শিশুর যেসব ওষুধ ঘরে রাখবেন
ঠান্ডা লাগবে যে ওষুধ খাওয়া বেন
ঠান্ডা লাগলে যে ঔষুূধের নাম ( ফেনাট- Fenat)দিনে ২ বার খাওয়াবেন হাফ চামচ করে। ভরা পেটে ১৫ দিন
জ্বর হলে যে ঔষধ খাওয়াবেন
জ্বর হলে যে ঔষুধের নাম (নাপা - Napa paracetamol syrup ৬ ঘন্টা পর পর হাফ চামচ করে দিনে ৪বার ভরা পেটে
আর জ্বরের পরিমাণ যদি বেশি হয় তবে যে ঔষধ টা খাওয়াবেন তার নাম ( এইস্- Ace paracetamol BP 120mg/5ml ) ১ চামচ করে দিনে ৪বার ভরাপেটে । জ্বর থাকলে খাওয়াবেন, আর না থাকলে খাওয়াবেন না।
Ace জ্বরের ঔষধ এটার সাথে একটা এন্টিবায়োটিক আছে, যার নাম হলো ( এ্যাজিথ্রোসিন - Azithrocin এটা ৪ চা চামচ পানি মিশান। এবং প্রতিদিন পোনে ১ চামচ করে দিনে ১ বার ৫ দিন খাওয়ান। এরপর ও যদি জ্বর ভাল না হয়। তবে,এই এন্টিবায়োটিক বাদ দিয়ে অন্য একটা এন্টিবায়োটিক আনবেন যেটার নাম (ফিক্স -এ - Fix - A) এটায় ৪ চামচ পানি মিশান পোনে ১ চা চামচ করে দিনে ২বার খাওয়াবেন ৭ দিন।
ঠান্ডা
ঠান্ডা লেগে যদি বুকের ভিতরে শব্দ করে তবে যে ঔষধ খাওয়াবেন তার নাম
(লিভোস্টার - Levostar Syrup ) প্রতিদিন ২ বেলা হাফ চামচ করে, ভরা পেটে।
মুখে ঘা
আপনার বাচ্চার যদি মুখে বা জিহবায় ঘা হয়, কিছু খেতে না পারে। তবে যে ঔষধ টা খাওয়াবেন তার নাম ( NYSTAT) ১ এম এল পরিমান দিনে ৪বার। ভরা পেটে।
নাক দিয়ে পানি পড়া
আপনার বাচ্চার যদি ঠান্ডা লেগে নাক থেকে পানি পরে তবে একটা ড্রপ আছে যে টা নাকে দিতে হবে,ড্রপটির নাম (Nosomist) ২ নাকে ২ ফোঁটা দিতে হবে, প্রতিদিন ১ বার রাতে।
পেট ব্যাথায়
পেটের কোন সমস্যায়, বা মোছরা মুছড়ি, বা পেটে ব্যাথা হলে যে ঔষধটা খাওয়াবেন টার নাম( নওনেহাল -NAUNEHAL) হাফ চা চামচ করে দিনে ৩ বার করে। ভরা পেটে ।
সৌদ এর জন্য
আপনার শিশুর যদি গায়ে সৌদ হয় তবে যে ঔষধটা ব্যবহার করবেন, তার নাম(মলম -ইকোনেট প্লাস ক্রিম-Econate plus cream) এই ক্রিমটা ২ বেলা করে ১০ দিন সৌদের স্থানে লাগাতে হবে।। এবং একটা স্যম্পু আছে যার নাম হলো ( Dancel ) এটা সপ্তাহে ৩ দিন সৌদের স্থানে লাগাতে হবে। এবং কোন রকম সাবান লাগানো যাবে না। নিয়মিত লাগালে ভাল হয়ে যাবে।
পেট ফাপার জন্য
আপনার বাচ্চার যদি ২/৩ দিন পায়খানা না হয় তবে যে ঔষধ টা খাওয়াবেন তার নাম হলো (Omidon- অমিডন) এটা প্রতিদিন ১ চামচ করে খাওয়াবেন। ভরা পেটে।
ডায়রিয়া
আপনার বাচ্চার যদি প্রচুর পরিমানে পায়খানা হয় তবে যে ঔষধটা খাওয়া বেন তার নাম হলো ( সিপ্রােজিড -) ১০ চামচ পানি মিশান।হাফ চা চামচ করে দিনে ২বার ভরা পেটে ৭ দিন। সাথে আর ও একটি ঔষধ খাওয়াতে হবে। তার নাম হলো (নিটাজক্স -Nitazox,) হাফ চা চামচ করে দিনে ২ বার ভরা পেটে ৩ দিন ।
ওষুধ রাখার কিছু নিয়ম
❏ বড় বাক্স ভরে বেশি ওষুধ রাখার দরকার নেই। বরং পরিমাণে কম, অতি প্রয়োজনীয় এবং মানসম্মত নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ ঘরে রাখলেই চলে।
❏ ওষুধের বাক্সটি তিন বা ছয় মাসের মধ্যে পরিষ্কার করা ভালো।
❏ ওষুধ রাখার স্থানটিও গুরুত্বপূর্ণ। রোদ লাগে এমন জায়গায় ওষুধ রাখা উচিত নয়।
❏ কাগজের বাক্সে ওষুধ রাখলে ভেজা ভেজা থাকে, তাই সফট বা নমনীয় বাক্সে রাখা ভালো।
❏ কিছু কিছু ওষুধ রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজে রাখতে হয়।
❏ শিশুদের নাগালের মধ্যে কোনো ওষুধ রাখা উচিত নয়।
প্যাকেটের ভেতরে থাকা ব্যবহারবিধি ফেলে দেওয়া ঠিক নয়।
সঙ্গে রাখুন কিছু ওষুধ
প্যারাসিটামল : সর্দি, কাশি, জ্বর, মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার যেকোনো ব্যথা উপশমের জন্য সঙ্গে রাখুন প্যারাসিটামল গ্রুপের কিছু ওষুধ। বড়দের জন্য ট্যাবলেট হলেও শিশুদের জন্য রাখুন সিরাপ।
অ্যান্টিহিস্টামিন : সর্দি, হাঁচি, অ্যালার্জি ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণের জন্য রাখুন হিস্টাসিন, এনটিস্টা, এলসেট ইত্যাদি।
এসিডিটি : এসিডিটি, বুক জ্বলা ইত্যাদির জন্য ফ্ল্যাটামিল ডিএস, অ্যান্টাসিড প্লাস, অ্যাভলোসিড ইত্যাদি রাখুন।
পেটের অসুখ : পেট ফাঁপা, পেটে গ্যাস হওয়া, বদহজম প্রতিরোধের জন্য কিছু ওষুধ রাখা উচিত। সাধারণত পেটের পীড়ায় মেট্রোনিডাজল জাতীয় ওষুধ, যেমন—ফ্লাজিল, মেট্রিক, ফিলমেট, অ্যামোট্রাক্স ইত্যাদি নিতে পারেন।
তলপেটে ব্যথা : তলপেটে ব্যথা বা ঋতুস্রাবের ব্যথার জন্য এলজিন, বুটাপেন, হাইসোমাইড ইত্যাদি।
অমিডন, এভোমিন : ভ্রমণের সময় মোশন সিকনেস বা গতিজনিত সমস্যায় অমিডন, এভোমিন, ইনো, একলিস জাতীয় ওষুধ রাখতে পারেন।
খাওয়ার স্যালাইন : ডায়রিয়া, পানিশূন্যতা, ইলেকট্রোলাইটে অসামঞ্জস্যতা প্রতিরোধের জন্য কিছু খাবার স্যালাইনের প্যাকেট সঙ্গে রাখুন।