
স্ত্রীর পিরিয়ডের সময় স্বামীর করণীয়
পিরিয়ডের দিনগুলোতে মেয়েদের মনমানসিকতার পরিবর্তন হয়। এই সময় স্ত্রীর প্রতি স্বামীর আচরণ হতে হবে সংবেদনশীল।
বোঝার চেষ্টা করা
মাসিককালে মেয়েদের আচরণে স্বভাবতই পরিবর্তন আসে। ফলে অন্যান্য সময়ের চেয়ে আচরণে পরিবর্তন আসতে পারে। সেটি বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করুন। স্ত্রীর আচরণে মেজাজ খারাপ থাকলেও মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন।
প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে আনুন
মাসিককালীন মেয়েদের নানা রকম জিনিসের দরকার হতে পারে। ফলে সেই প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো স্বামীর কিনে আনা উচিত। এতে স্ত্রীর প্রতি একজন স্বামীর দায়িত্ব ও ভালোবাসা প্রকাশ পায়।
খোঁজ রাখুন
বাইরে থাকলেও কল দিয়ে স্ত্রীর খোঁজ নিন। তিনি কী করছেন, কী খাচ্ছেন অথবা কিছু খেতে ইচ্ছা করছে কি না সেদিকে খেয়াল রাখুন।
বাড়ির কাজে সহায়তা করুন
সাধারণ সময়েই স্ত্রীকে বাড়ির কাজে একজন স্বামীর সহায়তা করা উচিত। মাসিককালীন অনেক মেয়ের শরীর বেশি খারাপ হয়। এই সময়ে স্ত্রীকে আরো বেশি সহায়তা করা জরুরি।
কথা শুনুন
একেকজন মানুষ একেক রকম হয়। হয়তো স্ত্রীর পিরিয়ড হলে তিনি একটু একা সময় কাটাতে চান। আবার আপনার সঙ্গেও বেশি সময় কাটাতে চাইতে পারেন। ফলে তার মনের বিষয়গুলো বুঝে তাকে সময় দিন।
সমালোচনা করবেন না
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়েই থাকে। এই সময় স্ত্রীর কোনো সমালোচনা করবেন না। এতে তার মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হতে পারে।
ইতিবাচক কথা বলুন
স্ত্রীর ইতিবাচক দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করুন। মাসিককালে আপনার স্ত্রী শুয়ে-বসেই সময় কাটিয়ে দিতে পারে। সেটা নিয়ে অভিযোগ করবেন না।
খোঁজ রাখুন অন্যদের কাছেও
বাড়ির অন্য সদস্যদের সঙ্গেও তার কথায় মনোমালিন্য হতে পারে। বিষয়গুলো স্ত্রী আপনাকে নাও বলতে পারেন। ফলে চেষ্টা করুন সেগুলো জানার যে তার সঙ্গে বাড়ির অন্য সদস্যদের সম্পর্ক স্বাভাবিক আছে কি না।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ
স্ত্রীর মাসিককালীন আচরণে অনেক বেশি পরিবর্তন দেখা দিলে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যান। অন্যান্য সমস্যার জন্যও তাঁর মানসিক অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।
আবেগী কথা শুনুন
এ সময় স্ত্রী নানা রকমের আবেগের কথা বলতে পারেন। তার সেই কথাগুলো শুনুন। প্রাধান্য দিন। এতে আপনার স্ত্রী মানসিকভাবে ফিট থাকবে।