জ্বরের ঔষধের নাম ও খাওয়ার নিয়ম - Names and rules of consumption of fever medicine
এই সময়ে ঘরে ঘরে জ্বরজারি লেগেই আছে। অনেকে শর্দিজ্বরে ভুগছেন। ভাইরাস জ্বরও আছে অনেকের। কোনো জ্বরকেই গুরুত্ব না দেওয়ার কারণ নেই। বিভিন্ন জ্বরের ভিন্ন চিকিৎসা। তাই সঠিক চিকিৎসা দেওয়ার আগে জ্বরের ধরন চিহ্নিত হওয়া জরুরি।
জ্বরের ঔষধের নাম
napa
napa extra
napa extend
ace
ace plus
fast
fast plus
xcel
xcel plus
শরীরে ব্যক্টেরিয়ার সংক্রামনের কারনে জ্বর আসলে সাধারণত যে এন্টিবায়োটিক গুলো বেশি ব্যাবহৃত হয় তার মধ্যে রয়েছে -
সেফট্রিয়াক্সোন (ইনজেকশন)
সেফিক্সিম (ক্যাপসুল)
সেফুরক্সিম + ক্লাভুলানিক এসিড
সিপ্রোফ্লক্সাসিন
এজিথ্রোমাইসিন ইত্যাদি।
জ্বর দূর করার এন্টিবায়োটিক ঔষধ
জ্বরের চিকিৎসায় অনেক ক্ষেত্রেই এন্টিবায়োটিক ঔষধের ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে এন্টিবায়োটিক ঔষধ ব্যবহারের শরীরে বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এন্টিবায়োটিক ঔষধ শুধু তখনই ব্যবহার করা হয় যখন রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করা সম্ভব হয় না।
তখন ডাক্তার রোগীকে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার পরামর্শ প্রদান করে থাকেন। বর্তমান সময়ে শরীরে ব্যাকটেরিয়ার কারণে যদি জ্বর এসে থাকে তাহলে যে সকল এন্টিবায়োটিক গুলো খাওয়া যেতে পারে।যেমনঃ-
সিপ্রোফ্লক্সাসিন
এজিথ্রোমাইসিন
সেফিক্সিম
সেফট্রিয়াক্সোন
প্যারাসিটামল খেয়ে নেওয়ার অভ্যাস অত্যন্ত বিপজ্জনক! আসুন জেনে নেওয়া যাক প্যারাসিটামল সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য, যা জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরী।
১) দৈহিক ব্যথার উপশমে অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্যারাসিটামলই ব্যবহৃত হয়। মাথাব্যথা, গলাব্যথা, পেশির ব্যথা, দাঁতের ব্যথা, ঋতুকষ্ট ইত্যাদিতে প্যারাসিটামল খুবই কার্যকর। চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই এটি বিক্রি হয় এবং যে কেউ কিনতে পারেন। তবে তাই বলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া প্যারাসিটামল ব্যবহার করা একেবারেই অনুচিত।
২) মাথাব্যথা, গলাব্যথা, পেশির ব্যথা, দাঁতের ব্যথা, ঋতুকষ্ট ইত্যাদিতে প্যারাসিটামল খুবই কার্যকর। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৫০০ মিলিগ্রামের একটি ট্যাবলেট, কখনও প্রয়োজনে দুটিও খেতে হতে পারে।
৩) ২৪ ঘণ্টায় চিকিত্সকরা সর্বাধিক তিন থেকে চারবার প্যারাসিটামল খাওয়ার পরামর্শই দেন। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, ২৪ ঘণ্টায় ৪ গ্রাম বা ৪০০০ মিলিগ্রামের বেশি প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে না।
৪) গা ব্যথা বা জ্বরের জন্য তিন দিন পর্যন্ত প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে। তিন দিনে সমস্যা না কমলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৫) প্যারাসিটামলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সাধারণত গুরুতর নয়। তবে শিশুদের বয়স আর ওজন অনুযায়ী প্যারাসিটামল দেওয়া উচিত। তাই শিশুদের প্যারাসিটামল খাওয়ানোর ক্ষেত্রে আগে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিতে হবে।
৬) ৪০০০ মিলিগ্রামের বেশি প্যারাসিটামল খাওয়া মোটেই উচিত নয়। কারণ তাতে কিডনি ও লিভারের মারাত্মক ক্ষতির ঝুঁকি থাকে।
৭) চিকিত্সকদের মতে, শরীরের তাপমাত্রা ১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি না হওয়া পর্যন্ত জ্বরের ওষুধ না খাওয়াই ভাল। কারণ, ভাইরাল ফিভার নিজে থেকেই সেরে যায়।
৮) সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের দাবি, গর্ভাবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া মাত্রাতিরিক্ত প্যারাসিটামল খেলে অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপার অ্যাকটিভিটি ডিসর্ডার (ADHD) বা অটিস্টিক স্পেকট্রাম ডিসর্ডার (ASD)-এর মতো মারাত্মক স্নায়ুরোগ দেখা দিতে পারে।