স্ত্রীকে খুশি করার সহজ ১০ টি উপায় - 10 easy ways to make your wife happy
স্বামী-স্ত্রী এক মধুর সম্পর্ক। সম্পর্ক ভালো রাখতে একে অপরের সঙ্গে খুশি থাকা প্রয়োজন। সম্পর্কে সুখ না থাকলে তা আসলে খুব বেশি দিন স্থায়ী হয় না। সম্পর্ক ভাঙনের পেছনে মূলত কাজ করে এই অখুশি থাকাটাই। তাই সঙ্গী আপনার সঙ্গে খুশি রয়েছেন কি না তা লক্ষ রাখুন।
আপনার কি মনে পড়ে কবে সর্বশেষ স্ত্রীর খুশির জন্য ব্যতিক্রম কিছু করেছেন? হয়তো অনেক দিন আগে, তাই না?দামি উপহার দিয়েই যে সব সময় স্ত্রীর মন জয় করা যাবে তা নয়। অনেক সময় ছোট ছোট অনেক কিছু সম্পর্ককে মধুময় করে তোলে। আপনার স্ত্রী শুধুমাত্র আপনার জীবনসঙ্গী নয়- একজন প্রেমিকা, খারাপ সময়ের শ্রেষ্ঠ বন্ধু, মায়ের মতো যত্নশীল একজন মানুষ। এককথায় আপনার জীবণে প্রতিটি মুহূর্তে চলার সঙ্গী আপনার স্ত্রী।
১.মানসিক শান্তি প্রদান
অধিকাংশ ভারতীয় পুরুষরাই ভাবে 'মিলন এর মাধ্যমেই তাদের স্ত্রীরা সর্বসুখ পাবেন। ' এটা যে সম্পূর্ণ ভুল তা নয়। কিন্তু শারীরিক সুখের পাশাপাশি মানসিক সুখ তাও খুব জরুরি। তাই সকালে কাজে বেরোনোর আগে একটা করে চুমু বা সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে অল্প আদর - খুনসুটির মাধ্যমে নিজেদের ভালোবাসার ভীত মজবুত করুন
২.সৎ থাকুন
যেকোনও সম্পর্কের ভিত্তি হলো বিশ্বাস। তাই অকারণে মিথ্যা না বলাই ভালো। একটা মিথ্যা ঢাকতে গিয়ে হাজারটা কথা বলতে হয়। সেখান থেকে সত্যি কথা বেরিয়ে আসে। যে কারণে স্ত্রীকে লুকিয়ে কোনও কাজ করবেন না। ধরা পড়ার সম্ভাবনা প্রবল।
৩.সঙ্গিনী কে সময় দিন
বিয়ের পর মেয়েরা এমনিতেই একটু একাকিত্বে ভোগে। তাই কোনো এক বিকেলে স্ত্রীর হাত ধরে সামনা সামনি কোথাও ঘুরে বা সিনেমা দেখে আসুন। এতে একে অপরের প্রতি বিশ্বাস বাড়বে।
৪.স্ত্রীর প্রশংসা করুন
বউকে খুশি করার উপায় হিসাবে তার প্রশংসা করার থেকে ভালো কিছু নেই। প্রত্যেক নারীই তার সঙ্গীর কাছ থেকে এই আশা টুকু রেখে থাকে। "তোমাকে কাজল পড়লে সুন্দর দেখায়" বা "তুমি চুল খোলা রাখলে আমি শ্রাবণের বর্ষার আভাস পায়" - এই ছোট খাটো কথা গুলি শোনার জন্য মেয়েরা উৎসুক হয়ে থাকে।
৫.ঘুরতে যাওয়া
সময় পেলেই স্ত্রীর সঙ্গে ঘরতে বের হন। অনেক নারীই তার সঙ্গীর উপর অভিযোগ করেন এ বিষয়ে। একটু বেড়িয়ে আসলে দুজনের মনই ভালো থাকবে। বছরে এক থেকে দু’বার একটু লম্বা ট্রিপ করুন।
৬.স্ত্রীর কথাতে গুরুত্ব দিন
স্ত্রী যা বলছেন সবসময় তা হেসে উড়িয়ে না দিয়ে মন দিয়ে শুনুন। কারণ, তিনি কখনও আপনাকে খারাপ উপদেশ দেবেন না। বরং আপনার কীসে ভালো হবে, সেটাই মন দিয়ে দেখেন। আপনি তার কথায় সায় দিলে আপনার স্ত্রীরও তা ভালো লাগবে।
৭.কাজে সহযোগিতা করুন
মেয়েরা ছোটো থেকেই গৃহস্থালির কাজে পটু হয়। আর এগুলো করতেও তারা ভালোবাসে। তাই মাঝে মধ্যে স্ত্রীর কাজে সাহায্য করুন। নিজে ভালো রান্না করতে না পারলেও স্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে তাকে উৎসাহিত করতেই পারেন।
৮. স্ত্রীর ভালো ও খারাপ লাগার গুরুত্ব দেয়া
স্ত্রীর ভালো ও খারাপ লাগার বিষয়গুলোও আপনার জানতে হবে। স্ত্রী যেন বুঝতে পারে আপনি তাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। বাইরে থাকলে স্ত্রীকে ঘন ঘন ফোন করুন। এসব বিষয় সব নারীকেই খুশি রাখে।
৯.স্ত্রীকে খোঁটা দেবেন না
রান্নায় কেন তেল বেশি হয়েছে কেন মোটা হয়ে যাচ্ছ- এসব বলে খোঁটা দেবেন না। এছাড়া তার ভুল সবসময় ধরবেন না। এমনকি যদি কোনও অনুষ্ঠানে তিনি অজান্তে কোনও ভুল করেন, তাহলে তাকে সবার সামনে অপমান করবেন না।
১০.উপহার দিন
স্ত্রীকে উপহার দিতে ভুলবেন না। শুধু নির্দিষ্ট দিবস বা উৎসবে নয় বরং সময় পেলেই তাকে উপহার দিন। বেশি দামি নয়, ছোটখাট কিছু উপহার দিয়েও কিন্তু আপনি খুশি রাখতে পারেন স্ত্রীকে।
তবে সেই উপহার দেওয়ার মাধ্যমে যেন আপনার ভালোবাসা প্রকাশ পায়, সে বিষয় নিশ্চিত করুন। তবেই উপহার দেওয়ার মধ্যে সার্থকতা খুঁজে পাবেন। আর স্ত্রীও হবেন খুশি।