কোন স্কিনের জন্য কোন ফাউন্ডেশন - Any foundation for any skin
foundation for any skin

কোন স্কিনের জন্য কোন ফাউন্ডেশন - Any foundation for any skin

বর্তমান সময়ে ত্বক অনুযায়ী বাজারে অনেক ধরনের ফাউন্ডেশন পাওয়া যায়। তৈলাক্ত ফাউন্ডেশন, ওয়াটার ফাউন্ডেশন এবং সিলিকন ভিত্তিক ফাউন্ডেশন সাধারণত ব্যবহার করা হয়। তবে আপনি যদি এই ফাউন্ডেশনগুলির মধ্যে একটিও যদি ব্যবহার করেন তবে প্রথমে তাদের মধ্যে পার্থক্যটি জেনে নিন।

তেল ভিত্তিক ফাউন্ডেশন খুব পুরু হয়। যখনই এটি ব্যবহার করা হয়, এটি ত্বকে লাগানোর পর অনেকটাই ত্বকের সঙ্গে মিশে যায়। স্বাভাবিক ফাউন্ডেশনের চেয়ে তেল ভিত্তিক ফাউন্ডেশন ত্বকে সেট হতে একটু বেশি সময় নেয়।

তেল ভিত্তিক ভালো ফাউন্ডেশন ব্যবহার করলে মুখে একটা উজ্জ্বলতা আসে। আপনার যদি শুষ্ক ত্বক হয় তবে তেল ভিত্তিক ফাউন্ডেশন আপনার জন্য সেরা। যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত তাঁদের এটি ব্যবহার করা উচিত নয়।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ওয়াটার বেস্ট ফাউন্ডেশন পারফেক্ট। যেসব মহিলার ত্বক খুব তৈলাক্ত, তাঁদের উচিত জল ভিত্তিক ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা। এই ফাউন্ডেশন খুবই হালকা। এটি ত্বকে সহজেই মিশে যায়। এই ফাউন্ডেশন ব্যবহারে ত্বকের ছিদ্রও আটকে যায় না।

সিলিকন ভিত্তিক ফাউন্ডেশন ব্যবহার করলে ম্যাট লুক পাওয়া যায়। সিলিকন ফাউন্ডেশন অনেকটা প্রাইমারের মতো কাজ করে। এই ফাউন্ডেশনের বিশেষ বিষয় হল এটি ওয়াটারপ্রুফ। এটি ব্যবহারের পর ঘাম হলেও মেকআপ কোনও ভাবেই মুছে যায় না।

সাধারণত, ব্রাইডাল মেকআপে শুধুমাত্র সিলিকন বেসড ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা হয়। এটি ত্বকে একটি পাতলা স্তর তৈরি করে যাতে ঘামের পরেও মেকআপ কোনও ভাবে নষ্ট হয়ে যায় না। আপনি প্রতিদিন ব্যবহারের জন্য সিলিকন বেসড ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে পারেন।

কোন স্কিনের জন্য কোন ফাউন্ডেশন

আসলে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মুখের সব কোলো দাগ ঢাকা হয়। তাই ত্বকের ধরণ অনুযায়ী পারফেক্ট ফাউন্ডেশন বাছাই করে ব্যবহার করা উচিত। না হলে টাকাও জলে যাবে আর মেকআপও দেখতে ভালো লাগবে না। তাই ফাউন্ডেশন কেনার আগে জেনে নেওয়া উচিত, স্কিনটোন অনুযায়ী সঠিক ফাউন্ডেশন কেমন হওয়া উচিত?

তেলতেলে ত্বকের জন্য

ত্বক তেলতেলে হলে তার উপযোগী মেকআপ খুঁজে বের করাটাই অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। ক্রিম-বেসড ফাউন্ডেশন মাখলে তৈলাক্ত ত্বক আরও বেশি তেলা দেখাবে। তা হলে সমাধান কী? উত্তরটা সহজ - ম্যাটিফায়িং ফাউন্ডেশন। এই ফাউন্ডেশনে তেল আর সিলিকোন নেই, ফলে তেলতেলে ত্বকে দারুণ কাজ করে! ল্যাকমে নাইন টু ফাইভ প্রাইমার+ম্যাট পারফেক্ট কভার ফাউন্ডেশন/ Lakmé 9 To 5 Primer + Matte Perfect Cover Foundation তেলতেলে ত্বকের জন্য অন্যতম সেরা ফাউন্ডেশন। এর লং-ওয়্যার ফর্মুলায় রয়েছে ইন-বিল্ট প্রাইমার। এটি ত্বকে অনায়াসে মিশে যায় আর আপনি পেয়ে যান নিখুঁত ফিনিশ যা সারাদিন অটুট থাকে!

শুষ্ক ত্বকের জন্য

ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে বসে মেকআপ করলেন আর কয়েক মিনিটেই তা ছোপ ছোপ হয়ে গেল, এমনটা আর কে চায় বলুন! কিন্তু আপনার ত্বক যদি শুষ্ক হয় আর আপনি সঠিক ফাউন্ডেশন বেছে নিতে না পারেন, তা হলে ফল এটাই হবে! আপনার দরকার অয়েল-বেসড বা ক্রিম-বেসড ফর্মুলা যা আপনার ত্বক আর্দ্র রাখবে, আরও শুকনো করে দেবে না। ল্যাকমে অ্যাবসলিউট আর্গান অয়েল সিরাম ফাউন্ডেশন/ Lakmé Absolute Argan Oil Serum Foundation শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে অন্যতম সেরা বাছাই। এতে রয়েছে আর্গান অয়েলের গুণ (যাকে তরল সোনা বলা হয়), আর তার সঙ্গে আছে ত্বকে পুষ্টি জোগানোর জন্য সিরামের শক্তি যা ত্বকে এনে দেয় স্নিগ্ধ ঝলমলে উজ্জ্বলতা। এই ফাউন্ডেশন পাওয়া যায় 10 টি শেডে যা ভারতীয় ত্বকের প্রতিটি টোনের সঙ্গে মানানসই

স্বাভাবিক ত্বক

এই ধরনের ত্বক পাওয়া আশীর্বাদের মতো। আপনার যদি স্বাভাবিক ত্বক হয়, তা হলে পছন্দমতো যে কোনও ফাউন্ডেশন লাগাতে পারেন। তবে ভুলভ্রান্তি এড়াতে সঠিক আন্ডারটোনের ফাউন্ডেশন বেছে নিন। হাই কভারেজ ফাউন্ডেশন পরতে স্বছন্দ না হলে বেছে নিন মুজ ফর্মুলা। এটি হালকা এবং ত্বকের পক্ষেও আরামদায়ক। ল্যাকমে নাইন টু ফাইভ ওয়েটলেস মুজ ফাউন্ডেশন/ Lakmé 9 to 5 Weightless Mousse Foundation হালকা হওয়ায় ত্বকের সঙ্গে নিখুঁতভাবে মিশে যায় এবং একটি সুন্দর ম্যাট ফিনিশ এনে দেয় যা সারাদিন ঠিক থাকে। মুজ ফর্মুলার কারণে ত্বক নরম আর হালকা থাকে, ফলে এই ফাউন্ডেশন আপনি প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারেন।

কম্বিনেশন ত্বক

এই ত্বকের ব্যাপারটা একটু গোলমেলে। কম্বিনেশন ত্বক হল সেই ধরনের ত্বক যা মুখের কিছু অংশে (মূলত টি-জোন) তেলতেলে, আবার বাকি অংশে শুষ্ক। এই ত্বকের উপযোগী মেকআপ খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। আপনার চাই এমন প্রডাক্ট যা তেলতেলে ত্বককে আরও তেলতেলে করে দেবে না, অথবা ত্বকের শুষ্ক অংশকে আরও শুকনো করে দেবে না। কপাল ভালো, ঠিক তেমনই একটি ফাউন্ডেশন রয়েছে। বেছে নিন ল্যাকমে অ্যাবসলিউট থ্রিডি কভার ফাউন্ডেশন/ Lakmé Absolute 3D Cover Foundation। এই ফাউন্ডেশনে রয়েছে ভিটামিন বিথ্রি, যা ত্বকে পুষ্টি জোগায় এবং ত্বকের কোষগুলি পরিশুদ্ধ করে তোলে। ওয়াটার-বেসড এই ফর্মুলাটি ত্বকে খুব মসৃণভাবে মিশে যায়। মুজের মতো টেক্সচারের এই ফাউন্ডেশনটিন ত্বকের রোমছিদ্র আর সূক্ষ্ম রেখা ঢেকে দেয় আর আপনি পেয়ে যান নিখুঁত মসৃণ ফিনিশ। সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হল, এই ফাউন্ডেশন 16 ঘণ্টা পর্যন্ত ঠিক থাকে এবং এর এসপিএফ 25 ত্বককে রোদজনিত ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে! দারুণ ব্যাপার, তাই না?

তথ্যসূত্র: tv9bangla.com,bebeautiful.in
জেনে নিন শসা খাওয়ার উপকারিতা
নাক ডাকার কারণ ও সমাধান
পুঁই শাকের উপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ
জিরার পানির উপকারিতা ও গুনাগুণ
পুদিনা পাতার গুণাগুণ ও উপকারিতা
হরতকি ফলের গুনাগুণ-Properties of Myrobalan Fruit
বাসক পাতার ঔষধি গুণ
জীবন নিয়ে উক্তি
ঢোলপাতা বা কানশিরে উপকারিতা
নাভিতে দুর্গন্ধ হওয়ার কারণ