লম্বা লেজবিশিষ্ট প্রাণী টিকটিকি পোকামাকড় খেয়ে উপকার করে। তারপরও কেউই এই প্রাণীটিকে ঘরে রাখতে রাজি নন। কারণ টিকটিকির ঘরময় রাজত্ব কেবল ভয়ানক ব্যাপারই নয়, খাদ্যদ্রব্যতে এই বিষাক্ত প্রাণীটি পড়লে তা স্বাস্থ্যহানিসহ চরম অসুস্থতার কারণ হতে পারে।
টিকটিকির উপদ্রবের র হাত থেকে বাঁচার উপায়:
ন্যাপথালিন: টিকটিকি দূর করতে যেখানে যেখানে এর উপদ্রব বেশি সেখানে ন্যাপথলিন রেখে দিলে টিকটিকি দূরে থাকবে
ময়ূরের পালক: কোন এক অদ্ভুত কারণে টিকটিকি ময়ূরের পাখা বা পালক অনেক ভয় পায়। যেখানেই ময়ূরের পালক টিকটিকি দেখতে পায় এর আর ধারের কাছে আসতে চায় না টিকটিকি। তাই ঘরের ফুলদানিতে সাজিয়ে রাখুন কয়েকটি ময়ূরের পালক।
পেঁয়াজ: পেঁয়াজে রয়েছে সালফার যার গন্ধ টিকটিকি একদম সহ্য করতে পারে না। যে দিক দিয়ে টিকটিকি বেশি যাতায়াত করে বিশেষ করে ঘরের ভেন্টিলেটরে টিকটিকি বেশি দেখতে পাওয়া যায় সেখানে পেঁয়াজ কুঁচি কুঁচি করে কেটে দিয়ে রাখুন
শুকনো মরিচ গুঁড়ো: শুকনো মরিচ গুঁড়া করে ঘন্টা খানেক পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সেই পানি ছেঁকে নিয়ে একটি স্প্রে বোতলে নিয়ে যেখানে যেখানে টিকটিকির উপদ্রব সেখানে স্প্রে করুন। শুকনো মরিচের এ গন্ধ ও ঝালের কারণে টিকটিকি দূরে পালাবে
রসুন: রসুনের খোসা ছাড়িয়ে কোয়া বের করে উপদ্রবের স্থানে রেখে দিতে পারেন, এর গন্ধে টিকটিকি দূরে পালাবে। তাছাড়া, একটি স্প্রে বোতলে পেঁয়াজের রসের সাথে রসুনের রস ব্যবহার করে উপদ্রবের স্থানে স্প্রে করলে উপকার পাওয়া যাবে।
ডিমের খোসা: ডিমের গন্ধ টিকটিকি সহ্য করতে পারে না। ডিমের খোসা আলাদা করে রেখে উপদ্রবের স্থানে, বিশেষ করে ঘরের ভেন্টিলেটরে এই ডিমের খোসা রেখে দিলে টিকটিকির উপদ্রব কমবে। তবে তা সিদ্ধ ডিমের খোসা হলে হবে না, কাঁচা ডিমের খোসা হতে হবে।
বরফ ঠান্ডা পানি: টিকটিকি শীতল রক্তের প্রাণী। টিকটিকি দেখলেই বরফপানি স্প্রে করে দিন। দেখবেন টিকটিকি ঠাণ্ডায় জমে গেছে। এরপর এটি তুলে বাইরে ফেলে দিন।
কফি পাউডার : কফি পাউডার ও তাকাক গুড়া এক সাথে মিশিয়ে একটি মিকচার বানান। এবার এই মিকচার ঘরে টিকটিকি থাকতে পারে এমন জায়গাগুলোতে রেখে দিন।