শনিবার টুইটারে দেয়া এক পোস্টে গিলানি বলেন, এই গ্রহে বসবাস করা সব মুসলমানের কাছে কাশ্মীরেদের রক্ষার বার্তা হিসেবে নিতে হবে এই টুইটকে।
তিনি বলেন, যদি সবাই আমরা হত্যাকাণ্ডের শিকার হই, আর আপনারা নীরব থাকেন, তাতে মহান আল্লাহর কাছে আপনাদের জবাব দিতে হবে। কাশ্মীরে মানব ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ গণহত্যা ঘটাতে যাচ্ছে ভারত। আল্লাহ আমাদের সুরক্ষা করুক।
ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলির খবরে বলা হচ্ছ, শুধু ওমর আবদুল্লা নয়, আরেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এবং সাজ্জাদ লোনকেও গৃহবন্দী করা হচ্ছে।
এএনআই এর খবরে বলা হয়েছে, অনির্দিষ্টকালের জন্য ৫ অগাস্ট মধ্যরাত থেকে শ্রীনগরে ১৪৪ ধারা অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। সাধারণ মানুষ চলাচল করতে পারবেন না। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
স্থানীয় সাংবাদিকরা জানাচ্ছেন, এক অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা শ্রীনগর শহরকে। শহর ছাড়া গ্রামীণ এলাকাতেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। জায়গায় জায়গায় পুলিশ চৌকি তৈরি করা হয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরেই ভারত শাসিত কাশ্মীরে বাড়তি ২৮ হাজার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা রক্ষী পাঠানোর সিদ্ধান্ত, হিন্দুদের পবিত্র অমরনাথ যাত্রা বন্ধ করে ওই রাজ্য থেকে সব তীর্থযাত্রী আর পর্যটকদের রাজ্য ছেড়ে দ্রুত চলে যাওয়ার পরামর্শ - এসবের পরে সেখানে ব্যাপক গুঞ্জন চলছে।
কাশ্মীরিদের রক্ষায় বিশ্বের মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সর্বদলীয় হুররিয়াত কনফারেন্সের(এপিএইচসি) প্রধান সাইয়েদ আলী গিলানি।
খবর পাকিস্তান টুডে