ভোলার চরফ্যাসনে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ফলে প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে বাড়ছে আতংক। কিন্ত সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু সনাক্তের কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে পরীক্ষার নামে গলাকাটা মূল্য আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
চরফ্যাসন হাসপাতাল এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার সূত্রে জানাগেছে, আজ সোমবার পর্যন্ত চরফ্যাসনে ২১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সনাক্ত করা হয়েছে। গত রোববার ও সোমবারে আক্রান্ত ৬ জনকে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । বাকীদের ঢাকা-বরিশালের বিভিন্ন হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে আজ সোমবার সর্বশেষ আসলামপুর ইউনিয়নের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী মারিয়াকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হিসেবে সনাক্ত করা হয়েছে। এই মারিয়া ছাড়া অন্য ২০ জন ঢাকা-চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন শহরে কর্মরত ছিল। কর্মরত থাকা অবস্থায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গ্রামে এসেছিল বলে ধারনা করা হচ্ছে। কিন্ত আক্রান্তদের মধ্যে মারিয়া একমাত্র রোগী যে স্থানীয় বাসিন্দা এবং নিজ এলাকা থেকেই আক্রান্ত হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
চরফ্যাসন হাসপাতালের টিএইচও ডা. সিরাজ উদ্দিন জানান, চরফ্যাসন হাসপাতালে ডেঙ্গু সানাক্তের কোন ব্যবস্থা নেই। স্থানীয় কিছু কিছু প্রাইভেট ক্লিনিকে এই ব্যবস্থা আছে। গত কয়েকদিনে প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে ২১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সনাক্ত করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ২০ জন দেশের বিভিন্ন শহরে কর্মরত ছিল। কর্মস্থল থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে তারা গ্রামে এসেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
এদিকে ঈদকেন্দ্রীক ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরো অস্থির হতে পারে বলে স্থানীয়রা আশংকা করছে। ফলে প্রত্যন্ত গ্রামের দরিদ্র মানুষের মধ্যে ডেঙ্গু আতংক ছড়িয়ে পরেছে।