স্ট্রবেরী গাছ দেখতে অনেকটা থানকুনি অথবা আলুর গাছের মত।স্ট্রবেরী শীত প্রধান দেশের ফল তাই বেশি তাপমাত্রার কারণে বাংলাদেশে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এ গাছ বাঁচিয়ে রাখা খুব কষ্টসাধ্য। স্ট্রবেরী ফল কাঁচা অবস্থায় সবুজ এবং পাকা অবস্থায় টকটকে লাল রঙের হয়। ফলটি দেখতে অনেকটা লিচুর মত।
স্ট্রবেরীর পুষ্টিগুনঃ
স্ট্রবেরি অত্যন্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ একটি ফল। আছে ভিটামিন এ, সি, ই, ফলিক এসিড, সেলেনিয়াম, ক্যালসিয়াম, পলিফেনল, এলাজিক এসিড, ফেরালিক এসিড, কুমারিক এসিড, কুয়েরসিটিন, জ্যান্থোমাইসিন ও ফাইটোস্টেরল।
স্ট্রবেরীর উপকারীতাঃ
(১)স্টবেরী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
(২)হার্টের অসুখের ঝুঁকি কমায়ঃ ইরাজিক এ্যাসিডের অন্যতম উত্স হচ্ছে স্ট্রবেরী। এর সাথে সাথে এতে থাকা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি খুব সহজেই মানুষের রক্ত চলাচলকে স্বাভাবিক রাখে আর শরীরকে রাখে অনেক বেশি সুস্থ।
(৩) ডায়াবেটিস ও কোস্টকাঠিন্য দূর করে
(৪)ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
(৫)ওজন কমাতে সহায়ক
(৬) দেহের হাড় ও ত্বক সুরক্ষা করে
(৭) চুল পড়া রোধ করে
(৮)স্মৃতিশক্তি এবং রূপচর্চায় উপযোগী
(৯) স্ট্রবেরীরঅ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে যেটা কিনা আমাদের ত্বকের কোষগুলোর বুড়িয়ে যাওয়াটাকে কমিয়ে আনে।
(১০)ব্রণের প্রতিকার করতে:স্ট্রবেরী এর প্যাক কেবল আধ ঘন্টার জন্য মুখে লাগিয়ে রাখুন।মুখের ব্রণ আর দাগথাকবে না।
(১১) পোড়াভাবে দূর করতে:ত্বকে পোড়াভাবে দূর করতে স্ট্রবেরীর সাথে লেবুর রস, টক দই, পেঁপে কিংবা মাখন মিশিয়ে মুখে লাগান। পোড়াভাবে কমে যাবে।
(১২)হাঁপানী থেকে মুক্তি পেতে: হাঁপানি আর অ্যালার্জী থেকে মুক্তির জন্য স্ট্রবেরীর ওপর খানিকটা ভরসা করে দেখতে পারেন।
(১৩)ক্যান্সার প্রতিরোধে:স্ট্রবেরীর ভেতরে থাকা উপাদানগুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উত্পন্ন করে টিউমর বাড়ার ঝুঁকি কমায় আর ক্যান্সারকেও প্রতিহত করে
(১৪)রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে একটি অন্যতম উপাদান হল ভিটামিন সি আর স্ট্রবেরিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি বিদ্যমান।