হারিয়ে যাচ্ছে বেতফল-cane fruit benefits
cane fruit

বেতফল-cane fruit

বেত গাছের ফলকে বেতফল, বেত্তুন, বেথুল, বেতগুলা, বেতগুটি, বেত্তুইন ইত্যাদি নামে ডাকা হয়। বেতফল Arecaceae পরিবারের এ প্রজাতি।

বৈজ্ঞানিক নাম Calamus tenuis

ইংরেজি নাম cane fruit

আরো পড়ুন: কেওড়া ফল স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী

আদিনিবাস

এটি বাংলাদেশ, ভুটান, কম্বোডিয়া, লাওস, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ভারত, জাভা ও সুমাত্রা অঞ্চলের উদ্ভিদ।

জাত

বিশ্বে ১৩টি গণের প্রায় ৬০০ প্রজাতির বেত রয়েছে। বাংলাদেশে আছে বেতের মাত্র ২টি গণ, Calamus এবং Daemonorops। Daemonorops গণের আছে একটি প্রজাতি D. jenkinsianus (গোলাব বেত বা গোল্লা বেত)। Calamus গণের ১০ প্রজাতির মধ্যে আছে: C. erectus (কদম বেত), C. flagellum, C. floribundus, C. guruba (জালি বেত), C. gracilis, C. latifolius (কোরাক বেত), C. longisetus (উদম বেত), C. tenuis (সাঁচি বেত), C. viminalis var. fasciculatus (বড় বেত), C. quinquenervius। 

বর্ণনা

বেত কাঁটাময়, চিরসবুজ, অরোহী পাম। কাণ্ড লম্বা, কাঁটাযুক্ত ও শাখাহীন। সরু ও নলাকার কাণ্ড প্রস্থে সাধারণত ৫-১৫ মিলিমিটার। প্রতিটি কাণ্ডের আগা থেকে নতুন পাতা বের হয় ও বেড়ে ওঠে। কাণ্ড বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এর নিচের অংশ পোক্ত হতে থাকে। কোনো ধারককে ধরে রাখার জন্য কাঁটাযুক্ত ধারক লতা বের হয়।

আরো পড়ুন: বিলুপ্তির পথে গোলাপজাম

ফল

বেতফল গোলাকার বা একটু লম্বাটে গোলাকার, ছোট ও কষযুক্ত টকমিষ্টি। এর খোসা শক্ত হলেও ভেতরটা নরম। বীজ শক্ত। কাচা ফল সবুজ ও পাকলে সবুজাভ ঘিয়ে বা সাদা রঙের হয়। এটি থোকায় থোকায় ফলে। প্রতি থোকায় ২০০টি পর্যন্ত ফল হয়। বেতগাছে ফুল আসে অক্টোবর মাসে আর ফল পাকে মার্চ-এপ্রিল মাসে। এটি অপ্রচলিত ফল হলেও অনেকের কাছে খুবই প্রিয়।

প্রাপ্তিস্থান

সাধারণত গ্রামের রাস্তার পাশে, বসতবাড়ির পেছনে, পতিত জমিতে ও বনে কিছুটা আর্দ্র জায়গায় বেতগাছ জন্মে। কিছুদিনের মধ্যেই বেত ঘন হয়ে ঝাড়েও পরিণত হয়। বাংলাদেশের বেতফল একটি বিলুপ্ত প্রায় ফল। ২-৩ দশক আগেও আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলের বনেজঙ্গলে, নিচু ডোবার ধারে নানা রকম বেত দেখা যেত। এখন আর দেখা যায় না।

আরো পড়ুন: আঁশফল বা কাঠ লিচু

ব্যবহার

১.প্রথমে বেত গাছের মূল সেদ্ধ করে নিতে হবে। এরপর এই সেদ্ধ করা পানি দিয়ে কুলকুচি করলে দাঁতের গোড়া শক্ত হয়।

২.বেত গাছের মূল চূর্ণ্ করে ঘিয়ে ভেজে নিতে হবে। এবার মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে শুক্রাণুর বৃদ্ধি ঘটে।

৩.বেত গাছের মূলের ক্বাথ সেবন করলে মূত্র সংক্রান্ত যাবতীয় রোগ নিরাময় হয়।

৪.প্রথমে বেত ফলের রস চিনির সাথে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর এটি নিয়মিত খেলে পিত্তশূল ভালো হয়ে যাবে।

৫.বেত ফলের শাঁস খেলে আমাশয় ভালো হয়ে যায়।

৬.দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেতের কচি কান্ড তরকারি হিসেবে খাওয়া হয়।

৭.বেত অতি মূল্যবান ও অর্থকরী উদ্ভিদ। উন্নতমানের হ্যান্ডিক্রাফট, গৃহের আসবাবপত্র তৈরির জন্য বেতের ব্যবহার বেশি।

আরো পড়ুন: বিলুপ্তির পথে কাউফল

ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা - Diabetes Diet Chart
কলার ১২ টি জাদুকরী গুণ
সজিনার উপকারিতা
মেধা পাতার উপকারিতা
শুষনি শাকের ২০ টি উপকারিতা
হরতকি ফলের গুনাগুণ-Properties of Myrobalan Fruit
শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে করণীয় - What to do to keep the child's mental health good
কোষ্টকাঠিন্য রোগের কারণ ও প্রতিরোধের উপায়
আখরোটের উপকারিতা ও অপকারিতা - Benefits and harms of walnuts
হাইলাইটার ব্যবহারের নিয়ম - Rules for using highlighters