চিনলি না রে মন
-জাগ্রত কবি মুহিব খান
---------------------
যার করুণায় জীবন সবার যার হাতে মরণ,
যার ইশারায় চলছে ধরায় সকল আয়োজন,
চিনলি না রে মন তাহারে চিনলি না রে মন,
ও তুই করলি না স্মরণ তাহারে করলি না স্মরণ,
যার ইশারায় ঢেউ খেলে যায় ভরা নদীর বাকে,
মৌমাছিরা মধু খেয়ে জমায়রে তার চাকে,
দোয়েল কোয়েক বুলবুলি আর পিউপাপিয়া ডাকে,
গোলাপ বকুল শিউলি পলাশ ফোটে শাখে শাখে,
রোজ হাশরে কবর ফেড়ে উঠবি রে যার ডাকে,
ভবের খেলায় সব হারিয়ে খুজলি না মন তাকে,
দুই জাহানের মালিক সে যে সেই চির আপন,
চিনলি না রে মন তাহারে চিনলি না রে মন,
ও তুই করলি না স্মরণ তাহারে করলি না স্মরণ।
কোথায় কখন কোন কারণে কে থাকে কার পাশে,
কোন পিপড়ায় ঘর বেধেছে কোন মাঠে কোন ঘাসে,
কোন বাতাসের কোন সে ধূলা ঢুকলো রে কার শ্বাসে,
কোন কবরে কোন সে শিয়াল মুখ দিল কার লাশে,
কুদরতি নয়নে যাহার সকল কিছুই ভাসে,
আড়াল হতে দেখে দেখে মুখ টিপে সে হাসে,
কেমনে বুঝিবি তাহার কর্মের ধরণ,
চিনলি না রে মন তাহারে চিনলি না রে মন,
ও তুই করলি না স্মরণ তাহারে করলি না স্মরণ।
থাকতে সময় ঠিক হয়ে যা ওরে ও পথভোলা,
ভুল পথে পা বাড়িয়ে জীবন করিস নে আর ঘোলা,
সম্মুখে তোর রাস্তা এখন দুইটা আছে খোলা,
দেখে শুনে তুই বেছে নে কোন পথে তোর চলা,
শেষ বিচারে না চাস যদি জাহান্নামের জ্বালা,
তওবা করে হয়ে যা রে আল্লাহ রাসুল ওয়ালা,
মহান প্রভূর দরবারে কর আত্বসমর্পণ,
চিনলি না রে মন তাহারে চিনলি না রে মন,
ও তুই করলি না স্মরণ তাহারে করলি না স্মরণ।