বৈঁচি ফল-governor’s plum
ইংরেজি নাম: governor’s plum, batoko plum, and Indian plum
বৈজ্ঞানিক নাম: Flacourtia indica
বাংলাদেশের একটি অপ্রচলিত ফল সুস্বাদু বৈচি বা লুকলুকি।এটি এক ধরনের টক মিষ্টি ফল। ঝোপ ঝোপ কাঁটাযুক্ত গাছ হয় বৈঁচির। ঘন ডালপালা, হালকা সবুজ গোলাকার পাতা হয় এই গাছে। গাছের গায়ের কাঁটা হয় প্রায় ৩/৪ ইঞ্চি লম্বা। কাঁটা খুব সুঁচালো ও বিষাক্ত।
সাধারণত ফাল্গুন-চৈত্র মাসে এ গাছে ফুল ধরে। জ্যৈষ্ঠ মাসে ফল পাকে। ফল দেখতে অনেকটা বরইয়ের মতো। কাঁচা ফল হয় সবুজ রঙের তবে পাকলে তা জামের মতো রঙ ধারণ করে। খুবই মজার স্বাদ বৈঁচির। টক মিষ্টি স্বাদের এই ফলের স্বাদ পরিচিত অন্য কোনো ফলের মতো নয়। ভিন্ন স্বাদের এই ফলটি আগে গ্রামগঞ্জের শিশু-কিশোরের খুবই প্রিয় ছিল।
দক্ষিণাঞ্চলের জনপ্রিয় একটি ফল এই বৈঁচি। বরিশাল অঞ্চলে কাঁটাবহরি নামে পরিচিত এটি। এছাড়াও অনেক স্থানে বুঁজ, ডঙ্কার ফল ইত্যাদি নামেও ডাকা হয় বৈঁচিকে।আসুন জেনে নেই বৈঁচি ফলের গুণাগুণ
বৈঁচি ফলের গুণাগুণ:
(১) বৈঁচি ফল হৃদরোগীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। কারণ এতে রয়েছে রক্ত তরল করার উপাদানসমূহ।
(২) বৈঁচি ফলের প্রায় ৬০ ভাগই রয়েছে আয়রন। এছাড়া এতে রয়েছে সালফার, ফসফেট ও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি।
(৩) বৈঁচি গাছের পাতা বেটে প্রলেপ দিলে বাত ব্যথা ভালো হয়।
(৪) বৈঁচি পাকা ফল হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এছাড়া লিভারের রোগেও ফল উপকারী।
(৫) বৈঁচি ফলের কচি ও ফল ডায়রিয়া রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
(৬) গাছের শেকড় দাঁতব্যথা উপশমে ব্যবহার করা হয়।
(৭) বৈঁচি গাছের শেকড় চিবিয়ে খেলে দাঁতব্যথা উপশম হয়ে থাকে।
(৮) বৈঁচি গাছের কচি পাতা ও ফল ডায়রিয়া রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
(৯) বৈঁচি পাকা ফল হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে । এটি লিভারের রোগেও ফল উপকারী।
(১০)বৈচি গাছের পাতা থেতো করে হাত পায়ে মালিশ করলে হাত পায়ের জ্বালা কমে যায়।
বর্তমানে বন উজাড় হওয়ায় গাছটি বিলুপ্ত প্রজাতির তালিকায়।পাতা ও মূল অনেকে সাপের কামড়ের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার করে। বাকলের অংশ তিলের তেলের সঙ্গে মিশিয়ে বাতের ব্যথা নিরাময়ে মালিশ তৈরি করা হয়।
সাম্প্রতিক মন্তব্য
#শিকদার মোর্শেদ মোর্তুজা
সুন্দর প্রতিবেদন। ধন্যবাদ।