হাত পা ঘামার হোমিওপ্যাথি ঔষধ-Homeopathy medicine for sweaty hands and feet
ঘাম শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি। গরমে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে তা স্বাভাবিক রাখতে ঘাম হয়। এ ছাড়াও ঘামের সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থ বেরিয়ে যায়। গরমের দিনে ঘাম হওয়া অতি সাধারণ একটি বিষয়। তবে অনেক রোগী আছে যে তাদের সারা বছর ঘামের সমস্যা ভুগেন। কারও সঙ্গে হাত মেলাতে গেলে, টাইপ করার সময় বা বিভিন্ন কাজে অনেকেরই হাত ঘামার সমস্যা আছে। বার বার হাতের তালু ঘেমে ভিজে পিচ্ছিল হয়ে কাজ করতেও সমস্যা হয়।
যদি কারো হাত ও পা উভয়ই অতিরিক্ত ঘামে তবে তাকে Palmoplanter Hyperhidrosis বলা হয়।
হাত-পা ঘামার কারণ
হাত-পা ঘামার প্রাথমিক কারণ হিসেবে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। তবে অতিরিক্ত স্নায়বিক উত্তেজনার কারণে ঘাম হয়ে থাকে। এ ছাড়া আরও নানা কারণে হাত-পা ঘেমে থাকে। যেমন পারকিনসন্স ডিজিজ, থাইরয়েডে সমস্যা, ডায়াবেটিস, জ্বর, শরীরে গ্লুকোজের স্বল্পতা, মেনোপোজের পর প্রভৃতি। অনেক সময় শরীরে ভিটামিনের অভাব থাকলে হাত-পা অতিরিক্ত ঘামতে পারে। আবার মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা ও জেনেটিক কারণে হাত-পা ঘামে।
হাত পা ঘামার হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বেশ দীর্ঘস্থায়ী এবং ধৈর্য ধরে কমপ্লিট করতে হয়। সে ক্ষেত্রে তবুও অনেকটা কার্যকারী ভূমিকা পালন করে। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার কিছু ঔষধ আছে সেগুলো আপনি খেলে আপনার হাত পা ঘামা কমে আসবে, তবে দীর্ঘদিন ধরে এটি খেতে হবে আপনাকে। আপনার হাত- পা যত বেশী ঘামাক না কেনো এর একমাত্র চিকিৎসা হলো হোমিওপ্যাথ মেডিসিন। আজই দ্রুত কোনো ভালো হোমিও ডাক্তারের চিকিৎসা নিন, ১ সাপ্তাহ থেকে ৪ সাপ্তাহের মধ্যে সম্পূর্ন রোগ মুক্ত হবেন ইনশাআল্লাহ।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার ঔষধ হিসেবে আপনি r32 dr.reckeweg এর হাইপারহাইড্রোসিস ড্রপটি সেবন করতে হবে। এটি খুবই কার্যকারী একটি জার্মানি অতিরিক্ত ঘাম কমানোর ঔষধ। এটি আপনাকে প্রতিদিন ১০-১৫ ফোটা ৩ বেলা খেতে হবে এবং ১-২ মাস সেবন করলে আপনি অবশ্যই ফলাফল পাবেন। তবে মনে রাখবেন হোমিওপ্যাথি ঔষধ ধৈর্য ধরে কমপ্লিট করতে হয় নয়তো উপকার পাবেন না।
হাত পা ঘামা থেকে মুক্তির উপায়
সাধারণত বিভিন্নভাবে হাত-পা ঘামা কমানো যেতে পারে। অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইডযুক্ত একধরনের বিশেষ লোশন হাত- পায়ে ব্যবহার করলে হাত-পা ঘামা কমে যায়।
বিশেষ ধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্রে হাত- পা সেকে নিলে হাত-পা ঘামা কমে যাবে।পরবর্তী সময়ে এটি দেখা দিলে আবার একইভাবে সেই বৈদ্যুতিক যন্ত্রে হাত-পা সেকে নিতে হবে।
এসব পদ্ধতি ছাড়াও একটি বিশেষ ধরনের নার্ভের অস্ত্রোপচার করেও হাত-পা ঘামা কমানো যায়। তবে হাত-পায়ের ঘাম রোধে যা-ই করা হোক না কেন, এর আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
সাম্প্রতিক মন্তব্য
#শোভন
আমার হাত ও পা অতিরিক্ত ঘামে ।জান ফলে আমি জুতা পড়ার পর অনেক দুর্গন্দ হয় ।আমি কি ভাবে এই রোগ থাকে মুক্তি পাবো ।আপনাদের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করবেন স্যার ।