মেয়েদের তলপেটে ব্যথা কমানোর উপায়
কমবেশি সবারই খুব পরিচিত ও সাধারণ সমস্যা হচ্ছে পেটের ব্যথা। এটি হওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। ব্যথানাশক বিভিন্ন ওষুধের অনেক ক্ষতিকারক দিক আছে। তাই খুব বেশি জরুরি না হলে ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া একেবারেই উচিত নয়।এই সমস্যার সমাধানের জন্য বেঁছে নিন ঘরোয়া প্রাকৃতিক উপায়।
১.পেট ব্যথা কমানোর প্রাকৃতিক সমাধান হিসেবে চায়ের সঙ্গে পুদিনা পাতা খেতে পারেন। পেটের ব্যথা ও বমি ভাব কমাতে সাহায়্য করে পুদিনা পাতা। এটি চিবিয়ে খেলেও উপকার পাওয়া যায় ।
২.ব্যথা কমাতে আদাকে প্রকৃতিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।এটি ব্যথা কমাতে সহায়তা করে। তাই পেটের ব্যথা কমাতে আদার চা করে অথবা চিবিয়ে খেতে পারেন।
৩.কলায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে তাই কলা পেটের ব্যথা কমাতে সহায়তা করে। কলা বিভিন্ন রোগের উপকারি ফল।
৪.এক কাপ পানিতে এক চামুচ অ্যাপল সিডার ভিনেগার ও এক চামুচ মধু মিশিয়ে পান করলে উপকার পাবেন। অ্যাপেল সিডার ভিনেগারে অ্যাসিড স্টার্চ থাকায় তা হজম করতে সাহায্য করে অন্ত্রের ব্যকটেরিয়াকে সুস্থ রাখে। আর এ কারণে এটি পেটের ব্যথা কমাতে সহায়তা করতে পারে।
৫. পেটে ব্যথা হলে ভারি ও বেশি মশলা জাতীয় খাবার পরিহার করে একটু নরম করে ভাত খেতে পারেন। এটি পেটের ব্যথা থাকলে তা নিরাময়ে সহায়তা করতে পারে।
৬.পেটে ব্যথার জন্য আপনি গরম পানির ব্যাগ বা বোতলে হালকা গরম পানি নিয়ে পেটে সেক দিলে অনেকটা স্বস্তি পাবেন। এটি যে কোনো ধররনের ব্যথা নিরাময়ে অনেক উপকারী ভূমিকা পালন করে।
৭.১ কাপ পরিমাণে বেদানার রস প্রতিদিন ২ বার পান করুন। এতে পেটে ব্যথা দূর হবে সেই সাথে দূর হবে ডায়রিয়ার সমস্যা।
৮. ১ চা চামচ ত্রিফলা কুসুম গরম পানিতে মিলিয়ে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে পান করুন। এতে পেটে ব্যথার সমস্যা এমনকি গ্যাস, অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকেও রেহাই দেবে।
৯..রুটি পেট ব্যথা কমাতে সহায়তা করতে পারে। এতে তেমন কোনো তেল থাকে না।
১০.গ্যাসের ব্যথার জন্য পেটে ব্যথা হলে কিশমিশ পানিতে ভিজিয়ে রাখে খালি পেটে খেয়ে নিলে এতে উপকার পাওয়া যাবে। এতে পেট ঠাণ্ডা হবে এবং অ্যাসিডিটি ও গ্যাসের জ্বালাপোড়ার ব্যথা থেকে দূরে থাকতে পারবেন।