বাঁচানো গেলো না কাভার্ড ভ্যানের চাপায় গুরুতর আহত বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়াকে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৫৮ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইনটেনসিব কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
কিবরিয়া পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুবিধখালী গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক মো. ইউনুস আলীর ছেলে। সে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত ছিলেন।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান ও ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) এর ক্যাম্প পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবদুল খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে সার্জেন্ট কিবরিয়াকে চাপা দেয়ার ঘটনায় মহানগরীর বন্দর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। যমুনা গ্রুপের কাভার্ডভ্যান চালক আব্দুল জলিল সিকদারকে আসামী করে ১৫ জুলাই রাতে ট্রাফিক পরিদর্শক রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।
মামলায় চালক টাঙ্গালের মির্জাপুরের বাসিন্দা মো. জলিল সিকদারের বিরুদ্ধে বেপরোয়া গতিতে যান চালানো, সিগন্যাল অমান্য, সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, সরকারি সম্পত্তির (মোটরসাইকেল) ক্ষতিসাধন, হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণসহ ৭টি ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বলে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মোস্তফা হয়দার নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত সোমবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের কর্নকাঠিতে বরিশাল বিশ^বিদ্যালয় সংলগ্নজিরো পয়েন্ট এলাকায় পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলেন সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়া মিকাইল।
এসময় যমুনা গ্রুপের বাকেরগঞ্জগামী বেপরোয়া গতির একটি কাভার্ডভ্যানকে (ঢাকা মেট্রো-উ-১২-২০৫৪) থামাতে সংকতে দেন সার্জেন্ট কিবরিয়া। কিন্তু চালক কাভার্ডভ্যানটি সংকেত অমান্য করে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে।
তখন সার্জেন্ট কিবরিয়া মোটরসাইকেল নিয়ে ধাওয়া করে কাভার্ডভ্যানটি আটকের চেষ্টা করে। সার্জেন্ট কিবরিয়া ট্রাকের আগে উঠে সিগনাল দিলে কাভার্ডভ্যান চালক জলিল সিকদার তাকে চাপা দিয়ে চলে যায়। এতে কিবরিয়ার দুই পায়ের চার স্থানে ভেঙে যায় এবং মুত্রথলি ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
পরে স্থানীয়র তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করে। পাশাপাশি কাভার্ডভ্যান ও পালিয়ে যাবার চেষ্টা কালে চালক জলিল সিকদারকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে সার্জেন্ট কিবরিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতী ঘটলে সোমবার বিকাল ৫টার দিকে তাকে এয়ার এ্যাম্বুলেন্স যোগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তাকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরী বিভাগের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। এরপর সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে তার মৃত্যু হয়।