কলকাতার ৩০টি বিখ্যাত জায়গা-Famous place in Kolkata
Famous place in Kolkata

কলকাতার বিখ্যাত জায়গা-Famous place in Kolkata

ভারতে সবচেয়ে বড় শহর এবং সাংস্কৃতিক রাজধানী কলকাতা। বাংলাদেশি পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে পশ্চিম বঙ্গের এই শহরটি। চিকিৎসা, ব্যবসা ও কেনাকাটার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশিরা কলকাতায় বেশি ভ্রমণ করেন।

মাত্র ৩ দিনের ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন কলকাতা থেকে। সড়ক, রেল ও আকাশ পথে কলকাতায় যাওয়া যায়। সড়ক ও রেলপথে কলকাতায় যেতে সময় লাগে ১২ ঘণ্টার বেশি। সঙ্গে রয়েছে নানা রকম ঝক্কি ঝামেলা।

তাই তো সাধ্যের মধ্যে মাত্র ৪০ মিনিটে আকাশ পথে ঝামেলাহীন ভাবে কলকাতায় যেতে পারেন আপনিও। হোটেলও বুকিং দিতে পারেন বাংলাদেশ থেকেই। আপনার জন্য হালট্রিপ দিচ্ছে এয়ার টিকিট, হোটেল বুকিং এর সুবিধা।

১. কফি হাউজ 

গানে মনে হয়েছিল কফি হাউসের চারদিক হবে খোলামেলা। সবুজের ছায়ায় মিলবে কফির পেয়ালায় চুমুক দেওয়ার সুযোগ। বাস্তবে পুরোটাই উল্টো। পুরোনা একটি ভবন। সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় উঠতেই নানা বয়সের মানুষের আড্ডা। এসেছেন পর্যটকরাও। দরজা দিয়ে ঢুকতেই মুখোমুখি কাউন্টার। পেছনে বিশাল বোর্ডে খাবারের দরদাম।

সাদা শার্ট-প্যান্ট, কোমরে লাল বেল্ট, মাথায় টুপি পরনে ওয়েটাররাও অনেক ব্যস্ত। এখানকার কফি ও কাটলেটে রয়েছে ভিন্নতা। নিয়ন আলোয় আলোকিত ‘ডুপ্লেক্স’ কফি হাউজ। চলছে তিন পাখার ফ্যান। উপর তলায় বসলে কফি হাউসের পুরো ভিউটা একসাথে দেখা যায়। সন্ধ্যায় আড্ডা বেশি জমে।

২.ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল

ঘাট বাঁধানো পুকুর, সারি সারি গাছ, সবুজ মাঠের মাঝে বড় অট্টালিকা। এ নিয়েই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। মোঘল এবং ব্রিটিশ স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। প্রসাদের মত বিশাল অট্টালিকায় রয়েছে ২৫টি গ্যালারি। যেখানে বিভিন্ন এন্টিক নিদর্শন এবং হস্ত নির্মিত শিল্পকর্ম প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়েছে।

৩.প্রিন্সেপ ঘাট

জেমস প্রিন্সেপ এর স্মৃতিতে নির্মিত প্রিন্সেপ ঘাট কলকাতা সবচেয়ে পুরনো দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম। এখান থেকে অনেকে নদীতে প্রমোদ ভ্রমণে যায়,২০১২ সালে প্রিন্সেপ ঘাট থেকে কদমতলা ঘাট পর্যন্ত নদীতীরের উদ্বোধন করা হয়েছে, এই অংশটি আলোকমালা, বাগান, ফোয়ারা দিয়ে সাজানো হয়েছে। ঐতিহ্যময় ঘাট টি উনিশ শতকের নস্টালজিয়া কে ধরে রেখেছে।

৪.জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি

কলকাতার জোড়াসাঁকোতে অবস্থিত ঠাকুর পরিবারের প্রাচীন বাড়ি ‘জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দাদা এই বাড়ি নির্মাণ করেন। ঠাকুর পরিবারের স্মৃতি বিজড়িত বাড়িটি এখন রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। এই বাড়িতেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাড়ির একটি অংশে রয়েছে জাদুঘর। যেখানে ঠাকুর পরিবারের নানা ঐতিহ্য প্রদর্শনের জন্য রাখা রয়েছে।

৫.হাওড়া ব্রিজ

বিশ্বের ষষ্ঠ দীর্ঘতম ক্যান্টিলিভার ব্রিজ ‘হাওড়া ব্রিজ’। ব্রিটিশ শাসনামলে হুগলি নদীর উপর এ ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। যা কলকাতা ও হাওড়া শহরের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করে। ব্রিজের পাশের লঞ্চঘাট থেকে নৌকায় ঘুরতে পারেন হুগলি নদী। উপভোগ করতে পারেন হাওড়া ব্রিজের সৌন্দর্য।

৬.বোটানিক্যাল গার্ডেন

হাওড়া শিবপুর এ অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক উদ্ভিদ উদ্যান বোটানিক্যাল গার্ডেন। এই উদ্যানে মোট ১৪০০ প্রজাতির প্রায় ১৭ হাজারটি গাছ রয়েছে এই উদ্যানে। ২৭৩ একর আয়তনবিশিষ্ট এই উদ্যানটি শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন নামে পরিচিত। বোটানিক্যাল গার্ডেনের সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য দ্রষ্টব্য  হল মহাবটবৃক্ষ, যা আড়াইশো বছরের প্রাচীন বৃক্ষ। 

৭.অ্যাকোয়াটিকা

অ্যাকোয়াটিকা একটি জল উদ্যান যা ২০০০ সালে নির্মিত হয়েছে। অ্যাকোয়াটিকা রাজারহাটে কোচপুকুরে ৮ একর এলাকা জুড়ে অবস্থিত। এখানে একটি প্রধান আকর্ষণ ঢেউ যুক্ত পুল, যেখানে কৃত্রিম ঢেউয়ের মাধ্যমে সমুদ্র সৈকতের অনুভূতি পাওয়া যায়। এই জল উদ্যানে উপভোগ করা যায় বিভিন্ন রাইডসও, অ্যাকোয়াটিকায় অ্যাকোয়া ক্যাফে নামক একটি রেস্তোরাঁও আছে।

৮.মাদারস ওয়াক্স মিউজিয়াম

শাহরুখ, অমিতাভের সঙ্গে সেলফি তুলতে চান? ঘুরে আসতে পারেন মাদারস ওয়াক্স মিউজিয়াম থেকে। তাদের সঙ্গে দেখা হতে পারে মহাত্মা গান্ধী, মাদার তেরেসা, ম্যারাডোনাসহ সুপারম্যান কিংবা মোট পাতলুর মোমের মূর্তির সঙ্গে। মান্না দে, আরডি বর্মন, লতা মুঙ্গেশকরের পাশে রাখা হেডফোনে গানও শুনতে পারেন। কলকাতার নিউ টাউনে অবস্থিত মাদারস ওয়াক্স মিউজিয়ামে রয়েছে ৫০টিও বেশি মূর্তি।

৯.সাইন্স সিটি

একপলকে বিজ্ঞানের নানা দিক দেখে আসতে পারেন সাইন্স সিটি থেকে। এখানে রয়েছে প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে বর্তমান যুগের নানা জীবজন্তুর মূর্তি। যা জীবন্ত প্রাণীর মতোই নড়াচড়া করে এবং শব্দ করে। এছাড়াও রয়েছে বিজ্ঞানের নানা দিক নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র দেখার সুবিধা। ক্যাবল কার দিয়ে পুরো সাইন্স সিটি দেখা সুযোগ তো রয়েছেই।

১০.একুশে উদ্যোন

কলকাতায় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল যাওয়ার পথেই একুশে উদ্যান। ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ – অমর এই গানের থিমে এই উদ্যানটি তৈরি করা হয়েছে। শহরের বিড়লা প্লানেটোরিয়ামের পাশেই এটি অবস্থিত।

১১.কালীঘাট

কালীঘাট মন্দির কলকাতার প্রসিদ্ধ কালী মন্দির, একান্ন শক্তিপীঠের অন্যতম হিন্দু তীর্থক্ষেত্র এটি। পুরাণে বলা আছে এখানে সতীর অঙ্গচ্ছেদের পায়ের আঙ্গুল পড়েছিল।

১২.আলিপুর চিড়িয়াখানা

কলকাতার একটি জনপ্রিয় ভ্রমন কেন্দ্র আলিপুর চিড়িয়াখানা, চিড়িয়াখানায় সবচেয়ে বেশি লোক সমাগম দেখা যায় শীতের মরশুমে, ৪৫ একর আয়তনের এই পশুশালা টি ১৮৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। চিড়িয়াখানার উল্টো দিকে একটি অ্যকোয়ারিয়াম রয়েছে, সারা বিশ্বের বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ এবং জীবের সমাহার রয়েছে সেই অ্যাকোয়ারিয়ামে।

১৩.দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দির

হুগলি নদীর তীরে দক্ষিণেশ্বরে অবস্থিত কালীমন্দিরটি ১৮৫৫ সালে জমিদার রানি রাসমণি প্রতিষ্ঠা করেন, এই মন্দিরে কালীসাধনা করতেন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব।

১৪.বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়াম

বিড়লা প্লানেটরিয়াম অবস্থিত থিয়েটার রোড ও চৌরঙ্গী রোড ক্রসিং এ। গম্বুজটি ৭৫ মিটার উঁচু যার হলঘরে প্রোজেক্টরের সাহায্যে আকাশের গ্রহ-নক্ষত্রের সাথে পরিচয় করানো হয়, তুলে ধরা হয় মহাজাগতিক বিভিন্ন রহস্য। কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন হিসেবে জনপ্রিয়তা রয়েছে বিড়লা তারামণ্ডলের।

১৫.নন্দন

নন্দন একটি সরকারি প্রেক্ষাগৃহ ও চলচ্চিত্র উৎকর্ষ কেন্দ্র যা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৫ সালে। পশ্চিমবঙ্গের চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশ সাধনে গড়ে ওঠে নন্দন, যার মূল ভবনে চলচ্চিত্র প্রদর্শনের জন্য মোট তিনটি অডিটোরিয়াম রয়েছে, সেমিনার ও সাংবাদিক সম্মেলনের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয় চার নম্বর অডিটোরিয়ামটি। নন্দন কলকাতার আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের প্রধান অনুষ্ঠানস্থল।

১৬.সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল

১৮৪৭ সালে তৈরি হওয়া এই চার্চটি কলকাতার একটি বিখ্যাত চার্চ। যা বিড়লা প্লানেটরিয়াম এর কাছে অবস্থিত।

১৭.ইকো পার্ক

কলকাতার রাজারহাটে অবস্থিত ৪৮০ একর আয়তনের উদ্যানটি ভারতের বৃহত্তম উদ্যান, এই পার্কের মধ্যে বিশাল জলাশয় আছে, মাঝখানে একটি দ্বীপ আছে, যেখানে খাবার রেস্তোরা ও থাকার হোটেল আছে। ইকো পার্কে মোট ছটি গেট আছে। চার নম্বর গেটের কাছে বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের প্রতিরূপ রয়েছে।

১৮.নিক্কো পার্ক

সল্টলেকে অবস্থিত মোট ৪০ একর এলাকায় বিস্তৃত চিত্তবিনোদনমূলক পার্ক হিসেবে নিক্কোপার্ক রাজ্যের পর্যটকদের আকৃষ্ট হওয়ার অন্যতম স্থান। বিভিন্ন আনন্দদায়ক রাইডস্ এ-র পাশাপাশি এখানে নৌকা চালানোর জন্য লেক রয়েছে।

১৯.ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম 

প্রায় আট হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এই জাদুঘর, সাতটি গ্যালারিতে মোট ৬  টি ভাগে শিল্পকলা, প্রত্নতত্ত্ব, নৃতত্ব, ভূতত্ত্ব, প্রাণিবিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা প্রভৃতি বিভিন্ন ধরনের অসংখ্য সংগ্রহ গ্যালারিতে সুসজ্জিত রয়েছে।

২০.বিরলা ইন্ডাস্ট্রিয়াল মিউজিয়াম 

দক্ষিণ কলকাতায় মিউজিয়ামটি অবস্থিত। এখানে বিজ্ঞানকে জানা ও বোঝার জন্য ব্যবহৃত জিনিসপত্র রয়েছে। 

২১.নেহেরু শিশু যাদুঘর 

শিশুদের জন্য ভালো দর্শনীয় স্থান হলো নেহেরু শিশু যাদুঘর। এখানে রয়েছে পুতুল গ্যালারি, খেলনা গ্যালারি, রামায়ণ ও মহাভারত গ্যালারি। এই যাদুঘরে শিশুদের বিনোদনের পাশাপাশি রয়েছে শিক্ষামূলক অনেক তথ্য। সব বয়সী মানুষ যাদুঘরটিতে আসেন। 

২২.আশুতোষ মিউজিয়াম

আশুতোষ মিউজিয়াম কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত একটি প্রতিষ্ঠান। ১৯৩৭ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ভারতের শীর্ষস্থানীয় মিউজিয়ামগুলোর অন্যতম এটি। 

২৩.ন্যাশনাল লাইব্রেরি

পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ গ্রন্থাগার ন্যাশনাল লাইব্রেরী অবস্থিত আলিপুরে। বর্তমানে এই গ্রন্থাগারে প্রায় কুড়ি লক্ষ বই এবং ৫ লক্ষ পান্ডুলিপি রয়েছে।

২৪.কলেজস্ট্রিট

মধ্য কলকাতায় অবস্থিত কলেজস্ট্রিট পৃথিবীর বৃহত্তম বাংলা বইয়ের বাজার এবং পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম পুরনো বইয়ের বাজার, যা বই পাড়া নামেও খ্যাত।

২৫.স্নো পার্ক

প্রচণ্ড গরমে বরফের মজা নিতে নিউটাউনের এক্সিস মলে একদম শেষ তলায় ৯ হাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে শহরের প্রথম স্নো পার্ক গড়ে উঠেছে, প্রচন্ড গরমে কলকাতা ভ্রমণে এসে বরফের মজা উপভোগ করতে চাইলে চলে যেতে হবে স্লো পার্কে।

২৬.কলকাতা রেসকোর্স 

কলকাতা রেস কোর্স ভারতের এক সবচেয়ে বড় রেস কোর্স। কলকাতা রেস কোর্স ১৮২০ সালে নির্মাণ করা হয়েছিল এবং এর সু-পরিচর্যার দ্বায়িত্বে ছিল কলকাতার রয়্যাল টার্ফ ক্লাব। কলকাতা রেস কোর্স হল ভারতের এক বিখ্যাত ঘোড়াদৌড়ের ক্ষেত্র। এখানে দেশের সবচেয়ে মর্য্যাদাপূর্ণ ঘোড়াদৌড়ের কার্যক্রম; যেমন ক্যালকাটা ডার্বি এবং রাণী এলিজাবেথ কাপ নিয়মিত রূপে আয়োজিত হয়। কলকাতার রেস কোর্স সবুজাভ কলকাতা ময়দানের দক্ষিণ-পশ্চিম কেন্দ্রে অবস্থিত। পশ্চিমবঙ্গে, কলকাতা রেস কোর্সের পশ্চিম কোণে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়্যাল অবস্থিত।

২৭.রবীন্দ্র সদন

বাংলা থিয়েটার ও কলকাতাকেন্দ্রীক সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের অনন্য মিলনমেলা বসে রবীন্দ্র সদনে। আটপৌরে বাঙালি সমাজের প্রধান বিনোদনের উৎস এটি। এখানে নাটক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নানা বিনোদনমূলক প্রদর্শনী হয়ে থাকে।

২৮.রবীন্দ্র সরোবর লেক

রবীন্দ্র সরোবর লেক বা পূর্ব পরিচিত ঢাকুরিয়া লেক হল কলকাতার এক শ্বাসযন্ত্র। এটি দক্ষিণ-কলকাতার এমন একটি স্থান যেখানে আপনি মানসিক বিপর্যয় থেকে অব্যাহতি পেতে পারেন এবং নিজস্বতাই মগ্ন থাকতে পারেন। আমার মনে আছে, যখন আমি ছোট ছিলাম আমার ঠাকুরদা-র সঙ্গে সেখানে আমি গিয়েছিলাম। আমার ভাই, তুতো ভাই আর আমি এই সমগ্র বিস্তারণে সমারোহপূর্ণভাবে ছুটে বেড়াচ্ছিলাম, অন্যদিকে ঠাকুরদা তার স্বাভাবিক গতিতে অনবরত হাঁটা-চলা করছিলেন। আমার মনে আছে সেইসময় সেখানে আমার কাছে বাদাম আর মুড়ি ছিল। তারপর এক বিশাল সময়ের ফাঁক, ২৫ বছরের এক ফাঁক। ঢাকুরিয়া লেকের সঙ্গে আমার সম্বন্ধ এইসময় কোনওভাবে স্থগিত হয়ে পড়েছিল। আমি বাসস্থান স্থানান্তরিত করে নিয়েছিলাম আর সেখানে এমন কেউ ছিল না যে তাদের সাথে ঢাকুরিয়া লেক যওয়া যেতে পারে। কিন্তু সেখানকার বেশ কিছু অবদান রয়ে গেছে।

২৯.ব্যান্ডেল চার্চ

এই গির্জার সঙ্গে সংযুক্ত এক দীর্ঘ অলৌকিকতার তালিকা সহ এটিকে “ঈশ্বরের এক আশীর্বাদ”-বলা হলে এটি আরোও স্বার্থক হবে। এটিই হল পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার ব্যান্ডেল চার্চ-এর দৈবিক মহিমা। বাংলায় পর্তুগিজ উপনিবেশের ইতিবৃত্ত স্মৃতিকাহিনী সম্মেলনে স্থিত এটি রাজ্যের এক সর্ব প্রাচীনতম খ্রীষ্টান গির্জা। এই গির্জার বর্তমান পরিকাঠামো ১৬৬০ খ্রীষ্টাব্দে গোমেজ্ ডি সোতোর দ্বারা নির্মাণ করা হয়েছিল এবং এটিতে এখনও ১৫৯৯ খ্রীষ্টাব্দের পুরনো ভবনগুলির ছাপ রয়েছে।

৩০.নাখোদা মসজিদ

নাখোদা মসজিদ, কলকাতার চিৎপুর রোড ও মহাত্মা গান্ধি রোডের সংযোগস্থলের নিকটে, জ্যাকিউয়্যারিয়া স্ট্রীটে অবস্থিত। কলকাতার নাখোদা মসজিদ, শুরুতে একটি ছোট্ট মসজিদ ছিল। ১৯২৬ সালের শেষের দিকে, কচ্ছের বাসিন্দা অবদর রহিম ওসমান্ এই বর্তমান কাঠামোটির নির্মাণ করেছিলেন। কলকাতার নাখোদা মসজিদ, কলকাতায় সর্ববৃহৎ এই প্রকারের মসজিদ্। এটি নিম্নলিখিত সিকন্দ্রার আকবরের সমাধি শৈলীর উপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছিল-এটি ইন্দো-সারাসেনিক স্থাপত্যের একটি অংশ।

তাদের ডলার আছে, আমাদের আল্লাহ: এরদোয়ান
হজের শুরুতেই বৃষ্টি, আরাফাতে স্বস্তিতে মুসল্লিরা
অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গেই আইনজীবী ও পুলিশ বিয়ে দিল তরুণীর
তিন যুবরাজ কোথায় ?
স্বামীকে মার, যুবতীর হাত-পা বেঁধে গণধর্ষণ
ধর্ষককে আগুনে পুড়িয়ে মারল এক ধর্ষিতা তরুণী !!
‘জয় শ্রীরাম’ না বলায় ভারতের গুজরাটে তিন হাফেজের ওপর হামলা
চুরির দায়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় ব্যবসায়ী গ্রেফতার
শুভ বড়দিন ২০২৩ - Merry ২০২৪
বাংলাদেশে রেকর্ড ছুঁয়েছে ইমোর ব্যবহার