটকা ফল হিসেবেই শশা খাওয়া হয় । প্রধানত সালাদ হিসেবে এটি খেতে সকলের পছন্দ । সবজি এবং অন্যান্য তরকরিী রান্নায় ও অনেকে শশা খেতে পছন্দ করেন । রুপচর্চায়ও অনেকে শশা ব্যবহার করে থাকে । মূলতঃ টাটকা অবস্হায় কোন প্যকার রন্ধন বা প্যক্রিয়াকরণ ছাড়াই এটি খাওয়া যায় বিধায় এর সবটুকু পুষ্টিগুণই পাওয়া সম্ভব ।

শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার সহজ উপায় - An easy way to keep the body healthy
চুল লম্বা করার সহজ উপায় - Easy way to grow hair
মধু খাওয়ার উপকারিতা
শিমের পুষ্টিগুণ
দারুচিনির উপকারিতা
সোনাপাতার ঔষধি গুণ
অর্জুন গাছের ঔষধী গুনাগুন
বোম্বাই মরিচের উপকারিতা
ওলকপি এর উপকারিতা
শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে করণীয় - What to do to keep the child's mental health good