গর্ভাবস্থায় সপ্তাহ অনুযায়ী ভ্রুণ বা বাচ্চার আকার ও ওজন
গর্ভকালে একজন মায়ের ওজন ১১ থেকে ১৫ কেজি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাওয়া স্বাভাবিক। তবে এ ওজন বৃদ্ধি একেকজনের ক্ষেত্রে একেকরকম হয়। এটা নির্ভর করে গর্ভধারণের আগে মায়ের ওজন কেমন ছিল, তার ওপর।
বডি মাস ইনডেক্স (বিএমআই) হলো উচ্চতা আর ওজনের অনুপাত। একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির আদর্শ বিএমআই হলো ১৮ দশমিক ৫ থেকে ২৪ দশমিক ৯। যাঁদের বিএমআই ১৯-এর কম, তাঁদের ক্ষেত্রে ওজন ১৭ কেজি পর্যন্ত বাড়লেও তা স্বাভাবিক হিসেবে ধরা হয়। যাঁদের বিএমআই ২৫-এর বেশি, তাঁদের ৭ কেজি ওজন বাড়লেই তা যথেষ্ট মনে করা হয়।
গর্ভধারণের প্রত্যেক সপ্তাহে শিশুর ওজন ও উচ্চতা অল্প অল্প করে বাড়তে থাকে। একটি বাচ্চার ওজন শুধুমাত্র আপনার খাওয়া দাওয়ার উপর নির্ভর করেনা। গর্ভবতী মায়ের বয়স, পরিবারের সদস্য দের জেনেটিক্স এর কিছু প্রভাব ও থাকে বাচ্চার গ্রোথ এ।
সপ্তাহ অনুযায়ী বাচ্চার ওজন চার্ট
গর্ভধারণের পর ২০ সপ্তাহ পর্যন্ত শিশুর পা পেটের সাথে ভাঁজ করা অবস্থায় থাকে। সেজন্য তারা তখন শিশুর মাথা থেকে তার পশ্চাদদেশ পর্যন্ত পরিমাপ করে তার উচ্চতা মাপা হয়। এর পর থেকে তার পা পর্যন্ত সম্পূর্ণ মাপ নেয়া হয়।
৩ সপ্তাহের শিশুর উচ্চতা এবং ওজন পরিমাপ করা যায় না। কিন্তু সে সময় আপনার শিশুটি পোস্তদানার সমান আকারের হয়ে থাকে।
৪ সপ্তাহের শিশুর উচ্চতা ০.২ সে.মি. এবং ওজন ০.২ গ্রাম। এবং এসময় শিশুটি তিলের সমান আকারের হয়ে থাকে।
৫ সপ্তাহের শিশুর উচ্চতা ০.৬ সে.মি. এবং ওজন ০.৫ গ্রাম। এসময় আপনার শিশুর চোখ, কান, থুতনি বিকশিত হতে শুরু করে।
৬ সপ্তাহের শিশুর উচ্চাতা ০.১৩ ইঞ্চি অথবা ০.৩২ সে.মি. এবং ওজন ০.০৪ গ্রাম। এসময় শিশুর আকার মসুর ডাল এর সমান হয়। এসময় শিশুর নাক, মুখ, আর কানের গঠন হতে শুরু হয়।
৭ সপ্তাহে শিশুর উচ্চতা ০.৫ ইঞ্চি এবং ওজন মোটামুটি ০.০৪ গ্রাম এর মতোই থাকে। এসময় শিশুর আকার ছোট জামের সমান হয়। এসময় শিশুর হাত এবং পা বড় হতে থাকে।এগুলো কিছুটা প্যাডেল এর মতো দেখায়।
৮ সপ্তাহের শিশুর উচ্চতা ০.৬৩ ইঞ্চি অথবা ১.৬ সে.মি. এবং ওজন ০.৪ আউন্স বা ১ গ্রাম।এসময় শিশুর আকার লাল মটরশুঁটি এর সমান হয়। শিশু কিছুটা নড়াচড়া করে। কিন্তু গর্ভবতী মা তা অনুভব করতে পারেন না। স্নায়ু তন্ত্র গঠন শুরু হয় তখন থেকে।
৯ সপ্তাহের শিশুর উচ্চতা ০.৯ ইঞ্চি অথবা ২.৩ সে.মি. এবং ওজন ০.০৭ আউন্স বা ২ গ্রাম। এসময় শিশুর আকার আঙ্গুরের সমান হয়।কানের ছোট ছিদ্রের সৃষ্টি হয়। তখন তার পিছনের লেজ চলে যায়। এবং পশ্চাদদেশ এর গঠন শুরু হয়।
১০ সপ্তাহের শিশুর উচ্চতা ১.২২ ইঞ্চি অথবা ৩.১ সে.মি. এবং ওজন ০.১৪ আউন্স বা ৪ গ্রাম। এসময় শিশুর আকার আখরোট এর সমান হয়।
১১ সপ্তাহের শিশুর উচ্চাতা ১.৬১ ইঞ্চি অথবা ৪.১ সে.মি. এবং ওজন ০.২৫ আউন্স বা ৭ গ্রাম।এসময় শিশুর আকার খেজুরের সমান হয় এবং এর সব ধরনের শারীরিক গড়ন হয়ে যায়। এবং এর নড়াচড়া ও আগের থেকে বৃদ্ধি পায়।
১২ সপ্তাহের শিশুর উচ্চাতা ২.১৩ ইঞ্চি অথবা ৫.৪ সে.মি. এবং ওজন ০.৪৯ আউন্স বা ১৪ গ্রাম। এসময় শিশুর আকার লেবুর সমান হয় এবং সে হাতের আংগুল খুলতে এবং বন্ধ করতে পারে। এবং কেউ পেটে হাত দিলে তার স্পর্শ অনুভব করতে শুরু করে। এসময় তার মুখ নড়াচড়া ও শুরু হয়।
১৩ সপ্তাহের শিশুর উচ্চাতা ২.৯১ ইঞ্চি অথবা ৭.৪ সে.মি. এবং ওজন ০.৮১ আউন্স বা ২৩ গ্রাম। এসময় আপনার শিশুটির আকার সবুজ মটরশুঁটি এর সমান হয়।
১৪ সপ্তাহের শিশুর উচ্চাতা ৩.৪২ ইঞ্চি অথবা ৮.৭ সে.মি. এবং ওজন ১.৫২ আউন্স বা ৪৩ গ্রাম।এসময় শিশুর আকার পরিপক্ক এক লেবুর সমান হয়, এর কিডনি কাজ করা শুরু করে। মুখের চোয়াল কিছুটা নাড়াতে পারে এবং শিশুটি তার বৃদ্ধাঙ্গুলি চোষা শুরু করে।এসময় থেকেই শুরু হয় সেকেন্ড ট্রাইমিস্টার।
১৫ সপ্তাহের শিশুর উচ্চাতা ৩.৯৮ ইঞ্চি অথবা ১০.১ সে.মি. এবং ওজন ২.৪৭ আউন্স বা ৭০ গ্রাম। এসময় শিশুর আকার আপেলের সমান হয়।এই সপ্তাহে শিশুর চোখ বন্ধ থাকলেও সে আলো অনুভব করা শুরু করে দেয়। এ সময় থেকেই শিশুর লিঙ্গ চিহ্নিত করা সহজ হয়।
১৬ সপ্তাহের শিশুর উচ্চতা ৪.৫৭ ইঞ্চি অথবা ১১.৬ সে.মি. এবং ওজন ৩.৫৩ আউন্স বা ১০০ গ্রাম।এসময় শিশুর আকার এভোক্যাডোর সমান হয়। অনেকেই এই ১৬ সপ্তাহ থেকেই শিশুর নড়াচড়া অনুভব করতে শুরু করেন। তার শরীরের গঠন আগে থেকে অনেকটাই পরিবর্তন হয়। তার হাত-পা এটা সঠিক ফর্মে চলে আসে।
১৭ সপ্তাহের শিশুর উচ্চতা ৫.১২ ইঞ্চি অথবা ১৩ সে.মি. এবং ওজন ৪.৯৪ আউন্স বা ১৪০ গ্রাম। এসময় শিশুর আকার শালগমের সমান হয় এবং শিশুটি তার জয়েন্ট নাড়াতে পারে।
১৮ সপ্তাহের শিশুর উচ্চতা ৫.৫৯ ইঞ্চি অথবা ১৪.২সে.মি. এবং ওজন ৬.৭ আউন্স বা ১৯০ গ্রাম।এসময় শিশুর আকার ক্যাপসিকাম এর সমান হয় এবং সে তার হাত পা আগের চেয়ে আরো দৃঢ়ভাবে নাড়াতে সক্ষম হয়।
১৯ সপ্তাহের শিশুর উচ্চতা ৬.০২ ইঞ্চি অথবা ১৫.৩ সে.মি. এবং ওজন ৮.৪৭ আউন্স বা ২৪০ গ্রাম। এসময় শিশুর আকার টমেটো এর সমান হয় এবং শিশুর কিছু অনুভূতি তৈরি হতে থাকে। যেমন সে গন্ধ পায়, শব্দ শুনতে পায়, কল্পনা করে এবং স্পর্শ ও অনুভব করে।
২০ সপ্তাহের শিশুর উচ্চতা ৬.৪৬ ইঞ্চি অথবা ১৬.৪ সে.মি. এবং ওজন ১০.৫৮ আউন্স বা ৩০০ গ্রাম। এসময় শিশুর আকার কলার সমান হয়, সে বর্জ্য নিষ্কাশন করতে শুরু করে।
২১ সপ্তাহের শিশুর উচ্চতা ১০.৫১ ইঞ্চি অথবা ২৬.৭ সে.মি. এবং ওজন ১২.৭ আউন্স বা ৩৬০ গ্রাম। এসময় শিশুর আকার গাজরের এর সমান হয়।
২২ সপ্তাহের শিশুর উচ্চতা ১০.৯৪ ইঞ্চি অথবা ২৭.৮ সে.মি. এবং ওজন ১৫.১৭ আউন্স বা ৪৩০ গ্রাম। এসময় শিশুর আকার মিষ্টি কুমড়া এর সমান হয়। শিশুটি দেখতে পুতুলের মতো দেখায় এবং এর আইব্রো বিকশিত হয়।
২৩ সপ্তাহের শিশুর উচ্চতা ১১.৩৮ ইঞ্চি অথবা ২৮.৯ সে.মি. এবং ওজন ১.১ পাউন্ড বা ৫০১ গ্রাম। এসময় শিশুর আকার বড় ধরনের আমের সমান হয়।
২৪ সপ্তাহের শিশুর উচ্চতা ১১.৮১ ইঞ্চি অথবা ৩০ সে.মি. এবং ওজন ১.৩২ পাউন্ড বা ৬০০ গ্রাম। এসময় শিশুর আকার ভুট্টার সমান হয়।
২৫ সপ্তাহের শিশুর উচ্চতা ১৩.৬২ ইঞ্চি অথবা ৩৪.৬ সে.মি. এবং ওজন ১.৪৬ পাউন্ড বা ৬৬০ গ্রাম।
২৬ সপ্তাহের শিশুর উচ্চতা ১৪.০২ ইঞ্চি অথবা ৩৫.৬ সে.মি. এবং ওজন ১.৬৮ পাউন্ড বা ৭৬০ গ্রাম। এসময় শিশুর আকার পেয়াজকলির এর সমান লম্বা হয়।
২৭ সপ্তাহের শিশুর উচ্চতা ১৪.৪১ ইঞ্চি অথবা ৩৬.৬ সে.মি. এবং ওজন ১.৯৩ পাউন্ড বা ৮৭৫ গ্রাম। এসময় শিশুর আকার ফুলকপির সমান হয়। তার ব্রেইন সচল থাকে। সে নিয়ম করে ঘুম এবং বিশ্রাম নিতে পারে।
২৮ সপ্তাহের শিশুর উচ্চতা ১৪.৮ ইঞ্চি অথবা ৩৭.৬ সে.মি. এবং ওজন ২.২২ পাউন্ড বা ১০০৫ গ্রাম। এসময় শিশুর আকার বড় তালবেগুন এর সমান হয়। তার চোখের দৃষ্টি বিকশিত হয়।
২৯ সপ্তাহের শিশুর উচ্চতা ১৫.২ ইঞ্চি অথবা ৩৮.৬ সে.মি. এবং ওজন ২.৫৪ পাউন্ড বা ১১৫৩ গ্রাম। এসময় শিশুর আকার লম্বা কুমড়ো এর সমান হয়।
৩০ সপ্তাহের শিশুর উচ্চতা ১৫.৭১ ইঞ্চি অথবা ৩৯.৯ সে.মি. এবং ওজন ২.৯১ পাউন্ড বা ১৩১৯ গ্রাম। এসময় শিশুর আকার বাধাকপির সমান হয়।
৩১ সপ্তাহের শিশুর উচ্চতা ১৬.১৮ ইঞ্চি অথবা ৪১.১ সে.মি. এবং ওজন ৩.৩১ পাউন্ড বা ১৫০২ গ্রাম। এসময় শিশুর আকার নারিকেলের সমান হয়। এসময় শিশু সাইডের দিকে মুভ করতে পারে।
৩২ সপ্তাহের শিশুর উচ্চতা ১৬.৬৯ ইঞ্চি অথবা ৪২.৪ সে.মি. এবং ওজন ৩.৭৫ পাউন্ড বা ১৭০২ গ্রাম। এসময় শিশুর আকার আনারসের সমান হয়। জন্মের সময়ের ওজনের ১/৩ ওজন সে এসময় অর্জন করে ফেলে।
৩৩ সপ্তাহের শিশুর উচ্চতা ১৭.২ ইঞ্চি অথবা ৪৩.৭ সে.মি. এবং ওজন ৪.২৩ পাউন্ড বা ১৯১৮ গ্রাম। এসময় শিশুর আকার আখরোট এর সমান হয়।
৩৪ সপ্তাহের শিশুর উচ্চতা ১৭.৭২ ইঞ্চি অথবা ৪৫ সে.মি. এবং ওজন ৪.৭৩ পাউন্ড বা ৪ গ্রাম। এসময় শিশুর আকার তরমুজ এর সমান হয়, এবং শিশুর ফুসফুস এবং স্নায়ুতন্ত্র ভালোভাবে বিকশিত হয়।
৩৫ সপ্তাহের শিশুর উচ্চতা ১৮.১৯ ইঞ্চি অথবা ৪৬.২ সে.মি. এবং ওজন ৫.২৫ পাউন্ড বা ২৩৮৩ গ্রাম।
৩৬ সপ্তাহের শিশুর উচ্চতা ১৮.৬৬ ইঞ্চি অথবা ৪৭.৪ সে.মি. এবং ওজন ৫.৭৮ পাউন্ড বা ২৬২২ গ্রাম। এসময় শিশুর আকার আখরোট এর সমান হয়।
৩৭ সপ্তাহের শিশুর উচ্চতা ১৯.১৩ ইঞ্চি অথবা ৪৮.৬ সে.মি. এবং ওজন ৬.৩ পাউন্ড বা ২৫৫৯ গ্রাম। এসময় শিশুর আকার আখরোট এর সমান হয়।
৩৮ সপ্তাহের শিশুর উচ্চতা ১৯.৬১ ইঞ্চি অথবা ৪০.৮ সে.মি. এবং ওজন ৬.৮ পাউন্ড বা ৩০৮৩ গ্রাম। এসময় শিশুর আকার মাঝারি সাইজের একটি মিষ্টি কুমড়ার এর সমান হয়।
৩৯ সপ্তাহের শিশুর উচ্চতা ১৯.৯৬ ইঞ্চি অথবা ৫০.৭ সে.মি. এবং ওজন ৭.২৫ পাউন্ড বা ৩২৮৮ গ্রাম। এসময় শিশুর শরীর পুরোপুরি পৃথিবীতে আসার জন্য রেডি হয়ে যায়।
৪০ সপ্তাহের শিশুর উচ্চতা ২০.১৬ ইঞ্চি অথবা ৫১.২ সে.মি. এবং ওজন ৭.৬৩ পাউন্ড বা ৩৪৬২ গ্রাম। এসময় শিশুর ওজন মাঝারি থেকে বড় আকারের কাঠালের সাইজের হয়ে থাকে।
গড়পড়তা হিসেবে জন্মের সময় শিশুর ওজন থাকে ২.৫ থেকে ৩ কেজি এবং উচ্চতা ৫১.৩। জন্মের পর প্রথম তিনমাস বাচ্চার ওজন জন্মের ওজন থেকে দ্বিগুণ হয়। ৬ মাস পর্যন্ত এই বিষয় টি কন্টিনিউ থাকে।
এরপর বাচ্চা যখন হাত পা ছুড়াছুড়ি এক পর্যায়ে হাটাচলা শুরু করে তখন থেকে বাচ্চার ওজন কখনো কম, কখনো বেশি হতেই পারে। প্রতি মাসেই বাচ্চার ওজন ১ কেজি করে বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিবার কোনোই প্রয়োজন নেই। বরং আপনি খেয়াল করবেন আপনার বাচ্চা খেলাধুলা বা শারীরিক পরিশ্রম কতটা করতে পারছে সেসব বিষয়ে। এবং তার প্রতি মাস অনুযায়ী ডেভেলপমেন্ট টা ঠিক হচ্ছে কিনা। এছাড়া শরীরে মাংস এবং ওজন বৃদ্ধি কিন্তু তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়।
ওজন বৃদ্ধির আদর্শ মাত্রা বজায় রাখার উপায়
গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে ওজন খুব একটা বাড়ে না। এ সময় অরুচি, বমি ভাব দেখা দেয়। বমির কারণে ঠিকমতো খেতে পারেন না অনেকে। গর্ভাবস্থার ২০ সপ্তাহ পর থেকে ওজন বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়। এ সময় গর্ভের শিশুর ওজন দ্রুত বাড়তে থাকে। শিশুকে বুকের দুধ দেওয়ার শারীরিক প্রস্তুতি হিসেবে মায়ের শরীরে জমতে শুরু করে অতিরিক্ত চর্বি। এতে হরমোনের প্রভাবও আছে।
সুস্থ মা ও সুস্থ স্বাভাবিক শিশুর জন্য গর্ভকালে মায়ের সঠিক ওজন বৃদ্ধি অত্যন্ত প্রয়োজন। সময় অনুযায়ী মায়ের ওজন বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ করে গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশ সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায়। আদর্শ ওজন বৃদ্ধির জন্য নিচের বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে—
* সন্তান ধারণের আগে বিএমআই অনুযায়ী আদর্শ ওজন ধরে রাখতে হবে।
* গর্ভাবস্থায় সুষম পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করতে হবে।
* প্রচুর আঁশজাতীয় খাবার, যেমন লাল আটার রুটি, গম, ওটস খান।
* প্রোটিন–জাতীয় খাবার, যেমন মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, বাদাম, সয়া বেশি খান।
* পর্যাপ্ত পরিমাণ সবুজ শাকসবজি, ফলমূল খেতে হবে।
* প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।
* বাইরের জাঙ্ক ফুড বা অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত খাবার এড়িয়ে পুষ্টিকর, ভিটামিন ও মিনারেলযুক্ত খাবার থেকে হবে।
* অতিরিক্ত তেল ও চর্বিজাতীয় খাবার খাবেন না।
* একবারে বেশি করে না খেয়ে অল্প অল্প করে বারবার খান।
* নিয়মতি হাঁটাহাঁটি, হালকা ব্যায়াম করুন।
* প্রয়োজনে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন।
তথ্যসূত্র: প্রথম আলো