চর্ম রোগের কারণ ও প্রতিকার
চর্মরোগ
চর্মরোগ ছত্রাকজনিত একটি রোগ। ত্বকে ছত্রাকের সংক্রমণের কারণে চর্মরোগে আক্রান্ত হয়। কেরাটিন (Keratin) নামক এক ধরণের আমিষ আমাদের ত্বক, চুল এবং নখের গঠনে সহায়তা করে। ছত্রাক এই কেরাটিন ধ্বংস করে ত্বকের ক্ষতি করে। দাদ বা Ringworm জাতীয় সংক্রমণ মানুষের মাধ্যমে ছড়ায়। ব্যবহৃত বিছানার ছাদর, তোয়ালে, চিরুনী এছাড়া অন্যান্য ব্যক্তিগত সামগ্রী অন্য কেউ ব্যবহার করলে এ রোগ হতে পারে।
চর্ম রোগের কারণ
আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে চর্মরোগ হয়ে থাকে । চর্মরোগ হওয়ার সবসচেয়ে বড় কারণ হল অপরিষ্কার, অপরিছন্ন, ঘনবসতিপূর্ণ পরিবেশে ও নিজেও অপরিচ্ছন্ন থাকাও একটা বড় কারণ ।
১.যারা বেশিরভাগ সময় রোদে কাটান তাদের চর্মরোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
২.পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকা সত্ত্বেও যেকোনো অ্যান্টিবায়োটিক খেলে ত্বকের রোগ হতে পারে।
৩.মাসিক চক্রের অনিয়মিত সমস্যা থাকলেও মহিলাদের চর্মরোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
৪.শরীরে অতিরিক্ত গ্যাস জমার কারণে শুষ্কতা দেখা দিতে পারে।
৫.অতিরিক্ত আঁটসাঁট পোশাক পরলে এবং নাইলনের কাপড় পরলেও ত্বকের রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৬.গোসলের সাবানে অতিরিক্ত সোডারও এই রোগ হতে পারে।
৭.চুলকানির রোগ বেশির ভাগই শরীরে রক্ত ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে হয়ে থাকে।
৮.গরম গরম জিনিস খেলে ব্রণ ও ফোঁড়া বের হতে পারে।
৯.ডায়েট করার পরপরই ব্যায়াম করলেও চর্মরোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
১০.বমি, হাঁচি, বেলচিং, ফার্ট, সিফিলিস এবং প্যালেস এই সব প্ররোচনা বন্ধ করে চর্মরোগের ঝুঁকি থাকে।
১১.দীর্ঘায়িত ধুলো মাটি এবং ঘাম এছাড়াও চর্ম রোগ হতে পারে।
১২.আর খাওয়ার পর বিপরীত প্রকৃতির খাবার খেলে কুষ্ঠ রোগ হয়। (উদাহরণ – আমের রস এবং বাটারমিল্ক পান করা)।
চর্ম রোগের প্রতিকার
১.অপরিস্কার কাপড় পরিধান ত্যাগ করতে হবে। পরিষ্কার পরিছন্ন কাপড়-চোপড় ব্যবহার করলে খোসপাঁচড়া হবে না।
২.নিয়মিত গোসল করতে হবে। গোসলের সময় পানি গরম করে নিতে হবে। গরম পানিতে নিমপাতা দিয়ে সেদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে গোসল করলেও উপকার পাওয়া যাবে।
৩.এসপ্তাহের বেশি দিন হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৪.গরম পানিতে লবণ দিয়ে গোসল করলে শীতকালে হওয়া চর্মরোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
৫.এই রোগটি সাধারণত অপরিষ্কার থাকার কারণে বা ভিটামিন সি-এর অভাবে হয়ে থাকে, এ রোগ হলে অবশ্যই ভিটামিন সি জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে। যেমন কমলা বা কমলার তৈরি জুস ইত্যাদি বেশি খেতে হবে।
৬.মূলা পাতার রস ত্বকে লাগালে যেকোনো ধরনের চর্মরোগে উপশম পাওয়া যায়।
৭.হলুদ পিষে তিলের তেলে মিশিয়ে শরীরে মালিশ করলে চর্মরোগ দূর হয়।
৮.পালং শাক ও গাজরের রস সমপরিমাণে দুই চা চামচ মধু মিশিয়ে পান করলে সব ধরনের চর্মরোগ দূর হয়।
৯.শসা খেলে চর্মরোগে উপশম পাওয়া যায়। শসার রস ত্বকে লাগালে ত্বকের ময়লা দূর হয় এবং মুখ উজ্জ্বল হয়। শসার রস পান করলেও শরীরের উপকার হয়।
১০.পানিতে মধু মিশিয়ে পান করলে চর্মরোগ দূর হয়।