পুঁই শাকের উপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ
পুইশাক

আমাদের দেশে পুঁইশাক একটি অতি পরিচিত সুপ্রিয় সবজি । শুধু গ্রামেই নয়, শহরেও পুইশাকের কদর প্রুচুর । প্র।য় প্রতিদিনই আমাদের খাদ্য তালিকায় পুঁইশাকের উপস্হিতি থাকে পুইশাক যে কতটা জনপ্রিয় তা বুঝা যায় একটি বহুল প্রচরিত প্রবাদ থেকেই । বলা হয় ‘মাছের রাজা রুই’ আর শাকের রাজা পুঁই ।, পুঁইশাক যে শুধু সবজি হিসেবে সুস্বাদু তাই নয় বরং এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে পুষ্টিগুন ।পুঁইশাকে রয়েছে ভিটামিন ‘এ’ ও ‘বি’ । আমাদের দেশে কয়েক জাতের পুঁইশাক পাওয়া যায় । এর মধ্যে রয়েছে সবুজ পুঁই,লাল পুঁই, বন পুঁই প্রভৃতি । আমাদের দেশের মানুষ এর প্রত্যেকটির সাথেই পরিচিত । খাদ্য হিসেবেও সবাই এসব গ্রহন করে । অনেকে আবার রং-এর ভেদাভেদ মনে না রেখেই যে কোন রং-এর পুঁইশাককেই সবজি হিসেবে খেয়ে থাকে । তবে বিভিন্ন রং এর পুইয়ের মধ্যে পুষ্টিমানের কিছুটা পার্থক্য থাকলেও লাল পুঁই, সবুজ পুঁই বা বনপুঁই সমান উপকারী ওভিটামিন সমৃদ্ধ । পুঁইশাক এত জনপ্রিয় হবার একটি কারণ হলো,এটি প্রধানত গ্রীষ্মকালীন সবজি হলেও বছরের সকল সময়ে পাওয়া যায় । বলা যায়, সহজলভ্যতাও এর জনপ্রিয়তাকে বাড়িয়ে দিয়েছে অনেক গুণে । আর পুঁইশাক এমন একটি সহজে উৎপাদনশীল চমৎকার সবজি, যেখানে-সেখানে এর চাষ করা যায় । বসত বাড়িতে, ঘরের চালে, আঙিনায়,বেড়ায়,মাচায়,ক্ষেতে-খামারে –যে কোনো জায়গায় পুঁইশাকের চাষ করা যায । এই চাষের জন্য তেমন পরিশ্রম বা নানা ধরনের ঝুটঝামেলাও পোহাতেত হয় না । বেশ সহজে যে কেউ এর চাষ করতে পারে । পুঁইশাক মূলতকোমল কান্ডবিশিষ্ট র্দীঘজীবী লতানো একটি উদ্ভিদ । বারবার লতা ,ডগা বা এর পাতা কাটলেও মূল গাছের বৃদ্ধিতে কোনো ব্যাঘাত সৃষ্টি করেনা । এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষের দিকে এগিয়ে এসেছে । সৌখিনভাবে যারা পুঁইশাকের চাষ করে,তারা মূলত বাড়ির আঙিনা বা মাচাকেই ব্যবহার করে । আর যারা এটাকে বাণিজ্যিকভাবে চাষের সিদ্ধান্ত নেয়, তারা ক্ষেতে-খামারে এর চাষ করে থাকে । সেই ক্ষেত্রে তাদের প্রয়োজন পড়ে চাষপদ্ধতিটা ভালভাবে জানার । সাধারণত পুঁই- এর চারা ক্ষেতে রোপণের আগে জমি ভালোভাবে চাষ করে তারপর মই দিয়ে মাটিতে মসৃণভাবে ঝুরঝুরে করে তৈরি করতে হয । শাক-সবজি চাষের ক্ষেত্রে গোবর বা কমপোষ্ট সার ব্যবহার করলে ভাল হয় । এতে করে মাটির গুণাগুণ ভাল থাকে ও পরিবেশও দূষিত হয় না ।

পুঁই চাষের জন্য প্রতি শতকে বা ৪০ বর্গ কিলোমিটার জমিতে গোবর সার ৬০ কেজি, ইউরিয়া সার ৯০০ গ্রাম, টিএসপি ৪০০ গ্রাম ও এমপি সার ৪০০ গ্রাম ব্যবহার করতে হয় । ইউরিয়া ছাড়া বাকি সকল সার জমি তৈরীর শেষচাষে দিতে হবে । চারা রোপণের ১৫ দিন পর অর্ধেক ইউরিয়া এবং বাকি অর্ধেক এক মাস পর দুই সারির মাঝখানে মাটিতে ছিটিয়ে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে । জমিতে রসের অভাব দেখা দিলে অবশ্যই পানি সেচের ব্যবস্হা করতে হবে । পুঁইশাকের চারা ৬০-৮০সেঃ মিঃ ফাঁকা করে রোপণ করতে হয় । জমিতে যেন আগাছা জন্মাতে না পারে, সেই ব্যপারেও খেয়ালে রাখতে হবে । খরার সময় নিয়মিত পানি সেচের পর ক্ষেতে নিড়ানী দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে দিতে হয় । আবার পুঁই এর ক্ষেতে যাতে পানি জমতে না পারে সেই ব্যাপারেও দৃষ্টি রাখতে হবে । কারন ক্ষেতে পানি থাকলে পুঁইশাকে পচন ধরতে পারে । এই ভাবে একটু যত্ন নিলেই পুঁইশাক খুব দ্রুত বেড়ে উঠবে ।যখন লতা লম্বা বিস্তার লাভ করবে, তখনই এর ডগা বা লতা কাটা শুরু করা যাবে । পুঁইশাক এমন একটি সবজি যে,এর লতা বা ডগা কাটলে পুনরায় লতা বা ডগা গজিয়ে ওঠে । পুঁইশাক দ্রুত বর্ধনশীল একটি সবজি । যেহেতু পুঁইশাকের চাহিদা ও পুষ্টিমান প্রচুর, সেই জন্য এর চাষ বৃদ্ধিতে আরও যত্নবান হওয়া উচিত ।

কিডনি রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা - Home Remedies for Kidney Disease
ঘর থেকে টিকটিকি তাড়াবেন যেভাবে
রামবুটান এর উপকারিতা ও গুণাগুণ
ডেউয়া ফলের স্বাস্থ্য উপকারিতা
তাল (ফল)-এর উপকারিতা
জাম্বুরা খাওয়ার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
রোজায় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধানে যা করবেন - What to do to solve gastric problems during ramadan
বিছুটি পাতার উপকারিতা,ব্যবহার এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
সুস্থ থাকতে বাচ্চাদেরও নিয়মিত ব্যায়াম - Exercise regularly for children to stay healthy
বিয়ের মেকআপ করার পদ্ধতি - How to do wedding makeup