চরফ্যাসনের ঢালচরের শিবচর ও টেংরারচর এলাকায় দক্ষিণ উপকূলে বঙ্গোপসাগরের উত্তাল ঢেউয়ের তোপে ২৯ জেলেসহ দুটি জেলে ট্রলার ডুবির ঘটনায় তিন দিনেও নিখোঁজ জেলেদের সন্ধান মিলেনি। নিখোঁজ জেলে পরিবারে চলছে শোকের মাতম। জেলেদের অভিযোগ ২৯ জেলে নিখোঁজ হলেও জেলেদের উদ্ধারে উপজেলা মৎস্য বিভাগের কোন কর্মকর্তাদের তৎপরতা নেই।
যদিও আজ সোমবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো,রুহুল আমিন দাবি করেন, কোষ্টগার্ড ও নৌ-বাহিনীর একাধিক টিম নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। গত শনিবার রাতে টেংরারচর এবং রোববার রাতে শিবচরে পৃথক পৃথক এলাকায় এই দুটি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে।
ভাড়ানী ঘাটের জেলেরা অভিযোগ করেন, দুটি ট্রলার ডুবির ঘটনার তিনদিন অতিবাহিত হলেও উপজেলা মৎস্য বিভাগের কোন কর্তকর্তাকে উদ্ধার অভিযানে দেখা যায়নি। স্বজনহারা জেলে পরিবারে আর্তনাতে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠলেও উদ্ধার কাজে যায়নি মৎস্য বিভাগ। আজ সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নিখোঁজ ২৯ জেলে ও ট্রলারের সন্ধান মেলেনি। এসংবাদ লেখা পর্যন্ত দুটি ট্রলারসহ ২৯ জেলে নিখোঁজ রয়েছে বলে জানাযায়। নিখোঁজ জেলেদের বাড়ি চরফ্যাসনের জিন্নাগড় ও আহমদপুর এবং চর মাদ্রাজ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে। জেলেদের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার ব্যস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দেন।
কচ্ছপিয়া জোনের কোষ্টগার্ড কন্ট্র্রিনজেন্ট কমান্ডার অলিউল্লাহ জানান, গভীর সমুদ্রে ট্রলার ডুবি ঘটনা হওয়ায় কোষ্টগার্ড উদ্ধার অভিযান অব্যহত রয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোন জেলে উদ্ধার হয়নি।