মেদ ও ওজন কমানোর উপায়
পেটের মেদ থাকলে সৌন্দর্য যেমন ঘাটতি হয় তেমনি নিজের চেহারাও দেখতে বিশ্রী। তবে বাড়িতে কিছু বিষয় নিয়ম অনুযায়ী মেনে চললে অসম্ভবকে সম্ভব করা যায় অর্থাৎ পেটের মেদ কমানো যায়। ভুড়ি কমাতে কয়েকটি নিয়ম মানলে আপনিও হতে পারেন ছিপছিপে কোমরের অধিকারি। চলুন জেনে নেওয়া যাক, সে উপায়গুলো কী কী-
১.ওজন কমানোর জন্য প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে গরম পানিতে লেবুর রস পান করতে পারেন।লেবু দ্রুত চর্বি কমাতে সহায়তা করে।
২.প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি খেতে হবে। পানি খাওয়ার ফলে শরীরের অতিরিক্ত টক্সিন বেরিয়ে যায়। যার ফলে মেদ জমতে পারে না।
৩.অতিরিক্ত চিন্তা ও কম উদ্যোগের ফলেও কোমরের চারপাশে বা পেটে মেদ জমতে পারে। তাই ভুঁড়ি কমাতে অবশ্যই চিন্তামুক্ত জীবনযাপন করতে হবে।
৪.আদা মেদ কমাতে খুবই কার্যকারী। প্রতিদিন এক কাপ গরম পানির সাথে কয়েক টুকরা আদা খেলে অনেক উপকার পাবেন।
৫.যাদের সারাদিন টেবিল–চেয়ারে বসে কাজ করতে হয়, তাদের পেটে সহজে মেদ জমে যায়। ভুঁড়ি গোল হতে শুরু করে। তাই তাঁদের উচিত ৩০-৪০ মিনিট বসে কাজ করার পর উঠে ১০-১৫ মিনিট হাঁটাহাঁটি করা।
৬.গ্রিন টি মেদ কমাতে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি পানীয়। এটি অতি সহজেই আপনার মেদ কমাতে সাহায্য করবে।
৭.গরুর দুধ, সয়াবিন, প্রসেসড মাংস ইত্যাদি খাবারে এমন ফ্যাট প্রচুর পরিমাণে থাকে। তাই পরের বার যখঙ্খাবার কিনতে যাচ্ছেন তখন এসব খাবার কেনা থেকে বিরত থাকুন।
৮.পেটের মেদ ঝরাতে যোগব্যায়াম উপকারি। নিয়মিত যোগব্যায়াম করলে পেটের মেদ কমানো কমে যায়।
৯.শাক-সবজি-ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। ভুড়ি কমানোর জন্য এগুলো আদর্শ খাবার।
১০.রান্নায় আমরা কম বেশি হলুদ ব্যবহার করি। হলুদ একদিকে যেমন ওজন কমায় তেমনি ইনসুলিনের মাত্রাও নিয়ন্ত্রেণে রাখে।
১১.চিনি খাওয়া একেবারে ছেড়ে দিন। এক চা চামচে মোট ১৬ শতাংশ ক্যালরি থাকে। তাই চায়ে বা দুধে কখনোই চিনি দিয়ে খাবেন না।
১২.কাঁচা রসুন সকাল বেলা চিবিয়ে খান। এই চিকিৎসাটি আপনার ওজন কমানোর জন্য সাহায্য করবে এবং শরীরের রক্ত প্রবাহ সহজ করবে।
১৩.প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খাদ্যতালিকায় রাখুন। এতে পেশি স্বাস্থ্যকর হবে। প্রোটিন খাবার বাদ দিলে শরীরে এর বাজে প্রভাব পড়বে। ডিম, দুধ, মুরগির মাংস, ডাল খাদ্যতালিকায় রাখুন।
সবকিছু করার পরেও আপনাকে যেটা করতে হবে তাহলো ব্যায়াম। মেদ কমাতে ব্যায়ামের বিকল্প নেই। শরীরকে ঠিক রাখতে প্রতিনিয়ত ব্যায়াম করতে হবে।