শরীফা বাংলাদেশের একটি সুপরিচিতি ফল । আতা ফলের সাথে এ ফরের অনেক মিল রয়েছে, তবে শরীফা ফলের উপরিভাগ গোলাকার উত্থিত খন্ডে বিভক্ত । এছারা উদ্ভিদ-তাও্বিক দিক দিয়েও এদের সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ট । আমেরিকান নিরক্ষীয় অঞ্চল এর উৎপত্তিস্থান । শরীফা ফল আতা ফলের তুলনায় মিষ্টি এবং সুগন্ধযুক্ত এবং আকারে ছোট ।
শরিফা ফলের পুষ্টিগুণ:এ ফলে প্রাণীদেহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সবগুলো পুষ্টি উপাদানই বিদ্যমান রয়েছ । নিন্মে খাবার উপযোগী প্রতি ১০০ গ্রাম শরীফা ফলে বিদ্যমান পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ দেখানো হলো :
আমিষ ১.৮ গ্রাম,শর্করা ২০.৬ গ্রাম,চর্বি ০.১ গ্রাম,খনিজ লবন ০.৯ গ্রাম,ভিটামিন বি-১ ০.০৭ মি .গ্রাম,ভিটামিন বি-২ ০.১৪ মি. গ্রাম,ভিটামিন -সি ৩৮.০ মি গ্রাম,ক্যালসিয়াম ১৭.০ মি.গ্রাম,লৌহ ১.৫ মি গ্রাম,খাদ্যশক্তি ৯০.০ কি .ক্যালোরী।
আমিষ প্রাণির স্বাভাবিক দৈহিক ও বুদ্ধিবৃওিক বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । এর অভাবে প্রাণীর অপুষ্টি দেখা দেয় । শর্করা প্রাণীর দেহের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে । অতিরিক্ত শর্করা দেহে জমা থাকে এবং প্রয়োজনে দেহে তাপ ও শক্তির যোগান দেয় । ত্বকের নিচে চর্বি জমা থাকে । চর্বি ত্বকের মসৃণতা বাড়ায় এবং দেহের তাপমাএা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে ।
আর পড়ুনঃ আতা ফলের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা
শরিফা ফলের উপকারিতা:
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে: শরীফা ফলে থাকা উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। দুরারোগ্য ব্যাধিকে দূর করে শরীরকে সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে।
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে: শরীফা ফলে রিবোফ্লাভিন ও ভিটামিন সি আছে। আর এই ভিটামিন উপস্থিতির কারণে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায়।যাদের চোখের সমস্যা তারা শরীফা ফল খেলে চোখের ভাল উপকার পাবেন।
শরীরের হাড় গঠন ও মজবুত রাখে: শরীফা ফলে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম । শরীরের হাড় গঠন ও মজবুত রাখার জন্য এফল কার্যকর।
আমাশয় দূর করে: শরীফা গাছের মূলের ছালের রস ২০/২৫ ফোঁটা ৭/৮ চা চামচ দুধ সহ খেলে আমাশয় ভাল হয়।
উকুন দূর করতে: মাথায় উকুন দূর করতে শরীফা গাছের পাতার রস ২ চা চামচ তার সঙ্গে ২/১ চা চামচ পানি মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রাখলে উকুন মরে যাবে। একদিনে ফল না পেলে ২/৩ দিন পর আবার লাগাতে হবে।
শরীফাও আতা ফলের ন্যায় শুধুমাএ টাটকা ফল হিসেবেই খাওয়া হয় । কোন কোন দেশে এ গোত্রের অন্যান্য ফলের ন্যায় শরীফা ফলও প্রক্রিয়াজাত করে ব্যবহার করা হয়।