গর্ভাবস্থায় পেট ব্যথা - Abdominal pain during pregnancy
Abdominal pain during pregnancy

প্রেগনেন্সির সময় পেটে ব্যথার কারণ

প্রেগন্যান্সিতে পেটে ব্যথার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। গর্ভাবস্থায় মায়েদের পেট ব্যথা হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়, বেশ স্বাভাবিক ব্যপার। কারণ এসময়ে নারীদের দেহের অনেক অঙ্গের মাঝে পরিবর্তন ঘটে, জরায়ু আকারে বড় হয়ে যায়, লিগামেন্ট টান টান হয়ে যায়। এছাড়া সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মর্নিং সিকনেস তো আছেই। কিন্তু যখন এই ব্যথা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়, তখন অবশ্যই চিন্তার কারণ রয়েছে ও সেক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

গর্ভাবস্থায় পেট ব্যথার সাধারণ কারণ

পেটে ভোঁতা ধরনের ব্যথা হতে পারে, আবার তীক্ষ্ণ ব্যথাও হতে পারে। আপনার পেট ব্যথা যদি তেমন তীব্র না হয় এবং বিশ্রাম, দেহভঙ্গির পরিবর্তন, পায়খানা অথবা বায়ুত্যাগের সাথে কমে যায়, তাহলে সেই ব্যথা নিয়ে সাধারণত ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই।

গর্ভধারণের ফলে আপনার শরীরে হরমোনজনিত নানান পরিবর্তন হয়। তা ছাড়া গর্ভে বড় হতে থাকা শিশুকে জায়গা করে দিতে আপনার পেটের অংশেও বিভিন্ন পরিবর্তন আসে। মূলত এসব কারণেই গর্ভাবস্থায় পেট ব্যথা হতে পারে।

রাউন্ড লিগামেন্ট পেন

জরায়ু থেকে কুঁচকি পর্যন্ত দুটো বড় লিগামেন্ট থাকে। জরায়ু বড় হয়ে প্রসারিত হলে রাউন্ড লিগামেন্টের কাছাকাছি চলে আসার ফলে যন্ত্রণা হয়। ওঠা-বসা করতে গেলে, হাঁটলে, হাঁচি বা কাশি হলে ব্যথা অনুভূত হয়। সাধারণত দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে এই ব্যথা বাড়ে। প্রেগন্যান্সির সময় এই ব্যথা বেশ কষ্টদায়ক হলেও ক্ষতিকারক নয়।

প্রেগন্যান্সি গ্যাস পেন

প্রথমে তলপেটে ব্যথা দিয়ে শুরু হয়। তারপর তা ছড়িয়ে পরে পেটের উপরের দিক থেকে বুক, পিঠে। প্রোজেস্টেরন হরমোনই এর জন্য দায়ী। প্রেগন্যান্সিতে শরীরে প্রোজেস্টেরন হরমোনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে খাদ্যনালীর কার্যকারিতা ব্যাহত হয়। ফলে খাবার হজম হতে বেশি সময় লাগে। কোলনে খাবার বেশিক্ষণ থাকার জন্য গ্যাস উত্পন্ন হয়। জরায়ু বড় হয়ে যাওয়ার কারণে অন্যান্য অঙ্গের উপরও চাপ পড়ে। যার ফলে পরিপাক ক্রিয়া ধীরে হয়। হজম যত আস্তে হবে, ততই গ্যাসের পরিমাণ বাড়বে।

কোষ্ঠকাঠিন্য

এই সমস্যা হলে অন্য প্রেগন্যান্ট মহিলাদের সঙ্গে আলোচনা করুন। অনেকেই প্রেগন্যান্সিতে এই সমস্যায় ভোগেন। হরমোনের মাত্রার তারতম্য, অতিরিক্ত বিশ্রাম, উত্কণ্ঠার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। যদি ডায়েটে পরিমাণ মতো ফাইবার ও জল না থাকে তা হলেও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।

ইউরিনারি ট্রাক্ট ইনফেকশন

প্রেগন্যান্সির ৬ সপ্তাহ কেটে গেলেই ইউরিনারি ট্রাক্ট বা ব্লাডার ইনফেকশনের ঝুঁকি বাড়ে। প্রস্রাবের সময় জ্বালা করে, তলপেটে চাপ, বার বার প্রস্রাব পাওয়ার সমস্যা হয়। গর্ভাবস্থায় এই ঝুঁকি বাড়ে। চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন, জরায়ু ব্লাডারের ঠিক উপরেই থাকে। জরায়ুর ওজন বাড়তে থাকলে তা ব্লাডারে চাপ দেওয়ার ফলে প্রস্রাব ঠিক মতো বেরোতে পারে না। ফলে ইনফেকশনের ঝুঁকি বাড়ে। সাবধান না হলে কিডনির উপর প্রভাব পড়তে পারে। সময়ের আগেই গর্ভ যন্ত্রণা শুরু হতে পারে। অস্বাভাবিক কম ওজনের শিশু জন্মানোরও ঝুঁকি থাকে।

ব্রাক্সটন-হিকস কনট্রাকশন

এটা প্রেগন্যান্সির সময় খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। জরায়ুর পেশীর সংকোচনের কারণে পেটে চাপ অনুভূত হয়। গর্ভাবস্থার ৩৭ সপ্তাহ পর্যন্ত মাঝে মাঝেই এ রকম হতে পারে। যদি খুব বেশি সমস্যা হয় তা হলে অবশ্যই চিকিত্সককে জানান। ডেলিভারির সময় এগিয়ে এলে কিন্তু এই ব্যথা গর্ভ যন্ত্রণার লক্ষণ হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় পেট ব্যথার গুরুতর কারণ

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পেট ব্যথা ঝুঁকির কারণ না হলেও কিছু ক্ষেত্রে পেট ব্যথা গুরুতর জটিলতা নির্দেশ করতে পারে। এসব কারণের মধ্যে রয়েছে—

জরায়ুর বাইরে গর্ভধারণ

মায়ের ডিম্বাণু ও বাবার শুক্রাণুর মিলনের ফলে শিশুর ভ্রূণ সৃষ্টি হয়। এই ভ্রূণই বড় হতে হতে পূর্ণাঙ্গ শিশুতে রূপ নেয়। স্বাভাবিক গর্ভধারণের বেলায় ভ্রূণটি জরায়ুর ভেতরে জায়গা করে নেয়। তবে কখনো কখনো ভ্রূণটি জরায়ুর বাইরে অস্বাভাবিক কোনো স্থানে (যেমন: ডিম্বনালীতে) স্থাপিত হতে পারে। এই ঘটনাকে ডাক্তারি ভাষায় এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি বলে।

এই ধরনের গর্ভধারণে শিশুকে বাঁচানো সম্ভব হয় না এবং জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়৷ যদি ভ্রূণটি বেড়ে উঠতে থাকে, তাহলে ডিম্বনালী অথবা অন্য অঙ্গ ফেটে গর্ভবতীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই দেরি না করে এক্টোপিক প্রেগন্যান্সির সঠিক চিকিৎসা নেওয়া খুবই জরুরি।

এক্টোপিক প্রেগন্যান্সির লক্ষণগুলো সাধারণত গর্ভাবস্থার ৪র্থ সপ্তাহ থেকে ১২তম সপ্তাহের মধ্যে দেখা যায়, যার মধ্যে অন্যতম হলো পেট ব্যথা। সাধারণত তলপেটের নিচের দিকে যেকোনো একপাশে ব্যথা হয়। অন্যান্য লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে—

* যোনিপথে রক্তপাত

* কাঁধের আগায় ব্যথা

* প্রস্রাব ও পায়খানা করার সময়ে ব্যথা বা অস্বস্তি

* যোনিপথ দিয়ে বাদামী রঙের পানির মতো তরল বের হওয়া

এসব লক্ষণের মধ্যে যেকোনোটি দেখা দিলে দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যান।

গর্ভপাত

গর্ভধারণের ২৮ সপ্তাহের আগে গর্ভের শিশুর মৃত্যু হওয়াকে গর্ভপাত বলে। এই সময়ে পেট ব্যথা অথবা পেট কামড়ানোর সাথে যোনিপথে রক্তপাত হলে সেটি কখনো কখনো গর্ভপাতের লক্ষণ হতে পারে। অন্যান্য লক্ষণের মধ্যে রয়েছে—

* বমি বমি ভাব ও বমি

* যোনিপথ দিয়ে স্রাব জাতীয় তরল বের হওয়া

* যোনিপথ দিয়ে কোষগুচ্ছ বা টিস্যু বের হয়ে আসা

* গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণগুলো (যেমন: বমি বমি ভাব ও স্তনে ব্যথা) আর অনুভূত না হওয়া

* জ্বর

* দুর্বলতা ও অবসাদ

গর্ভপাতের যেকোনো লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তার দেখান।

প্রি-এক্লাম্পসিয়া

গর্ভাবস্থার শেষের দিকে বাচ্চার বৃদ্ধির ফলে জরায়ু ওপরের দিকে উঠে যেতে পারে। এতে নিচের দিক থেকে পাঁজরে চাপ লেগে পাঁজরের ঠিক নিচে ব্যথা হতে পারে। কিন্তু এ ব্যথা অসহ্যকর কিংবা একটানা হলে, বিশেষ করে ডান পাশের পাঁজরের নিচে এমন ব্যথা হলে, দ্রুত হাসপাতালে যেতে হবে। এটি প্রি-এক্লাম্পসিয়ার লক্ষণ হতে পারে।

প্রি-এক্লাম্পসিয়া গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপজনিত একটি মারাত্মক জটিলতা, যা সাধারণত গর্ভধারণের ২০তম সপ্তাহের পর থেকে দেখা দিতে পারে। পাঁজরের ঠিক নিচে তীব্র ব্যথা হওয়া ছাড়াও নিচের চারটি লক্ষণের মধ্যে কোনোটি থাকলে দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে—

* তীব্র মাথা ব্যথা

* চোখে দেখতে সমস্যা হওয়া। যেমন: দৃষ্টিশক্তি ঘোলাটে হয়ে যাওয়া অথবা চোখে আলোর ঝলকানির মতো কিছু দেখা

* হঠাৎ করেই পা, হাত অথবা মুখ ফুলে যাওয়া

* ওপরের যেকোনো লক্ষণের পাশাপাশি বমি হওয়া

* সময়মতো চিকিৎসা শুরু না করলে পরবর্তীতে এক্লাম্পসিয়া হতে পারে, যা থেকে আপনি কোমায় চলে যেতে পারেন। এমনকি আপনার ও গর্ভের শিশুর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

অকাল প্রসব

নির্দিষ্ট সময়ের আগে সন্তান জন্মদানকে অকাল প্রসব বলা হয়। গর্ভাবস্থার ৩৭তম সপ্তাহের আগে নিয়মিত বিরতিতে পেট কামড়ানো অথবা পেটে টান খাওয়া অকাল প্রসবের লক্ষণ হতে পারে। এসময়ে কোমরেও ব্যথা হতে পারে। এমন হলে আপনার হাসপাতালে ভর্তি থেকে ডাক্তারি পর্যবেক্ষণে থাকা প্রয়োজন। অকাল প্রসবের অন্যান্য লক্ষণ হতে পারে—

* পানির মতো, আঠালো অথবা রক্তমিশ্রিত স্রাব হওয়া

* স্রাবের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া

* যোনিপথে যেকোনো পরিমাণে পানি ভাঙা

* তলপেটে চাপ লাগা অথবা মৃদু ব্যথা হওয়া

* একটানা মৃদু ও চাপা ধরনের পিঠ ব্যথা হওয়া

* তলপেটে মৃদু ব্যথার সাথে ডায়রিয়া হওয়া

* গর্ভের শিশুর নড়াচড়া কমে যাওয়া

* প্ল্যাসেন্টা বা গর্ভফুল ছিঁড়ে যাওয়া

গর্ভধারণের ২০তম সপ্তাহের পর প্ল্যাসেন্টা বা গর্ভফুল জরায়ুর দেয়াল থেকে হঠাৎ করেই আলাদা হয়ে যেতে পারে। এসময়ে সাধারণত যোনিপথে ভারী রক্তপাতের পাশাপাশি একটানা তীব্র পেট ব্যথা হতে দেখা যায়। পেটে চাপ দিলে পাথরের মতো শক্ত জরায়ু হাতে লাগে। এই ব্যথা সহজে প্রশমিত হয় না।

এটিও এক ধরনের জরুরি অবস্থা, কারণ এসময় প্লাসেন্টা গর্ভের শিশুকে অক্সিজেন ও পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে পারে না। তা ছাড়া অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের সম্ভাবনা থাকায় মা ও শিশু উভয়ের জীবন হুমকির মুখে পড়তে পারে। তাই এমন কোনো লক্ষণ থাকলে দেরি না করে হাসপাতালে যাওয়া খুবই জরুরি।

ইউরিন বা প্রস্রাবের ইনফেকশন

গর্ভাবস্থায় নারীদের প্রস্রাবের ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। প্রস্রাবের ইনফেকশন হলে পেট ব্যথা হতে পারে। এ ছাড়া প্রস্রাবের সময়ে জ্বালাপোড়া ও ব্যথা, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া ও প্রস্রাবের সাথে রক্ত যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

প্রস্রাবের ইনফেকশনের সঠিক চিকিৎসা না নিলে কিডনির ইনফেকশনসহ বিভিন্ন গুরুতর স্বাস্থ্য জটিলতা হতে পারে। তাই এসময়ে প্রচুর পানি পান করুন এবং দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ইনফেকশন নিশ্চিত হলে ডাক্তার প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের পরামর্শ দিতে পারেন।

গর্ভাবস্থায় পেট ব্যথার জন্য প্রতিকারসমূহ

যদি আপনি কোনও গুরুতর জটিলতা নির্দেশ করে এমন কোনো উপসর্গের সম্মুখীন হন, তবে অবিলম্বে আপনার ডাক্তার বা স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করা ভাল। তবে, গর্ভবতী মহিলারা যদি পেটের মধ্যে হালকা ব্যথা অনুভব করেন, তাহলে বাড়িতে নিম্নলিখিত কোনো একটি প্রতিকারমূলক চিকিত্সার চেষ্টা করতে পারেন:

কিছু সময় বিশ্রাম নিলে বা শুয়ে থাকলে তাত্ক্ষণিক ব্যথার উপশম হতে পারে, বিশেষ করে ব্র্যাক্সটন হিকস সংকোচন দ্বারা সৃষ্ট ব্যাথাগুলি।

উষ্ণ (এবং গরম নয়) জলে স্নান করলে তলপেটে ব্যথা এবং খিঁচুনি থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করতে পারে।

গরম জলের বোতল (কাপড়ের মধ্যে আবৃত) বা ব্যাগ ব্যাথার জায়গায় প্রয়োগ করলে, ব্যথার অনুভূতি হ্রাস করতে সহায়তা করতে পারে।

উপরন্তু, আপনি পেট ব্যাথার ঘটনা কমাতে নিম্নলিখিত প্রতিকারগুলি চেষ্টা করতে পারেন:

বিশেষত প্রথম ত্রৈমাসিকে প্রসারণ এবং যোগব্যায়ামের মতো কোমল ব্যায়াম, বিশেষ করে গ্যাস সমস্যার জন্য, সহায়ক হতে পারে। আপনি আপনার ধাত্রী বা অন্য কোনো বিশেষজ্ঞের সাথে আপনার জন্য উপযুক্ত হবে এমন গর্ভকালীন ব্যায়ামের বিষয়ে কথা বলতে পারেন।

কোমর তীক্ষ্ণভাবে বাঁকাতে হবে যেখানে সেরকম নড়াচড়া এড়িয়ে চলুন।

সারা দিনে প্রচুর পরিমাণে জল খান। ব্র্যাক্সটন হিকস সংকোচনের প্রাথমিক কারণগুলির মধ্যে ডিহাইড্রেশন অন্যতম।

অল্প করে বারে বারে খাবার খান। ফল এবং সবজির মতো ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্য চয়ন করুন।

প্রস্রাব করুন এবং আপনার মূত্রাশয় নিয়মিত খালি করুন।

তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন

সহায় হেলথ https://shohay.health/pregnancy/symptoms

গর্ভপাতের ঝুঁকি কাদের বেশি - Who is at higher risk of miscarriage?
বাংলাদেশের সেরা ক্যান্সার হাসপাতাল
ইবনে সিনা হাসপাতালের ঠিকানা ও ফোন নম্বর
বরিশাল জেলার বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের তালিকা
আমলকির সিরাপের উপকারিতা
স্ত্রীর পিরিয়ডের সময় স্বামীর করণীয়
নওনেহাল সিরাপ এর উপকারিতা
হাত পা ঘামার হোমিওপ্যাথি ঔষধ - Homeopathy medicine for sweaty hands and feet
দাঁতের রোগ ও আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি - Dental diseases and modern treatment methods
গর্ভাবস্থায় ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া - Frequent urination during pregnancy