গর্ভধারণের প্রাথমিক ১০ লক্ষণ

গর্ভধারণের প্রাথমিক ১০ লক্ষণ

নারীর শরীরের বিভিন্ন লক্ষণ প্রকাশ করে জানান দেয় সে গর্ভবতী। গর্ভাবস্থার প্রাথমিক পর্যায়ে কোনো নারীর মধ্যে কিছু লক্ষণ দেখা দেয়, যা লক্ষ্য করলে ধারণা করা যায় সে গর্ভবতী। নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রেগন্যান্সি টেস্ট করে নিতে পারেন। এখানে প্রেগন্যান্সির খুবই প্রাথমিক ১০টি লক্ষণ আলোচনা করা হলোঃ

স্তনের পরিবর্তন:  নারীর স্তন বা স্তনবৃন্ত আরো বেশি সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। কিছুটা ব্যথা অনুভূত হতে পারে। গর্ভধারণ বুঝে ওঠার ক্ষেত্রে এগুলো বিজ্ঞানসম্মত উপায়। কিন্তু এসব বুঝতে অভ্যন্ত নই আমরা। এ অবস্থার সৃষ্টি হয় দেহে অতিমাত্রায় ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন হরমোন উৎপাদনের ফলে। গর্ভবতী হওয়ার পর স্তন দুধ উৎপাদনের প্রস্তুতি নিতে থাকে। তখনই এমটা হয়। গর্ভধারণ করার ফলে আপনার স্তনের আকৃতি কিছুটা বৃদ্ধি পাবে ও নিপল গাঢ় রঙ ধারণ করেছে কিনা খেয়াল রাখুন।

খাবারে অনীহা: গর্ভবস্থার শুরুর দিকে খাবারে অনীহা বোধ হওয়া বেশ স্বাভাবিক। যদি কোন খাদ্যদ্রব্যের (যেমন পেয়াজ) গন্ধ আপনার মাঝে বমি ভাব নিয়ে আসে তবে খেয়াল করুন এমনটা ক্রমাগত হচ্ছে কি না। এসময় বমি ভাব বা খাদ্যে অনীহার কোন স্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই। তবে খুব সম্ভবত আপনার শরীরে ক্রমবর্ধমান ইস্ট্রোজেন হরমোনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এটা। এসময় আপনার খুব পছন্দের কোন খাবার খেতে বিস্বাদ লাগলেও আশ্চর্য হবেন না। 


মাথা ঘোরা: মাথা ঘোরা, বমি ও হজমে সমস্যা: সাধারণত সকালে ঘুম থেকে উঠে যদি প্রচণ্ড দূর্বল, মাথা ঘোরা ও বিষন্ন লাগে এবং সেই সাথে প্রায়ই হজমে সমস্যা বা কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। হতে পারে, আপনার গর্ভধারণের অন্যতম লক্ষণ এটি।গর্ভধারণের পর অবসাদ গ্রাস করে নারীদের। এ সময় বাড়তি হরমোন এবং শারীরিক পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে দেহকে ব্যাপক কাজ করতে হয়। রক্তপ্রবাহের গতি বাড়ে। ভ্রূণ গঠনের জন্যে পুষ্টিপ্রবাহে ব্যাপক শক্তি খরচ হয়। এ সময়টাতে বাড়তি প্রোজেস্টেরন উৎপাদন অবসাদের জন্যে দায়ী থাকে।

ঘনঘন মূত্রত্যাগ: যদি আপনাকে সারাদিন ঘনঘন মূত্রত্যাগ করতে হয়, তাহলে আপনি সম্ভবত গর্ভবতী। ডা. স্মারলিং বলেন, এটি সম্পূর্ণরূপে স্বাভাবিক এবং এটি হওয়ার কারণ হচ্ছে: আপনার কিডনি শরীরের অতিরিক্ত তরল ফিল্টার করার জন্য ওভারটাইম কাজ করছে।

মাসিক মিস হওয়া: আপনার মাসিক যদি সঠিক চক্র মেনে চলে এবং ঠিক সময়ে যদি আপনার মাসিক না হয়, তবে উপরের উপসর্গগুলো দেখা না গেলেও আপনি বাসায় বসেই প্রেগনেন্সি টেস্ট করার কথা চিন্তা করতে পারেন। তবে আপনার মাসিক যদি অনিয়মিত হয়, এবং আপনি যদি এর ঠিকমতো হিসাব না রাখেন, তবে বমি ভাব, স্তনে ব্যাথা এবং বেশি বেশি বাথরুমে যাওয়ার দিকে খেয়াল করুন

হালকা রক্তপাত: শুরুর দিকে গর্ভাবস্থায় হালকা রক্তপাতের সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো ইমপ্লান্টেশন। এটা তখনই ঘটে থাকে যখন উর্বর ডিম্বানুগুলো জরায়ু লাইনে থেকে যায়। এটা সাধারণত গর্ভধারণের ১০ থেকে ১৪ দিন পরে ঘটে।


ক্ষুধামন্দা:  দেখা দেয়। আগের মজার সব খাবার বিস্বাদ লাগে। খাবারের গন্ধও অসহ্য হয়ে উঠতে পারে। ক্ষুধামন্দা ব্যাপক আকার ধারণ করে

উত্তেজনা, উদ্বেগ: হরমোনের পরিবর্তনের কারণে আবেগ-অনুভূতি খুবই স্পর্শকাতর হয়ে ওঠে। উত্তেজনা, উদ্বেগ, উন্মাদনা, ভয় এবং আনন্দ সবকিছুই অতিমাত্রায় অনুভূত হতে পারে।


মন মেজাজের উঠানামা: এসময় মন মেজাজের কোন ঠিক ঠিকানা না থাকাই স্বাভাবিক। এমন মুড সুইংয়ের কারণ বেশ কয়েকটা। সম্ভবা মায়ের শরীরে এসময় হরমোন বদলের কারণে ব্রেনের অভ্যন্তরে মেসেজ বহনকারী নিউরোট্রান্সমিটারের পরিমানে পরিবর্তন আসে। এই পরিবতৃন বিভিন্ন জনে বিভিন্নরকম হয়ে থাকে। সম্ভবা মা এসময় বেশ আবেগী অনুভব করেন, আবার অনেকে এসময় বিষন্নতা/দুশ্চিন্তায় ভোগেন।

নিশ্চিত হবার জন্যে প্রেগন্যান্সি স্ট্রিপ: সাধারণত ঔষধের দোকানগুলোতেই প্রেগন্যন্সি পরীক্ষার স্ট্রিপ পাওয়া যায়। প্রথম পিরিয়ডের ডেট মিস করার পরদিনই এটি দিয়ে টেস্ট করুন। বিস্তারিত নির্দেশনা প্যাকেটেই লেখা থাকে। সাধারনত প্রথম ১ মাসেই এটি ভালো নির্ণয়ের কাজ দেয়। আর এ থেকে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন আপনি গর্ভধারণ করেছেন কিনা।


কেন গাজর খাবেন?
অ্যাভোকাডো ফলের উপকারিতা
দই খাওয়ার উপকারিতা
শশার পুষ্টিগুণ
জয়ন্তী বৃক্ষের ভেষজ গুণাগুণ
আলোকলতার গুনাগুন
বাঁশ-কোড়লের পুষ্টিগুণ-Bamboo shoots or bamboo sprouts
নটে শাকের উপকারিতা
ময়েশ্চারাইজার বানানোর নিয়ম
মাথার উকুন দূর করার ১০টি ঘরোয়া উপায়