মৃগী রোগের কারণ ও প্রতিকার
Epilepsy

মৃগী রোগের হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

মৃগী যাকে ইংরেজিতে বলে Epilepsy নিউরোলজিক্যাল বা স্নায়ুবিক রোগ যাতে খিঁচুনি হয়। এই রোগের প্রকৃত কারণ জানা না গেলেও মস্তিষ্কে আঘাত,স্ট্রোক, মস্তিষ্কে টিউমার বা সংক্রমণ, জন্মগত ত্রুটি প্রভৃতিকে সম্ভাব্য কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। মস্তিষ্কের সেরেব্রাল কর্টেক্সের স্নায়ুকোষসমূহের অতিরিক্ত ও অস্বাভাবিক ক্রিয়ার ফলে খিঁচুনি হয়। বার বার স্নায়বিক কারণে ফিট অর্থাৎ হঠাৎ খিচুনি বা অজ্ঞান হয়ে যাবার রোগ। এটি একপ্রকার মস্তিষ্কের রোগ; চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলা হয় "নিউরোলোজিক্যাল ডিজিজ"।

মৃগীরোগ যে কারণে হয়

জন্মের আগে বা জন্মের সময় বা পরে মস্তিষ্কে আঘাত।

আঘাত এবং মস্তিষ্কে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাব।

সংক্রমণ যা মস্তিষ্কের ক্ষতি করে।

মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলে প্রতিবন্ধকতা (স্ট্রোক বা অন্যান্য সমস্যা)।

মেহজমের সমস্যা বা পুষ্টির অভাব।

মস্তিষ্কের টিউমার।

অধিক মাত্রার জ্বর।

মস্তিষ্কে প্রদাহ।

এ ছাড়া অন্যান্য রোগ

মৃগীরোগের চিকিৎসা

মৃগীরোগের চিকিৎসা প্রধানত কয়েকটি বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল; যেমন:

পর্যবেক্ষণের জন্য অপেক্ষাঃ-

সকল খিঁচুনির জন্য অনেক সময় প্রথমেই সরাসরি মৃগী রোগের চিকিৎসা কয়া হয়না – বিশেষ করে যদি একবার খিঁচুনি হয় এবং ইহা মারাত্মক অবস্থায় পতিত না করে – তবে এর জন্য দ্বিতীয় টার্মের অপেক্ষা করতে হয় । অবশ্য সাময়িক খিঁচুনি উপশমের জন্য চিকিৎসকরা সেডিটিভ জাতীয় ঔষধ প্রয়োগ করে তা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন ।

খিঁচুনির সময় প্রাথমিক চিকিৎসাঃ

মনে রাখবেন মৃগী রোগে আক্রান্ত রোগী অসুখ হওয়ার সাথে সাথে নিজে কি করে তা বলতে পারেনা – এ সময় তার পাশে যে থাকবেন তিনিই সবচেয়ে বড় সাহায্য কারী এবং উপকারী । জ্ঞান ফেরার পর রোগীর কিছু সময়ের জন্য মানসিক বিভ্রম দেখা দেয় বিধায় , এ সময়টুকু রোগীর পাশেই থাকুন, তাকে আশ্বস্ত করুন। পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় না আসা পর্যন্ত রোগীকে ছেড়ে যাবেন না। প্রকৃতপক্ষে, খিঁচুনী চলাকালীন সময়ে শুধু প্রাথমিক চিকিৎসা এবং সাধারণ জ্ঞানের প্রয়োগ ছাড়া তেমন কিছু করার থাকে না। কাউকে খিঁচুনীতে আক্রান্ত হতে দেখলে-অহেতুক আতংকগ্রস্ত হবেন না। কারণ, অধিকাংশ খিঁচুনীই মৃত্যু ঝুঁকিপূর্ণ নয়।

বিপদাশংকা রয়েছে এমন জিনিস যেমন আগুন, পানি, ধারালো বস্তু, আসবাবপত্র রোগীর নিকট থেকে সরিয়ে আনুন। খিঁচুনী-আক্রান্ত অবস্থায় রোগীকে সরানোর চেষ্টা করবেন না।

রোগী দাঁড়ানো বা চেয়ারে বসা অবস্থায় খিঁচুনীতে আক্রান্ত হলে তাকে আলতো করে ধরে মেঝেতে শুইয়ে দিন অথবা এমন ব্যবস্থা নিন যাতে রোগী পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত না পায়। রোগীর মাথার নিচে বালিশ বা নরম কোন কাপড় বা ফোম- এ জাতীয় কিছু দিন।- খিঁচুনী স্বাভাবিকভাবে শেষ হতে দিন।

খিঁচুনী শেষ হলে রোগীকে এক পাশে কাত করে শুইয়ে দিন।

রোগীর গলায় টাই বাধা থাকলে বা বেল্ট পড়া থাকলে তা খুলে দিন। জামাকাপড় ঢিলে করে দিন। রোগীর আশেপাশে ভীড় জমতে দেবেন না।

খিঁচুনী যদি ৫ মিনিটের বেশি স্থায়ী হয়, কিংবা রোগীর একবার খিঁচুনীর পর জ্ঞান ফেরার আগেই দ্বিতীয় খিঁচুনী চলে আসে তা হলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতাল অথবা অভিজ্ঞ চিকিৎসকে কল করুন

খিঁচুনী শেষ হলে রোগীর নাড়ীর স্পন্দন অনুভব করুন, রোগী ঠিকমতো শ্বাস নিতে পারছে কি না সেদিকে দৃষ্টি রাখুন। শ্বাস-প্রশ্বাস ব্যাহত হয় এমন কোন কিছু মুখে বা নাকে থাকলে তা সরিয়ে দিন।

সার্জারিঃ

যদি কোন কারণে মস্তিষ্কের স্নায়ুগত গত ফাংশন স্থায়ী ভাবে নষ্ট হওয়ার সম্বাভনা থাকে তা হলে একজন নিউরোসার্জন সার্জারির তা করার কথা বলতে পারেন ( Epilepsy Surgery)

মেডিকেশন এবং ভি এন এসঃ–

একজন নিউরো-সার্জন যদি মনে করেন তা হলে একটি দৃশ্যমান ইলেক্ট্রিক্যাল তরঙ্গ ভেগাস নার্ভের মাধ্যমে ইলেকট্রিক তরঙ্গ চিকিৎসা করতে পারেন । যা মস্থিস্কের ভিতরে তরঙ্গ পৌঁছে নার্ভ সমূহ পুনঃযোগা যোগ করার চেষ্টা করা হয় । এতে ৭০ % মৃগীরোগের অনেকটা অনেক দেরিতে পুনঃআক্রমণ করে – ইহাকে ভেগাস নার্ভ স্টিমুলেশন বলা হয় (VNS)।

লিভার ক্যান্সারের কারন ও লক্ষন
বাচ্চাদের পেট ব্যাথা কমানোর উপায় - Ways to relieve stomach ache in children
বাচ্চা বুকের দুধ কম পেলে করণীয় - What to do if the baby gets less breast milk
শরীরের ব্যাথা কমানোর উপায় - Ways to reduce body pain
বমি বমি ভাব হওয়ার কারণ ও প্রতিরোধে করণীয় - Causes and prevention of nausea
শিশুদের নিউমোনিয়া প্রতিরোধে করণীয় - What to do to prevent pneumonia in children
সিনকারা সিরাপ এর উপকারিতা
ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণ ও চিকিৎসা - Breast cancer symptoms and treatment
পেট কামড়ানোর ঘরোয়া চিকিৎসা - Stomach Biting Home Remedies
আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা- home treatment for dysentery