সিগারেট ছাড়ার ১০টি সহজ টিপস - 10 Easy Tips to Quit Cigarettes
Best Quit-Smoking

সিগারেট ছাড়ার ১০টি সহজ টিপস

প্রতিবছর তামাকজাত পণ্য ব্যবহার ও সেবনে ৬০ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। আর এই ধরণের মৃত্যুর পেছনে সবচেয়ে আগে যে বিষয়টি সামনে আসে তা হলো ধূমপান। শুধুমাত্র স্বাস্থ্যঝুঁকি হলেও হত কিন্তু এতে রয়েছে বিপুল অর্থ অপচয়। অনেকে এটা পরিত্যাগের কথা চিন্তা করে বেশ কয়েকবার ধূমপান ছাড়ার কথা ভাবলেও পারেন নি। চলুন জেনে নেই ধূমপান ছাড়বেন যেভাবে-

১. দিনের কোন সময়গুলোতে আপনার ধূমপানের ইচ্ছা বেশি জাগে, সেটি শনাক্ত করুন। এরপর ওই সময়গুলোতে নিজেকে কোনো কাজের মধ্যে ব্যস্ত রাখুন। কোনো কাজ খুঁজে না পেলে হাঁটাহাঁটি করুন। ব্যায়াম করে বা পরিবারের লোকজনের সঙ্গে আড্ডা দিয়েও নিজেকে ব্যস্ত রাখতে পারেন। ব্যস্ততা বাড়লে ধূমপানের কথা ভুলে থাকা সহজ হবে।

২.আদা খেতে পারেন। এতে উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান নানাভাবে সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছাকে দমিয়ে দেয়। আদা চা বা কাঁচা আদা খেতে পারেন।

৩. মুখ খালি থাকলেই ধূমপানের আগ্রহ জাগবে। তাই ধূমপান বাদ দিতে চাইলে মুখ খালি রাখা যাবে না। এ সময় মুখে চকলেট, লজেন্স বা চুইংগাম রাখুন। পকেট থেকে সিগারেট, ম্যাচের বাক্স ফেলে দিয়ে লজেন্স কিংবা চুইংগাম রাখুন।

৪. নিকোটিনের মতো টক্সিনের সঙ্গে লড়াই করতে প্রতিদিন ভিটামিন এ, সি ও ই সমৃদ্ধ ক্যাপসুল অথবা খাবার খান। এতে সিগারেটের নেশা কমে যাবে।

৫. খেতে পারেন আঙুরের রস। এটি নিকোটিনের কারণে শরীরের ভেতরে জমতে থাকা টক্সিন দূর করে ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বাড়ায়।  এ ছাড়া সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছাও কমতে শুরু করে।

৬. সিগারেটের নেশা ছাড়াতে ওটস খেতে পারেন। ২ কাপ ফোটানো পানির সঙ্গে ১ চামচ ওটস মিশিয়ে সারা রাত রেখে দিন। পর দিন সকালে পুনরায় ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিয়ে প্রতিটি খাবারের পর অল্প করে খেতে থাকুন। এতে শরীর থেকে নিকোটিন বেরিয়ে যাবে। সেই সঙ্গে কমে যাবে সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছাও।

৭.কোনো কিছুতেই আসক্তি কমাতে না পারলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া নিয়ে সংকোচ বা হীনম্মন্যতায় ভোগার কোনো কারণ নেই। বরং আপনার এই পদক্ষেপের মাধ্যমেই আপনি নিজেকে ধূমপানের আসক্তি থেকে সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনে নিয়ে আসতে পারবেন।

 ৮.মধুতে থাকা ভিটামিন, এনজাইম এবং প্রোটিন শরীর থেকে নিকোটিন বের করে দেয় ও সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছাকেও নিয়ন্ত্রণে করে।

৯.ধূমপান বিরোধী এবং স্বাস্থ্য সচেতনতার বই পড়ুন। প্রতিদিন আরেকজন ধূমপায়ীকে কিভাবে ভালো পথে আনা যায় সেটা ভাবুন।

১০.অ্যাকোহলমিশ্রিত পানীয়, কোমলপানীয়, চা, কফি ইত্যাদি পানের সময় অনেকে মনে করেন যোগ্য সংগত সিগারেট। যা পানীয়র স্বাদ আরও বাড়িয়ে দেয়। তাই এ ধরনের পানীয়র অভ্যাস প্রচুর ছেড়ে ফলের রস আর পানি পান করুন। এখন বাজার নানা রকম রসাল ফলে ভরপুর। সেসব ফলের জুস করে খেতে পারেন।

নখের যত্নে যা করবেন - What to do with nail care
অরবরই এর উপকারিতা
হারিয়ে যাচ্ছে বেতফল-cane fruit benefits
তেঁতুলের উপকারিতা
কাঁচা ছোলা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা
ভাঁট গাছের উপকারিতা
লজ্জাবতীর ঔষধি গুণাগুণ
বাঁশ-কোড়লের পুষ্টিগুণ-Bamboo shoots or bamboo sprouts
রোজমেরি হেয়ার অয়েলের উপকারিতা
বনঢেড়স বা লতাকস্তুরীর ঔষধি গুণ