গর্ভকালীন ডায়াবেটিস রোগীদের খাওয়ার নিয়ম - Eating rules for patients with gestational diabetes
Food list for gestational diabetes patients

গর্ভকালীন ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্য তালিকা

নারীদের গর্ভধারণের ক্ষেত্রে ডায়াবেটিসের বিভিন্ন ধরণের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। টাইপ-১ বা টাইপ২ ডায়াবেটিস আক্রান্ত নারীরা গর্ভধারণের সময় এবং গর্ভধারণের পর যেমন বিভিন্ন জটিলতার সম্মুখীন হতে পারেন, তেমনি যেসব নারীর ডায়াবেটিস নেই তারাও গর্ভাবস্থায় বিশেষ ধরণের ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়ার পর বিভিন্ন ধরণের স্বাস্থ্যঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারেন।

তাই গর্ভে সন্তান আগে থেকেই ডায়াবেটিস সংক্রান্ত জটিলতা যেন তৈরি না হয় সেজন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখা প্রয়োজন।

গর্ভকালে খুব কঠোর খাদ্য নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। কারণ, এ সময় মায়েদের অতিরিক্ত ক্যালরি দরকার। চাই সঠিক পুষ্টিও। কাজেই খাবারের ধরন বা পছন্দ পাল্টাতে হবে। সে কারণে সবচেয়ে ভালো হয় ক্যালরি হিসাব করে সঠিক মাত্রায় শর্করা, আমিষ, চর্বি ও ভিটামিন–মিনারেলসসহ একটি পূর্ণাঙ্গ খাদ্যতালিকা করা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ধাপে ধাপে এই ক্যালরির মাত্রাও পরিবর্তন করতে হবে।

গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত নারীরা প্রতিদিন কমপক্ষে তিনবার স্বল্প থেকে মাঝারি পরিমাণে খাবার খাবেন। সেই সঙ্গে দুই থেকে চারবার হালকা খাবারও খাবেন। খাবারে সব ধরনের পুষ্টি উপাদান সুষমভাবে থাকতে হবে।


রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে দৈনিক খাদ্যতালিকায় আঁশসমৃদ্ধ খাবার যোগ করতে হবে। যেমন হোল গ্রেইন (সম্পূর্ণ শস্য), তাজা শাকসবজি, ফল ইত্যাদি। সরল শর্করার (যেমন যেকোনো চিনি বা মিষ্টিযুক্ত খাবার কিংবা গ্লুকোজসমৃদ্ধ খাবার, সাদা রুটি বা চাল) পরিবর্তে জটিল শর্করা যেমন লাল আটা, লাল চাল, ওটস, গোটা শস্য বেছে নিতে হবে। প্রতিদিনের খাবারে ১০ গ্রাম করে আঁশসমৃদ্ধ খাবারের পরিমাণ বাড়ালে গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ২৬ শতাংশ পর্যন্ত কমানো সম্ভব। একই সঙ্গে মায়ের পুষ্টি চাহিদাও পূরণ হবে।


জটিল শর্করার পাশাপাশি গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত নারীদের পুষ্টিকর প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার দিতে হবে। এর মধ্যে মাছ, মুরগি, ডিম, টফু, বিনস, শুঁটি জাতীয় খাবার উল্লেখযোগ্য। পাশাপাশি ক্যালসিয়াম–সমৃদ্ধ খাবার যেমন দুধ, বাদাম, পালংশাক, ছোট মাছসহ বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে। এ ছাড়া অসম্পৃক্ত চর্বিসমৃদ্ধ খাবার যেমন অলিভ অয়েল, পিনাট অয়েল, অ্যাভোকাডো, সামুদ্রিক মাছ (স্যালমন, সারডিন, টুনা), চিয়া সিডস ইত্যাদি গর্ভবতী মায়ের খাদ্যতালিকায় যোগ করতে হবে।



যেসব খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা অত্যধিক বাড়িয়ে দিতে পারে, সেগুলো এ সময় এড়িয়ে চলতে হবে। প্রক্রিয়াজাতকৃত চিনিযুক্ত খাবারও এড়ানো উচিত। এ ধরনের খাবারের মধ্যে কেক, কুকিজ, ক্যান্ডি, আইসক্রিম, পেস্ট্রি, কোমল পানীয় ইত্যাদি অন্যতম। এ ছাড়া স্টার্চ (শ্বেতসার) জাতীয় খাবার (যেমন সাদা আলু, সাদা ভাত, সাদা পাউরুটি) রক্তে শর্করার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।


প্রতিদিনের রুটিনে নিয়ম করে বিভিন্ন ধরনের মাঝারি মাত্রার ব্যায়াম (হাঁটা, সাঁতার, ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ) করতে হবে। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রাও ঠিক থাকবে।

তথ্যসূত্র: প্রথম আলো

গর্ভাবস্থায় ঘুমের সমস্যা, কী করবেন - Sleep problems during pregnancy, what to do
দ্রুত মেদ ঝরাতে খাবেন ৫ খাবার
যৌন ইচ্ছা কমিয়ে দেয় যেসব খাবার - Foods that reduce sex drive
চিকেন পক্স হলে যা করণীয় - What to do if you have chicken pox
পিল খাওয়া বন্ধ করলে যেসব সমস্যা দেখা দেয়
বাচ্চা বুকের দুধ কম পেলে করণীয় - What to do if the baby gets less breast milk
ডেঙ্গু থেকে দ্রুত সুস্থ হতে যে খাবার খাবেন - Foods to eat to recover quickly from dengue
প্যানিক অ্যাটাক কী এবং এটি হলে আপনি কী করবেন?
ডেঙ্গু থেকে বাঁচার উপায় - Ways to avoid dengue
শীতকালে শিশুর যেসব রোগ বাড়ে - Children's diseases that increase in winter