
হলিউডের সবচেয়ে বেশি আয় করা ১০টি সিনেমা-Top 10 highest grossing Hollywood movies
ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোর কাছে বেশ কয়েক বছর ধরেই নাস্তানুবুদ হচ্ছে চিরাচরিত হলিউড। সেই করোনাকালের আগ থেকে শুরু। করোনার থাবায় স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলোর কাছে প্রতিযোগিতায় অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিল প্রথাগত হলিউড। তবে ২০২২ সাল শেষ করে অবস্থান কিছুটা হলেও পুণরুদ্ধার করার স্বপ্ন দেখছে হলিউডের সিনেমা হলকেন্দ্রিক ব্যবসা। আর এর নেপথ্যে আছে মূলত তুলনামূলকভাবে ভালো ব্যবসা করা কয়েকটি সিনেমা।
১.অ্যাভাটার -Avatar (2009)
পরিচালক: জেমস ক্যামেরুন
আয়: ২৭২.৩৩ কোটি ।
IMDB রেটিং : ৭.৮
অবতার ২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া একটি বিজ্ঞানভিত্তিক কল্পকাহিনী। প্রখ্যাত পরিচালক জেমস ক্যামেরন ছবিটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন। মূল চরিত্রগুলোয় অভিনয় করেছেন স্যাম ওর্থিংটন, জোয়ি সালডানা, স্টিফেন ল্যাং, মিচেলে রড্রিগেজ, জোয়েল ডেভিড মুর, জিওভান্নি রিবিসি এবং সিগুর্নি উইভার৷ পটভূমি হলো ২২ শতকের মাঝামাঝি; যখন মানুষ আলফা সেনটাউরি তারা মন্ডলে একটি গ্যাসীয় গ্রহে মানুষের বসবাস উপযোগী উর্বর উপগ্রহ প্যানডোরায় আনঅবটেনিয়াম নামক একটি মূল্যবান খনিজ আহরণের জন্য খননকাজ শুরু করে৷ খনিজ উপনিবেশ এলাকার ক্রমাগত সম্প্রসারণের ফলে এ উপগ্রহের স্থানীয় অধিবাসী নাভিদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে; প্যানডোরা উপগ্রহের আদিবাসী এই নাভিরা অনেকটা মানুষের মত দেখতে ৷ প্যানডোরার এই আদিবাসীদের সাথে যোগাযোগের জন্য একদল গবেষক জেনেটিক্যালি ইঞ্জিনিয়ারড নাভি ও মানুষের সংকর দেহ ব্যবহার করেন যা এই চলচ্চিত্রের নাম ৷
অ্যাভাটার চলচিত্রটির পটভূমি তৈরি হয়েছে একদল লোভী মানুষ আর নিরীহ প্যানডোরাবাসির মধ্যে এক অসম কিন্তু সাহসি যুদ্ধ নিয়ে।
কাহিনীর সূত্রপাত ২১৫৪ সালে, যখন আর.ডি.এ আনঅবটেনিয়ামের খোঁজে প্যানডোরা নামক পৃথিবীর মত এক গ্রহে গিয়ে মানুষ হাজির হয়। যার আবহাওয়া মানুষের নিঃশ্বাস উপযোগী নয়। এই গ্রহের অধিবাসীদের বলা হয় নাভি। নাভিরা তাদের গ্রহে খুব আনন্দেই বসবাস করছিল যতদিন পর্যন্ত না মানুষের অসাধু ইচ্ছা প্রকাশিত না হয়।
নাভিদের পরিবেশ সম্পর্কে ভালোভাবে জানার জন্য বিজ্ঞানীরা নাভিদের মত দেখতে কিছু দেহ তৈরি করলেন, যা কিনা যন্ত্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
২.Titanic- টাইটানিক(1997)
পরিচালক: জেমস ক্যামেরুন
আয়: ২১০.৯৫ কোটি।
IMDB রেটিং : ৭.৮
সর্বাধিক আলোচিত ও বহুল জনপ্রিয় রোমান্টিক মুভি টাইটানিক মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৭ সালে । টাইটানিক হলো একটি মার্কিন মহাকাব্যিক প্রণয়ধর্মী দুর্যোগ চলচ্চিত্র, যা রচনা, পরিচালনা, সহ-প্রযোজনা এবং সহ-সম্পাদনা করেছেন জেমস ক্যামেরন। চলচ্চিত্রটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন লিওনার্ডো ডিক্যাপ্রিও ও কেট উইন্সলেট।
উচ্চবিত্ত সমাজের মেয়ে রোজের সাথে টাইটানিক জাহাজের যাত্রায় নিম্নবিত্ত সমাজের প্রতিভূ জ্যাকের প্রেম হয়। ১৯১২ সালে টাইটানিকের পরিণতির পটভূমিতে তাদের এই বিষাদই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এতে। এটির প্রেমের গল্প আর কেন্দ্রীয় চরিত্রগুলো কাল্পনিক হলেও কয়েকটি পার্শ্বচরিত্র ঐতিহাসিক সত্যের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে। গ্লোরিয়া স্টুয়ার্ট বৃদ্ধা রোজের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। বৃদ্ধা রোজ তার টাইটানিক জীবনের কাহিনী বর্ণনা করেছেন।
৩.স্টার ওয়ার্স: দ্য ফোর্স অ্যাওয়েকেন্স-Star Wars: The Force Awakens
পরিচালক: জে জে আব্রামস
আয়: ২.০৫৪ বিলিয়ন।
IMDB রেটিং : ৮.১
স্টার ওয়ার্স: দ্য ফোর্স অ্যাওয়েকেন্স একটি ২০১৫ সালে নির্মিত মার্কিন মহাকাব্যিক কল্প-বৈজ্ঞানিক চলচ্চিত্র। এটি স্টার ওয়ার্স চলচ্চিত্র সিরিজের সপ্তম চলচ্চিত্র। এটি পরিচালনা, চিত্রনাট্য রচনা এবং সহ-প্রযোজনা করেন জে. জে. অ্যাব্রামস। চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেন হ্যারিসন ফোর্ড, মার্ক হামিল, ক্যারি ফিশার, অ্যাডাম ড্রাইভার, ডেইজি রিডলি, জন বোয়েগা, অস্কার আইজ্যাক এবং ডমনাল গ্লিসন। চলচ্চিত্রটি রিটার্ন অব দ্য জেডাই (১৯৮৩) এর ৩০ বছর পরের প্রেক্ষাপট নিয়ে আবর্তিত। চলচ্চিত্রে রে, ফিন এবং পো ড্যামেরনকে গ্যালাকটিক সম্রাজ্যের উত্তরসুরি ফার্স্ট অর্ডার এবং এর নেতা কাইলো রেন এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে দেখা যায়।
গ্যালাক্টিক গৃহযুদ্ধের ৩০ বছর পর গ্যালাক্টিক সম্রাজ্যের উত্তরসুরী 'ফার্স্ট অর্ডার', নিউ রিপাবলিককে ক্ষমতা থেকে অপসারন করে নিজেদেরকে গ্যালাক্সির ক্ষমতায় অধিস্টিত করতে চায়।
নিউ রিপাবলিক মুখি সামরিক সংস্থা 'রেসিস্টেন্স' এর প্রধান জেনারেল লেয়া অরগানা তার বিশ্বস্ত কর্মচারী ক্যাপ্টেন পো ড্যামেরন কে 'জাক্কু ' নামক গ্রহে পাঠান একটি ম্যাপ সংগ্রহ করার জন্য, যেখানে লেয়ার ভাই জেডাই মাস্টার লুক স্কাইওয়াকারের ঠিকানা উল্লেখ আছে। কিন্তু দুরভাগ্য বশত পো রেসিস্টেন্সের শত্রু, ফাস্ট অর্ডারের নেতা কাইলো রেন এর হাতে ধরা পরেন। কিন্তু এর আগে তিনি ম্যাপ টি তার ড্রয়েড, বি বি ৮ এর কাছে আমানত রেখে দেন। বি বি ৮ দুরঘটনা স্থল থেকে দূরে সরে আসলে ম্যাপ টি কাইলো রেন এর হাতে যাওয়া থেকে বেঁচে যায়। কিন্তু পো কে কাইলো বন্ধি করে এবং ম্যাপের কথা জিজ্ঞেশ করে। তবে, পো তা বলতে অস্বীকৃতি জানায়। বি বি ৮ কি পারবে ম্যাপ টিকে সঠিক হাতে তুলে দিতে?
৪. জুরাসিক ওয়ার্ল্ড ডমিনিয়ন-Jurassic World Dominion
পরিচালক: কলিন ট্রেভোরো
আয়: ১.৬৭ বিলিয়ন ডলার ।
IMDB রেটিং : ৭.০
জুরাসিক ওয়ার্ল্ড ডমিনিয়ন কলিন ট্রেভোরোর পরিচালনায় নির্মিত আমেরিকান বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর একটি দু:সাহসিক ছায়াছবি, যিনি তার এবং তার সহযোগী লেখক ডেরেক কনোলীর একটি গল্প অবলম্বনে এমিলি কারমাইকেল সহ এর চিত্রনাট্য লিখেছিলেন। এটি জুরাসিক ওয়ার্ল্ড: ফলেন কিংডম (২০১৮) এর পরবর্তী পর্ব, জুরাসিক পার্ক মালিকানার ষষ্ঠ কিস্তি এবংজুরাসিক ওয়ার্ল্ড ট্রিলজির তৃতীয় চলচ্চিত্র। তার পূর্বসূরি ফ্র্যাং মার্শাল এবং প্যট্রিক ক্রাউলি সিনেমাটির প্রযোজনায় থাকবেন, ট্রেভোরোর সাথে জুরাসিক পার্ক (1993) এর পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ এই সিনেমার নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে থাকছেন। আগের মালিকানায় নির্মিত সিনেমাগুলোর তারকাদের মধ্যে রয়েছেন-ক্রিস প্র্যাট, ব্রাইস ডালাস হাওয়ার্ড, লরা ডার্ন, স্যাম নিল, জেফ গোল্ডব্লাম, ড্যানিয়েলা পিনেডা, ইসাবেলা সার্মন, জাস্টিস স্মিথ, ওমর সাই, এবং বিডি ওয়াং এবং তাদের সাথে যুক্ত হয়েছেন মামুদু আথি, স্কট হ্যাজ, ডিচেন লাচম্যান, ক্যম্পবেল স্কট, and ডিওয়ান্ডা ওয়াইজ.
ভবিষ্যতের জন্য জুরাসিক ওয়ার্ল্ড ট্রিলজির অংশ হিসেবে ২০১৪ সালের প্রথম দিকে এই চলচ্চিত্রটির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কানাডায় এর চিত্র গ্রহণ শুরু হয় এবং পরের মাসে ইংল্যান্ডের অন্যান্য স্থান সমূহে সরিয়ে নেয়া হয়। ২০২০ সালের মার্চ মাসে, কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে নিরাপত্তা মূলক সতর্কতা হিসেবে এর চিত্রায়ন বন্ধ রাখা হয়েছিল। ২০২০ সালের জুলাই মাসে পুনরায় এর চিত্র গ্রহণ শুরু হয় এবং চার মাস পরে নভেম্বর মাসে ইংল্যান্ডের পাইনউড স্টুডিও ও মাল্টায় এর চিত্র গ্রহণ শেষ হয়।
৫.দি অ্যাভেঞ্জার্স-The Avengers
পরিচালক: জস ওয়েডন
আয়: ১.৫২ বিলিয়ন ডলার ।
IMDB রেটিং: ৭.৪
মার্ভেলের দ্য অ্যাভেঞ্জার্স ষষ্ট চলচ্চিত্র হিসেবে এই সুপার হিরো মুভিটি মুক্তি পায় ৪ মে, ২০১২ সালে। মুভিটিতে অভিনয় করেছেন ক্রিস হেমসওর্থ, রবার্ট ব্রাউনি ডী জুনিয়র, ক্রিস ইভান্স, স্কারলেট জোহানসন এর মত বিখ্যাত তারকারা । এটি মার্ভেল স্টুডিও দ্বারা প্রযোজিত এবং ওয়াল্ট ডিজনি স্টুডিওর মোশন পিকচার্স দ্বারা বণ্টিত।
৬. ফিউরিয়াস ৭-Furious 7
পরিচালক: জেমস ওয়েন
আয়: ১.৫১ বিলিয়ন ডলার ।
IMDB রেটিং : ৭.২
ফিউরিয়াস ৭ (ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস ৭ এবং ফিউরিয়াস সেভেন নামেও পরিচিত) ২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি অ্যাকশন ঘরানার মার্কিন চলচ্চিত্র। এটি ২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস ৬ চলচ্চিত্রের পরবর্তী কিস্তি এবং দ্য ফাস্ট অ্যান্ড দ্য ফিউরিয়াস চলচ্চিত্র সিরিজের সপ্তম ছবি। চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য লেখেন ক্রিস মর্গান ও পরিচালনা করেন জেমস ওয়ান। এতে অভিনয় করেছেন ভিন ডাইসেল, পল ওয়াকার, ডোয়াইন জনসন, জর্ডানা ব্রিউস্টার, মিশেল রড্রিগেজ, জেসন স্ট্যাথাম সহ আরো অনেকে। এর আগে মুক্তিপ্রাপ্ত তিনটি চলচ্চিত্রের কাহিনীকাল দেখানো হয়েছিল ২ ফাস্ট ২ ফিউরিয়াস (২০০৩) ও দ্য ফাস্ট অ্যান্ড দ্য ফিউরিয়াস: টোকিও ড্রিফট (২০০৬) চলচ্চিত্র দুইটির অন্তর্বর্তীকালীন ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে। কিন্তু এবারই প্রথম ফিউরিয়াস ৭ চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে দ্য ফাস্ট অ্যান্ড দ্য ফিউরিয়াস: টোকিও ড্রিফট (২০০৬) ছবি পরবর্তী ঘটনাক্রম নিয়ে।
ফিউরিয়াস ৭ পল ওয়াকার অভিনীত সর্বশেষ চলচ্চিত্র। ২০১৩ সালের ৩০ নভেম্বর এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় পল ওয়াকার নিহত হওয়ার সময় চলচ্চিত্রের মাত্র অর্ধেক কাজ সম্পন্ন হয়েছিল। পরবর্তীতে চিত্রনাট্য পুনর্লিখিত হয় এবং পল ওয়াকারের দুই ভাই ক্যালেব ও কোডি ওয়াকার পলের অংশের শুটিংয়ে অংশ নেন। ফিউরিয়াস ৭ চলচ্চিত্রটি ২০১৫ সালের এপ্রিলের ৩ তারিখে আন্তর্জাতিকভাবে থ্রি ডি ফরম্যাটে মুক্তি পায়।
৭. অ্যাভেঞ্জার্স: এজ অব আলট্রন-Avengers: Age of Ultron
পরিচালক: জস ওয়েডন
আয়: ১.৪১ বিলিয়ন ডলার ।
IMDB রেটিং : ৭.৪
অ্যাভেঞ্জার্স: এজ অব আলট্রন চলচ্চিত্রটি মার্ভেল কমিকস সুপার হিরো টিমের উপর ভিত্তি করে ২০১৫ সালে নির্মিত হয়। চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনা করেছেন জশ হেডন। ছবিটি ২০১১ সালের দ্য অ্যাভেঞ্জার্স ছবির সিক্যুয়াল এবং মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের একাদশতম চলচ্চিত্র। অ্যাভেঞ্জার্স চলচ্চিত্রের ব্যাপক সফলতার পর ২০১২ সালের মে মাসে এর দ্বিতীয় সিক্যুয়াল নির্মাণ করার কথা ঘোষণা করা হয়। চলচ্চিত্রটিতে মানব জাতির অস্তিত্ব রক্ষার জন্য অ্যাভেঞ্জারদের সাথে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন রোবট আলট্রনের যুদ্ধ বাধে। ছবিটি মূলত ইংল্যান্ডের সুরিতে অবস্থিত শেপার্টন স্টুডিওসে দৃশ্যায়ন করা হয়। এছাড়াও অল্প কিছু দৃশ্য ইতালি, দক্ষিণ কোরিয়া, বাংলাদেশ এর চিটাগাং সিপার্ড, নিউ ইয়র্ক এবং ইংল্যান্ডের বিভিন্ন জায়গায় ধারণ করা হয়েছে।
৮.ইনসাইড আউট-Inside Out
পরিচালক: পিট ডক্টার
আয়: ৮৫৭.৬ মিলিয়ন
ইনসাইড আউট ২০১৫ সালের মার্কিন ত্রিমাত্রিক কম্পিউটার-অ্যানিমেটকৃত হাস্যরসাত্মক নাটকীয় চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করে পিক্সার অ্যানিমেশন স্টুডিও এবং ওয়াল্ট ডিজনি পিকচার্স দ্বারা মুক্তি পায়।
ডক্টার একদল কর্মী নিয়োগ দিয়েছিলেন যারা চলচ্চিত্রের কাহিনী উন্নয়নে কাজ করেছিলেন। এই চলচ্চিত্রের কেন্দ্রীয় চরিত্র একজন মেয়ে হওয়ার কারণ হলো একটি গবেষণা যা দেখায় যে ১১ থেকে ১৭ বছর বয়সী মেয়েরা আবেগগত দিক দিয়ে অন্যদের তুলনায় বেশি সংবেদনশীল হয়ে থাকে। রাইলির হকি খেলা ছিল দেল কারমেনের পরিকল্পনা, সে লক্ষ্য করেছিল মিনেসোটায় খেলাধুলা বেশ জনপ্রিয়।
৯.দ্য মার্শিয়ান-The Martian
পরিচালক: রিডলি স্কট
আয়: ৬০৫.৫ মিলিয়ন।
দ্য মার্শিয়ান ২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি মার্কিন কল্পবিজ্ঞান চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন রিডলি স্কট। মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন ম্যাট ডেমন। ৮৮তম একাডেমি পুরস্কার আসরে ৭টি বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছে ‘দ্য মার্শিয়ান’।
নভোচারী মার্ক ওয়াটনি মঙ্গল গ্রহ অভিযানে গেছেন। সেখানে একদিন একটি শক্তিশালী বালুঝড় থেকে বাঁচতে অভিযাত্রীরা দ্রুত ফিরে আসতে বাধ্য হন। এ সময় ছিটকে পড়েন ওয়াটনি। তাঁকে ‘মৃত’ ধরে নেন বাকিরা। কিন্তু মার্ক বেঁচে যান এবং চেতনা ফিরলে নিজেকে লাল গ্রহের প্রতিকূল পরিবেশে একাকী অবস্থায় আবিষ্কার করেন। সেখানে নেই খাবার, পানি আর বেঁচে থাকার উপযোগী পরিবেশ। তাই টিকে থাকার জন্য তাঁকে কাজে লাগাতে হয় নিজের উদ্ভাবনী ক্ষমতা, বুদ্ধিমত্তা এবং অসীম সাহস ও প্রাণশক্তি। তৈরি করেন খাবার আর বাসস্থান। একপর্যায়ে তিনি পৃথিবীতে সংকেত পাঠানোর একটা উপায় বের করে ফেললেন এবং জানিয়ে দিলেন, আমি বেঁচে আছি। লাখ লাখ মাইল দূরে নাসার একদল আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানী নিরলস চেষ্টা শুরু করেন মার্শিয়ান বা মঙ্গলচারীকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার। একই সঙ্গে তাঁর সহযাত্রীরা একটি দুঃসাহসী পরিকল্পনা করেন উদ্ধার অভিযানের। অবিশ্বাস্য সব প্রচেষ্টা আর অফুরন্ত উদ্যমের পর বিশ্ববাসী দেখতে পায়, পৃথিবীতে ওয়াটনির নিরাপদ প্রত্যাবর্তন।
১০.মিনিয়নস-Minions
বছরজুড়ে অ্যানিমেশন ভক্তদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল ‘মিনিয়নস’। হাস্যকর সব কার্যকলাপ আর ‘কলার’ প্রতি অদ্ভুত ভালোবাসা দিয়ে ‘মিনিয়ন’রা জয় করে নিয়েছে অসংখ্য মানুষের মন। আয় করেছে ৩৫ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি। দুটি ‘ডেসপিকেবল মি’ আর মিনিয়নস মিলিয়ে এই ত্রয়ী ইউএস বক্স-অফিসে এখন পর্যন্ত আয় করেছে প্রায় ১০০ কোটি মার্কিন ডলার। সে সঙ্গে নির্মাতা ‘পিয়েরে কফিন’, যিনি তিনটি সিনেমাতেই মিনিয়নদের ভোকালাইজেশন করেছেন, তিনি মোশন পিকচারের ইতিহাসে সর্বাধিক আয়কারী ‘ভয়েস অ্যাক্টর’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।